দুই বন্ধুর দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ (দ্বিতীয় পর্ব)
তিনি বলতে থাকেন তোর বাবার বয়স হয়ে গিয়েছে। এখন এই সমস্ত কাজ যদি তুই না করিস কে করবে? সাকিব তার মাকে বললো তুমি কোনো চিন্তা কোরো না। সব কাজ আমিই করবো। একটু সময় দাও। এই কথা বলতেই সাকিবের মা সেখান থেকে চলে গেলেন। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সাকিব তার মাকে জানালো আজকে আর সে কলেজে যাবে না। সাকিবের মা জিজ্ঞেস করলো কলেজে যাবি না কেন?কলেজে নাকি আজকে মাত্র দুটো ক্লাস হবে।
সাকিব বললো শুধু শুধু দুটো ক্লাসের জন্য কলেজে গিয়ে লাভ নেই। তার থেকে আজকেই জমির মিউটেশনের কাজটা আর পাসপোর্ট করার ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে আসি। এর ভেতরে সাকিবের মোবাইল ফোনটা বেজে উঠলো। সাকিব বুঝতে পারল তার বন্ধু সুজন বাসার সামনে চলে এসেছে। কারণ সাকিব গতরাতেই সুজনকে বলে রেখেছিলো আজকে সে ভূমি অফিস এবং পাসপোর্ট অফিসে যাবে। সুজনের মোটরসাইকেলের হর্ণের শব্দ শুনতেই সাকিব তার মাকে বলল আমি এখন আসি মা।
তোমার সাথে পরে কথা বলবো। এই কথা বলে সাকিব দৌড়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেলো। নিচে নেমে সে মোটরসাইকেলে উঠে বসতেই সুজন মোটরসাইকেল চালাতে শুরু করলো। তারপর দুই বন্ধু গল্প করতে করতে প্রথমে গেলো ভূমি অফিসে। সেখানে গিয়ে তারা খোঁজখবর নিতে লাগলো যে মিউটেশন করতে কতো টাকা খরচ হবে? তারা একটি বোর্ডে চার্ট দেখতে পেলো। সেখান থেকে তারা জানতে পারলো মিউটেশন করতে খরচ হবে মাত্র ১৩০ টাকার মতো।(চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
মিউটেশন করতে মাত্র ১৩০ টাকা খরচ হলে তো ভালোই ছিলো 😂। কিন্তু কথা হলো নিজে নিজে দৌড়াদৌড়ি করে মিউটেশন করলেও ৪/৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। আর দালালের মাধ্যমে করলে তো ১০/১২ হাজার টাকা লেগে যায়। আমার দুই ধরনের অভিজ্ঞতা ই রয়েছে। যাইহোক দেখা যাক সাকিব কি করে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।