মনের রোগ
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমাদের দেশে শরীরের রোগের চিকিৎসা রয়েছে এবং শুধুমাত্র আমাদের দেশে নয়। সারা বিশ্বেই শারীরিক রোগগুলো চিকিৎসা এতো বেশি ভালোভাবে এবং এতো সফলভাবে করা হয় যে। আজকালকার প্রায় প্রতিটা রোগের ঔষধ ই আমাদের খুব কাছে পাওয়া যায় এবং বিভিন্ন বিভিন্ন জটিল শারীরিক রোগের চিকিৎসার সুব্যবস্থাও আজকাল আমাদের সমাজে রয়েছে। অর্থাৎ আগে খুব সামান্য রোগের জন্য মানুষের মরতে হতো। তখন কিন্তু এই ধরনের চিকিৎসার সুব্যবস্থা ছিলো না। কিন্তু এখন দেশ, বিদেশে দারুন সব প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের মৃত্যুর হার একেবারেই কমিয়ে আনা হয়েছে। যেটা প্রশংসার দাবি রাখে।
কিন্তু আমাদের দেশে যে কনসেপ্টটি থেকে এখনো কেউ বেরিয়ে আসতে পারেনি। সেটা হলো, মানসিক সমস্যার জন্য ডাক্তার দেখানোর মানেই হলো পাগলামীর চিকিৎসা করা। আর এই ধারণা থেকে আমাদের সমাজ বেরিয়ে আসতে না পারার কারণেই কিন্তু মানুষ মানসিক সমস্যার জন্য ডাক্তার কখনোই দেখাতে চায় না।
মানসিক সমস্যাগুলো কিন্তু শারীরিক সমস্যাগুলোর মতো হুট করে ১,২ দিনে জটিল আকার সৃষ্টি করে না। কিংবা এক দুই মাসেও জটিল আকার সৃষ্টি করে না। মানসিক রোগগুলো জটিল আকার সৃষ্টি করতে অনেকটা সময় নেয়। কিন্তু আমরা মানুষরা কখনোই তা নিয়ে ডাক্তার দেখাতে যাই না। আমাদের সমাজের বিভিন্ন ধরনের কটু কথার জন্য।
আমরা পৃথিবীর সব কিছুকেই প্রাধান্য দেই। আমরা মানুষের নানা সমস্যাকে খুব গুরুত্ব সহকারেই দেখি। কিন্তু যে বিষয়টাকে একেবারেই গুরুত্বহীন বানিয়ে ফেলেছি, সেটা হলো মনের রোগ। মনের যে রোগ হতে পারে কিংবা মানুষের মানসিক যে রোগ হতে পারে। সেটা আমরা যেনো একেবারে মানতেই চাই না।
কারণ আমরা সব সময় ভাবি যে একটা মানুষ খাচ্ছে, ঘুরে বেড়াচ্ছে, ঘুমাচ্ছে। তাহলে তার আবার কি সমস্যা! কিন্তু সে যে মনে মনে কতোটা ভেঙ্গে পরছে কিংবা কতো কিছু ফেইস করছে সেটা সে কাউকে প্রকাশ করতে পারে না এবং যেটা প্রকাশ করতে পারে না আমরা সেটার কোনো অস্তিত্ব নেই বলেই মনে করি।
আমি মনে করি বিংশ শতাব্দীতে এসেও এই ধরনের ধারণা পোষণ করা অতি অন্যায়। আমাদের এই ব্যাপারটি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং অবশ্যই নিয়মিত নিজেদের মনের চিকিৎসা করাতে হবে। কারণ যদি আমার, আপনার মন ভালো না থাকে। তাহলে আমার, আপনার শরীরে কখনোই ভালো থাকবে না এবং সেটা আমাদের কাজের ও জীবনের জন্য কখনোই ভালো হবে না।
মনের রোগ কখনো একদিনে হয় না কিংবা এক দুই মাসে হয় না। এ রোগটি দীর্ঘদিনের সমস্যার সমন্বয় হয়ে থাকে। তবে যার মনে একবার রোগ হয় সেটা সহজে সেরে উঠে না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।