শারীরিক কষ্টকে ছাড়িয়ে যায় মনের কষ্ট

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

যেহেতু তো মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছে। সেহেতু আমাদের নানা সময় নানা শারীরিক কষ্ট থাকবে। নানা মানসিক কষ্ট থাকবে। ব্যাপারটি একেবারেই স্বাভাবিক। আর এখানে শারীরিক কথা বলতে আমি একেবারে শরীরের যেসব রোগ বালাই হয়, সেসবের কথাই বলছি। আর মনের কষ্ট বলতে আমরা মাঝেমধ্যে যে খারাপ বোধ করি, সেটার কথা ই বলছি। কিন্তু আমি আজ যে ব্যাপারটি নিয়ে বলতে চাই। সেটা হলো,

আমাদের যতোই শারীরিক কষ্ট হোক না কেনো।অর্থাৎ ধরুন আমার কোনো খারাপ রোগ হলো কিংবা খুব কষ্টকর রোগ হলো এবং সেটাতে আমি অনেক বেশি কষ্ট পাচ্ছি। সেই কষ্টের চেয়ে আমার কাছে হাজার গুণ বেশি কষ্টকর মনে হয়, মনের কষ্টটাকে। অর্থাৎ ধরুন, আপনার কোনো একটা শারীরিক কষ্ট হচ্ছে। আপনি তাতে যে পরিমাণ কষ্ট পাবেন। তার চেয়ে হাজার গুণ কষ্ট পাবেন, যখন আপনার মনে কষ্ট হবে।

তাই আমার কাছে মনে হয় যে, মানসিক কষ্টটা একটা মানুষের অনেক বেশি হয়ে থাকে। আর আমরা শারীরিক কষ্টটা সহ্য করতে পারলেও। মানসিক কষ্টটা আমরা কোনোভাবেই সহ্য করতে পারি না। অর্থাৎ কেউ যখন আমাদের অনেক বেশি তীব্র কষ্ট দেয়। তখন আমাদের মনে হয় যে আমরা এ পৃথিবীতে না থাকলেই ভালো হয়। আর এই ধরনের ফিলটা কিন্তু শারীরিক কষ্টের সময় অনেক দেরিতে আসে। অর্থাৎ অনেক তীব্র হলে, তখন আসে। কিন্তু একটা মানুষ মনের কষ্টটা না কাউকে দেখাতে পারে, না সহ্য করতে পারে!

কষ্ট যখন সহ্য করা যায় না। তখন সেটা মৃত্যুর সমান কষ্ট দেয় মানুষকে। তাই আমার কাছে মনে হয় যে, জীবনে যতোই শারীরিক কষ্ট আসুক না কেনো। কখনো মানসিক কষ্ট না আসুক। কারণ মানসিক যন্ত্রণাটা সহ্য করা অনেক কঠিন হয়ে পরে। আর শুধুমাত্র এই একটা যন্ত্রণার কারণে কিন্তু মানুষ সবসময় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। একটু খেয়াল করে দেখবেন, শারীরিক কোনো অসুস্থতার জন্য আত্মহত্যা করতে কিন্তু খুব একটা দেখা যায় না। কিন্তু আমাদের চারপাশের অহরহর আত্মহত্যা দেখা যাচ্ছে। যেটা মানসিক কষ্টের কারণে হচ্ছে।