দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা। পর্ব: ০৪
আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
লিংক
আসলে আমি চেষ্টা করি যে আমার দৈনন্দিন জীবনে যেসব ঘটনা ভোলার মত নয় সেই সব ঘটনাগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। প্রতিনিয়ত আমরা যখন বাইরে বের হই তখন আমাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে। ঠিক তেমন একটি ঘটনা আমার চোখের সামনে ঘটে গেল। আসলে যেহেতু কাজের জন্য আমরা বিভিন্ন জায়গায় বের হই তাই আমরা নিজেদের পরিবারকে নিয়ে মোটেও বাইরে বেরোনোর মত সময় পাইনা। তাই আমি আমার পরিবারকে নিয়ে একটু বাইরে বের হলাম ঘুরে দেখার জন্য যেহেতু আমাদের বাড়ি থেকে গঙ্গা বেশি দূরে নয়, তাই আমরা সাধারণত ফাঁকা সময়ে সেই গঙ্গার পাড়ে ঘুরতে যাই। আসলে যেহেতু গঙ্গার পারে এই গরমের সময় হাওয়া থাকে এবং ওখানকার পরিবেশটা অনেক বেশি ঠান্ডা থাকে। আসলে সেজন্য সবাই মিলে হেঁটে হেঁটে আমরা গঙ্গার দিকে যেতে শুরু করলাম। আসলে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে বিভিন্ন ধরনের খাবারও আমরা কিনতে লাগলাম।
কেননা আমরা গঙ্গার পাড়ে বসে খাবার খাব এবং সেই সময়টা উপভোগ করব। যাই হোক আমরা গঙ্গারপাড়ে যখন গেলাম তখন লোকজন প্রায় নেই বললেই চলে। আসলে আমরা যেখানে বসেছিলাম তার থেকে একটু দূরে কতগুলো ছোট বাচ্চাদের দেখতে পেলাম। আসলে বাচ্চাগুলো মাঝে মাঝে দৌড়াদৌড়ি করছে এবং কেউ কেউ আবার জোরে গালিগালাজ করছে। আসলে আমি সেই ব্যাপারটা তেমন একটা প্রাধান্য দিলাম না। যেহেতু আমি পরিবার নিয়ে এসেছি তাই আমরা পরিবারের সঙ্গে গল্প গুজবে মেতে রইলাম। এরপর আমি আস্তে আস্তে এক জায়গায় না বসে থেকে একটু চারিপাশ ঘুরতে লাগলাম। আসলে এক জায়গায় বেশিক্ষণ বসে থাকতে আমার বেশি ভালো লাগে না। এছাড়াও আস্তে আস্তে অল্প অল্প কিছু লোকজন সেই গঙ্গার পাড়ে এলো।
এরপর আমি হঠাৎ করে যখন সেই বাচ্চাদের কাছাকাছি গেলাম তখন একটা বিষয় দেখে সত্যিই আশ্চর্য হয়ে গেলাম। কেননা এই জিনিসটা আমার দেখতে হবে আমি তখন এই জিনিসটা সম্পর্কে মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। আসলে আমি গিয়ে দেখি সেসব বাচ্চারা বিভিন্ন ধরনের নেশা করছে। আসলে আমি ওই বাচ্চা গুলোর ভিতর একজন বাচ্চাকে দেখলাম যে সে একটা পলিথিনের ভেতর কি একটা দিয়ে সেই পলিথিনটা নাকের কাছে ধরে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে। আসলে আমি তৎক্ষণাৎ টের পেয়ে গেলাম যে সেই বাচ্চাটি ডেনড্রাইড দিয়ে নেশা করছেন। আসলে ডেনড্রাইড হলো একটা ক্ষতিকর নেশা জাত দ্রব্য। আসলে এই ডেনড্রাইড বিভিন্ন পাইপশিল্পে অর্থাৎ যারা প্লাম্বিং এর কাজ করে তারা এই ডেনড্রাইড ব্যবহার করে পাইপ লাগানোর জন্য। আর এইসব ডেনড্রাইড কিন্তু বাচ্চাদের কাছে বিক্রয় করা সম্পূর্ণ নিষেধ।
যাইহোক বাচ্চারা পর্যায়ক্রমে সেই ডেনড্রাইট এর নেশা করছে এবং একজন বাচ্চাকে দেখলাম যে সে আবার একটা সিগারেট ধরিয়েছে। আসলে এই ব্যাপার গুলো দেখে আমার সত্যিই খুব খারাপ লাগছিল। কারণ এই বাচ্চাগুলো এই বয়সে এত কঠিন নেশা করছে তাহলে এরা পরবর্তী বয়সে কি হবে তা ভাবতেই আমার ভয় হচ্ছিল। আসলে এইসব বাচ্চাদের গার্জিয়ান বলতে তেমন কেউ নেই মনে হয়। আসলে এইসব বাচ্চারাই কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের খারাপ কাজে লিপ্ত হয়। আসলে আমরা যদি সবাই মিলে এইসব বাচ্চাদেরকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিই এবং এরা যদি ভালো শিক্ষা পায় তাহলে হয়তোবা তারা আর কখনো এই ধরনের নেশা করবে না। আসলে যেহেতু সংখ্যায় অনেক বাচ্চা ছিল তাই আমি তাদেরকে প্রতিবাদ করতে পারলাম না। কারণ তারা অলরেডি নেশায় আসক্ত হয়ে আছে এবং আমি যদি কোন কিছু বলি তাহলে তারা আমার উপর চড়াও হতে পারে। যাইহোক আমরা আর বেশিক্ষণ দেরি না করে আবার বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।