ব্যায়াম সুস্থতার অপর নাম
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমরা আসলে আমাদের প্রতিদিনকার কাজগুলোর সাথে এতোটাই ব্যস্ত হয়ে পরি যে, আমাদের শরীরের যে একটা প্রয়োজন রয়েছে। আমরা সেই প্রয়োজনটা মেটাতে অক্ষম হয়ে পরি। অর্থাৎ শুধু খাবার খেলেই কিংবা ঘুমালেই আসলে শরীরের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায় না। শরীরে প্রয়োজন হয় কিছুটা ব্যায়াম। যেটা আমাদের প্রতিদিনকার রুটিনে আমাদের অবশ্যই রাখা উচিত। কিন্তু আমরা এই ব্যাপারটিকে একেবারেই ইগনোর করে যাই এবং একটা সময় এমন আসে যে, আমাদের শরীরটাকে আমরা আর আগের মতোন ব্যবহার করতে পারি না। অর্থাৎ আমাদের শরীর এবং মন আমাদের সাথে আর চলতে পারে না। কোনো কিছু করার আগেই আমাদের শরীরটা অনেক বেশি ঝিমিয়ে যায়। অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে পরি আমরা।
এই সব সমস্যার অনেক বড় একটি কারণ হলো, ব্যায়াম না করা। কারণ ব্যায়াম আমাদের শরীরের মাসেলগুলোকে আরো ভালো করতে সাহায্য করে। ব্যায়াম যে শুধুমাত্র শরীরের সুস্থতা বৃদ্ধি করে, তা নয়। ব্যায়াম আমাদের মনের সুস্থতা ও বৃদ্ধি করে। অর্থাৎ আমরা যখন ব্যায়ামের মতোন একটি পজিটিভ ব্যাপারে ব্যস্ত থাকবো।তখন কিন্তু আমরা আমাদের নেগেটিভ ব্যাপারগুলো ভুলে যাবো এবং আমরা যখন কায়িক পরিশ্রম করা শুরু করবো। তখন আসলে আমাদের মস্তিষ্ক ও অনেক ভালোভাবে কাজ করবে।
ব্যায়াম আমাদের শরীরকে সবসময় সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। যেমন, আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট থাকলে, আমরা ব্যায়ামের মাধ্যমে তা সরাতে পারি। বিভিন্ন হরমোনাল সমস্যাকে ওষুধের মাধ্যমে না সারিয়ে আমরা ব্যায়ামের মাধ্যমে সারাতে পারি। আমাদের বিভিন্ন ধরনের ব্যথার সমস্যাও কিন্তু সেরে যেতে পারে ব্যায়ামের মাধ্যমে। কিন্তু অবশ্যই ব্যায়াম করার সময় একটা ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে যে, আমরা ভুল কোনো ব্যায়াম যেনো না করি।
কারণ অনেক সময় ব্যায়াম করতে করতে আমরা এতোটাই সেই ব্যাপারটা মগ্ন হয়ে পরি যে। আমরা কি ভুল ভাবে ব্যায়াম করছি। নাকি ঠিক ভাবে ব্যায়াম করছি, সেটা আমরা কেউ খেয়াল করি না। যেটা অনেক সময় অনেক মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অর্থাৎ আমাদের জীবনে ব্যায়ামের প্রয়োজনীয়তা অনেক। কিন্তু সেটা অবশ্যই পরিমাণ মতো। পরিমাণের বেশি যেমন কোনো কিছুই ভালো নয় এবং পরিমাণের কম যেমন কোনো কিছুই ভালো নয়। ঠিক তেমনটাই ব্যায়ামের ব্যাপারটাও একই রকম।