দুই বন্ধুর দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ (পঞ্চম পর্ব)
তখন সে দালালেরা মুচকি হেসে বললো কারণ আপনি আমাদেরকে কিছু বাড়তি টাকা দেবেন। সাকিব তখন তাদেরকে জিজ্ঞেস করলো কত টাকা দিতে হবে? সেই দালালদের ভেতর একজন জানালো সর্বমোট ১০ হাজার টাকা দেবেন আমাকে। সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা সরকারি ফি আর বাদ বাকি সাড়ে চার হাজার টাকা আমার পারিশ্রমিক। সাকিব তখন তাদেরকে বললো আমার আপনাদের সাহায্যের কোন প্রয়োজন নেই। আমি একা একাই পাসপোর্ট করতে পারবো।
তারপর সে পাসপোর্ট অফিসের ভেতর ঢুকে একটা লাইনে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে পাসপোর্ট করার ফর্ম নিয়ে এলো। সে চিন্তা করলো সে একা একাই পাসপোর্ট করবে। কিন্তু পাসপোর্ট করতে গিয়েও সে নানা রকম ঝামেলার সম্মুখীন হোলো। অফিস থেকে তাকে একবার এটা ভুল হয়েছে তারপর ওটা ভুল হয়েছে এরকম নানা রকম কথা বলে ঘুরাতে লাগলো। তখন সাকিব চিন্তা করলো এখানেও বাড়তি টাকা ছাড়া মনে হয় কাজ হবে না। সাকিব পাসপোর্ট অফিসের অফিসার কে বললো ভাই অনেকদিন ধরে পাসপোর্ট করার জন্য ঘুরছি।
কিন্তু আমাকে শুধু বলা হচ্ছে নানারকম সমস্যার কথা। এখন আমাকে খুলে বলেন পাসপোর্ট করতে হলে কি করতে হবে? পাসপোর্ট অফিসের সেই কর্মকর্তা তখন মুচকি হেসে বলল আপনি এত কম বোঝেন কেন? কিছু বাড়তি টাকা দিলেই তো আপনাকে আর কোন ঝামেলা করতে হোতো না। তখন সাকিব সরাসরি সেই অফিসার কে বলে কতো টাকা দিতে হবে ? অফিসার সাকিবের কাছে সেই দশ হাজার টাকায় চায়। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।