সব জ্ঞান ধরতে নেই!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
ছোটবেলা থেকেই আমাদেরকে যে ব্যাপারটা একেবারে মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে যে গুরুজনদের কথা কখনোই ফেলতে নেই। কারণ তারা যেহেতু অনেক বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এবং তারা যেহেতু অনেক বেশি জানে। তাই তারা যেটা বলে সব সময় সেটাই করা উচিত মানুষের এবং গুরুজনদের কথা সবসময় মান্য করা উচিত। কিন্তু আমি আজকে একটু ব্যতিক্রম ধর্মী কথাই বলবো।
প্রথমেই আমি নিজের একটি ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করি। তাহলে আপনারা আরো ভালো বুঝতে পারবেন। আমার আসলে অনেক বেশি হাত পা ব্যথার সমস্যা রয়েছে। অর্থাৎ বেশিরভাগ সময় মাসেল পেইন হয়। এখন আমার এক গুরুজন অর্থাৎ এক বয়স্ক আত্মীয় আমাকে সব সময় এটা বলে বিরক্ত করতে থাকে যে, আমি যদি একজন হুজুরের পানি পরা নিই কিংবা তেল পরা নেই। তাহলে আমার হাত পা ব্যথা নিমেষে চলে যাবে। কিন্তু আমি ডাক্তার দেখিয়ে এটা কনফার্ম করতে পেরেছি যে, আমার ভিটামিন ডি এর অভাবে হাত পা ব্যথা করে। আর ডাক্তার এটাও ক্লিয়ার করে দিয়েছে যে, ভিটামিন ডি এর জন্য ওষুধ খেয়ে খুব একটা লাভ হয় না। কারণ এটা শরীরে বেশিদিন থাকে না। তাই ভিটামিন ডি এর জন্য রোদ গায়ে লাগাতে হবে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এটার সাথে হুজুরের পানি পরার কোনো সম্পর্ক নেই।
তাই আমি এই টাইটেলটি লিখলাম। অর্থাৎ বড়রা অনেক সময় অনেক কিছু না জেনেই বলবে। কিন্তু একজন বড় বলেছে বলেই যে সেটাকে একেবারে বেদবাক্য হিসেবে ধরে নিতে হবে। এমন কোনো কথা নেই। কারণ অনেক সময় গুরুজনেরাও যে ভুল করতে পারে, সেটা আমাদের সমাজের মেনে নেওয়া উচিত। আর এটা মেনে নিলে আমার মনে হয় সমাজের অনেক কুসংস্কার এর ও মৃত্যু হবে। কারন খেয়াল করে দেখুন, সমাজে বেশিরভাগ কুসংস্কার এখনো হাত ধরে রয়েছে আমাদের গুরুজনদের। কারণ তারা না জেনেই অনেক মন্তব্য করেন এবং নিজেরা যেটা মন্তব্য করেন সেটাকেই সবচেয়ে পারফেক্ট বলে মনে করেন। তাই আমাদের দায়িত্ব হলো, কোনো সাজেশনটি নেওয়া উচিত এবং কোন সাজেশন টি নেওয়া উচিত নয় সেটা আগে বাছাই করা এবং সে অনুযায়ী কাজ করা।