নিশ্চিন্ত জীবনে ছন্দপতন ( দ্বিতীয় পর্ব)
জহির বসতেই তার বস জানায় গতকাল রাতে একটা ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। তাদের প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সমস্ত টাকা কেউ উঠিয়ে নিয়েছে। আর যে এই কাজটি করেছে সে মালিক পক্ষের একজন। মূলত প্রতিষ্ঠানের যে মালিক তার মেয়ের জামাই এই দুষ্কর্ম করেছে। শশুর ভরসা করে তাকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিয়েছিলো। সে জালিয়াতি করে কিভাবে যেনো প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট থেকে সমস্ত টাকা ধীরে ধীরে তার একাউন্টে ট্রান্সফার করেছে। এটা এতদিন ধরে কেউ বুঝতে পারেনি।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
কিন্তু আজ সকালে যে ব্যাংকে একাউন্ট ছিলো সেখানকার ম্যানেজার ফোন দিয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিককে ঘটনাটি জানিয়েছে। জহিরের বস তাকে জানায় এক রাতের ভেতর তাদের প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। এখন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া ছাড়া তাদের হাতে আর কোনো অপশন নেই। তাছাড়া মালিকপক্ষের লোকজন নাকি জহির কেও সন্দেহ করছে এই ঘটনার জন্য। এই কথা শুনে জহিরের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। কিছুদিন আগে নতুন প্রমোশনের পরে জহির নানারকম স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলো। কিন্তু এক নিমেষে তার সমস্ত স্বপ্ন ভেঙে খানখান হয়ে গেলো।
জহির সেদিন অফিসে আর কাজ না করে বাড়িতে ফিরে যায়। বাড়িতে ফিরতেই জহিরের স্ত্রী অসময়ে তাকে দেখে জিজ্ঞেস করে কি ব্যাপার? হঠাৎ করে এই সময় বাসায় চলে আসলে যে? জহির বলে না তেমন কোন সমস্যা না। শরীরটা একটু খারাপ লাগছিলো এজন্য চলে আসলাম। এই কথা শুনে তার স্ত্রী অস্থির হয়ে যায়। তখন জহির তাকে আশ্বস্ত করে তেমন গুরুতর কিছু না। মাথাটা একটু ব্যথা করছে। জহির সারাদিন বসে চিন্তা করতে থাকে এখন সে কি করবে? (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।