দুনিয়া কতো কঠিন!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার জীবনের একটি ঘটনা শেয়ার করবো। অর্থাৎ একেবারে আমার নয়। আমি দেখেছি এমন একটা ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করছি যে ঘটনাটি শুনে আপনাদেরও আমার মতোই মন খারাপ হবে। যাই হোক আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করি।
আমি একজন ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট। তো প্রতিনিয়ত ক্লাস করতে যেতে হয় আমাকে। এবং সে কারণেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন টিচার বিভিন্ন প্রফেসরদের সাথে পরিচিত হই।ঠিক তেমনই একটা টিচারের জীবনের গল্প আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। অর্থাৎ খুব ছোট একটা গল্প। কিন্তু যারা এই গল্পের অনুভূতিটাকে অনুভব করতে পারবে। তারাই আসলে আজকে আমার খারাপ লাগারটাও অনুভব করতে পারবে।
আমার একজন ফিমেল টিচার ছিলো।যিনি কনসিভ করেছিলো এবং ওনার তখন প্রায় আট মাস রানিং ছিলো। এবং তখনও তিনি ক্লাস নিচ্ছিলো। তো আমরা একদিন জিজ্ঞেস করলাম যে ম্যাম আপনার এতো খারাপ অবস্থা, আপনি এতো অসুস্থ। আপনি তো লিভ নিতে পারতেন। আপনি তাও কেনো ছুটি নিচ্ছেন না। তিনি আসলে উত্তরে যেটা বললেন। সেটা হচ্ছে, উনি বাচ্চা জন্মগ্রহণ করার পরে ছুটি নিতে চান। যাতে তার বাচ্চা খুব ভালো টেক কেয়ার পায় উনার। অর্থাৎ একটু বেশি সময় ধরে উনি উনার বাচ্চার যত্ন নিতে পারেন।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো। তার কয়েকটা দিন পরে উনার বাচ্চাটি মারা গিয়েছিলো। শুধুমাত্র অতিরিক্ত জার্নির কারণে। যেহেতু আমাদের ইউনিভার্সিটির শহর থেকে বেশ অনেকটাই দূরে। বলতে গেলে একেবারে গ্রামের দিকে। তাই আসা যাওয়াতে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হয়। এরপরে আবার ছয় থেকে সাত তলাতে সিঁড়ি বেয়ে উঠে ক্লাস করাতে হয়। যেটা একজন কনসিভ করা মায়ের পক্ষে প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার। তাহলে চিন্তা করুন যে, দুনিয়া আসলে কতোটা কঠিন।
যেই মানুষটি তার বাচ্চাকে একটু সুখ দেওয়ার জন্য নিজের শরীরকে কষ্ট দিচ্ছিলো। সেই বাচ্চাটাই শেষ পর্যন্ত আর রইলো না। আর ৮ মাসের একটা বাচ্চা মানে কিন্তু অনেক বড়সড়ো একটি বাচ্চা এবং তার মায়ের সাথে তার কানেকশনটাও অনেক বেশি। তাই হয়তো আমরা কেউই ওই ম্যাডামের কষ্টটা ফিলো করতে পারছি না।