জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরির মুহূর্তে ফটো ধারণ
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্যকে ভালোবেসে এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে ঘোরাঘুরি মুহূর্তে ধারণ করা কিছু ফটো শেয়ার করব। আমার এই ধারণ করা ফটোগুলো আপনাদের ভালো লাগবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের বেশ কিছু দৃশ্য দেখতে পারবেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এটা খুবই মনোরম পরিবেশে গড়া। অনেক বড় এরিয়া এবং জায়গায় জায়গায় সুন্দর সুন্দর দেখার মত স্থান রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। সব জায়গা তো একবারে দেখানো সম্ভব নয়, তার মধ্য থেকে কিছু অংশের ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম।
এটা আমাদের গ্রামের বাজার। আমাদের গ্রামের নাম পান ধোয়া। আমাদের গ্রামের বাজার অতিক্রম করে জাহাঙ্গীরনগরের এরিয়া। বাসা থেকে ১৫ মিনিটের রাস্তা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। দীর্ঘদিন আমরা আমাদের এই গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছি। জন্মসূত্রে আমরা মেহেরপুরের বাসিন্দা হলেও পান ধোয়া তে আমাদের নিজেদের বাসা। তাই দশ বছর পূর্বে আমার এখানে চলে এসেছি। এই জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়টা আমার খুবই স্মৃতিময়। কারণ এখানে ঘোরাঘুরি,
খেলাধুলা সহ ভালো লাগার অনেক মুহূর্ত আছে আমার। যাহোক, ঈদের মধ্যেও আমরা বাজার অতিক্রম করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ঘোরাঘুরি করতে গিয়েছিলাম।
আপনারা জানেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় টা অনেকগুলো পুকুর বেষ্টিত। তাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এরিয়ায় প্রবেশ করেই বা হাতে রয়েছে বড় এক পুকুর। সেখানে অনেক ছাত্রছাত্রীদের মাছ ধরতে দেখা যায় এছাড়া অন্যান্য মানুষদের মাছ ধরতে লক্ষ্য করা যায়। ঠিক তেমনি একটা ভাইকে দেখলাম মাছ ধরছে জঙ্গলের মধ্যে ফাঁকা একটু স্থান রয়েছে সেখানে বসে। আমার ফটো ধারণ করতে দেখেই তাকালো আমার দিকে।
বিকেল মুহূর্তে দেখা যায় অনেক মানুষ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সোজা উত্তর দক্ষিণে রাস্তায় হাটাহাটি করে থাকেন। অনেকে আছেন ব্যায়াম করার জন্য প্রতিনিয়ত এ রাস্তায় চলাচল করেন কারণ রাস্তাটা একটানা সোজা রাস্তা। দীর্ঘ বিশ-মাইল থেকে প্রান্তিক এরপর জাহাঙ্গীরনগর গেট ছাড়াও অনেক কিছুই আছে সেখানে। যদি প্রতিনিয়ত এই দীর্ঘ পথ হাটাহাটি করা যায় তাহলে অবশ্যই মানুষের শরীরের জন্য অনেক উপকার। তাই আমি যখনই এখানে প্রবেশ করেছি তখনই দেখি সর্ব শ্রেণীর মানুষেরা কম বেশি প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে এবং ব্যায়ামের জন্য চলাচল করছে।
একদম সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে আমরা বেড়াতে গিয়েছিলাম দেখলাম খেলাধুলার জন্য অনেক কিশোর ক্রিকেট ফুটবলে মেতে রয়েছে। এখানে বেশ কিছু খেলার মাঠ রয়েছে। আমাদের পান ধোয়া গেট থেকে শুরু করে একটি করে খেলার মাঠ একটি করে পুকুর রয়েছে এখানে। আর এই জায়গাটা বেশ মনোরম। তাই সর্ব শ্রেণীর ছেলেরা খেলাধুলায় মেতে ওঠে বিকেল মুহূর্তে।
আর কিছু দূর এগিয়ে গেলে লক্ষ্য করা যায় জায়গায় জায়গায় এভাবে বসে থাকার জন্য সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। কিছুটা কোয়াটারের সামনেও রয়েছে আবার কিছুটা ভেতরের পথের ধারে বিভিন্ন জায়গাতে রয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল এন্ড কলেজের সামনের একটা রয়েছে এমন।
প্রান্তিক গেটের দিকে যেতেই এটিএম বুথ রয়েছে। এখান থেকে স্বাচ্ছন্দে যে কোন মুহূর্তে টাকা তোলা সম্ভব হয়। এটা ছাত্রছাত্রীদের জন্য বেশ ভালো একটা প্লাস পয়েন্ট বলা চলে। আর প্রান্তিক গেটের পাশে রয়েছে অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট বেশিরভাগ স্টুডেন্টরা এখানেই খাওয়া দাওয়া করার চেষ্টা করে।
কোয়াটারের সামনে কিছু জায়গায় লক্ষ্য করে দেখলাম খুব সুন্দর ভাবে বিভিন্ন প্রকার ফুল গাছ সাজানো। আবার শাকসবজির গাছও রয়েছে অনেক। তবে বর্ষাকাল চলে আসায় অতিরিক্ত বোন জঙ্গল বেধে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রান্তে। শীতের সময় কোয়ার্টারগুলো সহ এরিয়া গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে কিন্তু এখন বন জঙ্গলের কারণে সুন্দর লোকেশন চোখে পড়াই কঠিন।
জাহাঙ্গীরনগর গেটের দক্ষিণে রয়েছে ওভারব্রীজ । এই ওভারব্রীজের ওপর দিয়ে দীর্ঘদিন যাওয়া আসা করেছি এবং এমনিতেই শীতল বাতাসের জন্য অবস্থান করেছি। খুবই ভালোলাগার এক মনোরম পরিবেশ এখানে রয়েছে, বিভিন্ন প্রকার দোকান ও রেস্টুরেন্ট। প্রচন্ড গরমের দিনে এই জায়গায় অবস্থান করতে খুবই ভালো লাগে। একদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় গেটের লাইটিং সিস্টেম, ফুলের সারি অপরদিকে ওভারব্রীজ ও রেস্টুরেন্ট গুলো হয়ে ওঠে আনন্দমুখর। আরো ভিড় নেমে আসে ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি ও চলাচল।
ফটোগ্রাফি | রেনডম |
---|---|
লোকেশন | ঢাকা সাভার |
ক্রেডিট | @helal-uddin |
ক্যামেরা | infinix mobile |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
ধন্যবাদ।
আমি হেলাল উদ্দিন, আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা ঢাকা সাভার, বিশ-মাইল। আমি বিবাহিত,একজন বেসরকারি চাকুরীজীবী। আমার @helal-uddin স্টিমিট আইডির নাম।
আমি ইতিমধ্যে আমার বন্ধুর কাছে থেকে শুনেছিলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় টি আয়তনে অনেক বড়। আজকে দেখছি আপনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনি বিশেষ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন পয়েন্ট গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর একটি কমেন্টের জন্য
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঘোরাঘুরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো।বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য দেখেও ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের সবার মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু। সর্বদা জাহাঙ্গীর নগর ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য মুগ্ধ করে আমাকে।
ভাই আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে অবশ্য কখনো ঢোকা হয়নি। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাইয়া। আশা করছি একদিন ঘুরে যাবেন জাহাঙ্গীর নগর ক্যাম্পাস থেকে।
অনেক অনেক ভালো লাগলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সুন্দর চিত্র দেখতে পেরে। আসলে মনোরম পরিবেশ,ঘোরাঘুরি করতে আমার খুবই ভালো লেগেছিল এখানে। ইনশাল্লাহ আবারো আমরা সবাই একসাথে এখানে ঘোরাঘুরি করব।
ইনশাআল্লাহ ভাইয়া। কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।।