অকুতোভয় সৈনিক (দ্বিতীয় পর্ব)
কিন্তু তাকে কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই রিশাদ দৌড় দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। রিশাদ বাড়ি থেকে বের হয়েই সোজা খেলার মাঠে চলে যায়। সেখানে গিয়ে দেখে সজীব বেশিরভাগ প্লেয়ার জোগাড় করে ফেলেছে। রিশাদ সেখানে পৌঁছাতেই সজীব জানায় বাদবাকি ২-৩ জন কিছুক্ষণের ভেতরেই মাঠে চলে আসবে। রিশাদ সবকিছুর জন্য সজীবকে ধন্যবাদ জানায়। খেলায় রিশাদদের দল জিতে যায়। আর দলের জয়ে রিশাদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দুই গ্রামের ভিতর খেলা হওয়ায় বিকালে খেলার মাঠে প্রচুর দর্শক সমাগম হয়।
গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করার জন্য সবাই রিশাদের অনেক প্রশংসা করে। কিন্তু তখন রিশাদের মনে অন্য চিন্তা কাজ করছিলো। কিভাবে সে বাড়িতে ঢুকবে সেটাই সে চিন্তা করছিলো। শেষ পর্যন্ত রিশাদ ধীরে ধীরে তার বাড়ির দিকে আগাতে থাকে। বাড়িতে ঢোকার আগে বেড়ার ফাঁক দিয়ে আগে দেখে নেয় তার মা কি করছে? সে উঁকি দিয়ে দেখে তার মা রান্নার কাজে ব্যস্ত রয়েছে। সেই সুযোগে রিশাদ লুকিয়ে লুকিয়ে তার ঘরে ঢুকে সরাসরি পড়ার টেবিলে বসে জোরে জোরে পড়তে শুরু করে।(চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
রিশাদ তো খেলার মাঠে যাওয়ার জন্য দারুণ টেকনিক বের করেছিলো। যাইহোক রিশাদের দল খেলায় জয়লাভ করে এবং রিশাদ ম্যাচের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।