প্রসঙ্গঃনাটক রিভিউ "ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন-৪ এর পর্ব:৩ // ১০% ভালোবাসা @shy-fox]
সবাইকে-অভিনন্দন
আমি @hayat221 বাংলাদেশ🇧🇩🇧🇩 থেকে
ভালোবাসা নিবেন,
আজ- ১০ই, চৈত্র / ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ / বসন্তকাল / শুক্রবার /
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। বরাবরের মত আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্য কে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের পোস্ট শুরু করতে চলেছি। আমি আজকে শেয়ার করতে চলেছি, নাটক রিভিউ "ব্যাচেলর পয়েন্ট" সিজন-৪ এর পর্ব:৩। চলুন তাহলে রিভিউ পড়ে নেয়া যাক।
বাংলাদেশ নাটক বিখ্যাত। সব নাটক অনেক ভালো লাগে। তার মধ্যে থেকে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সেরা নাটক বেচেলার পয়েন্ট। আজ থেকে তিন বছর আগে শুরু হয়েছিল বেচেলার পয়েন্ট। বেচেলার পয়েন্ট এর পর। চলে আসল সিজন-১ এমনকি পর্ব হয়ে। এভাবে চলতে থাকলো। সবাই দেখতে লাগল অনেক আনন্দের সাথে। হঠাৎ করো না আসার পর মাঝখানে বন্ধ ছিল। আবারো চলে আসলো সিজন-২ এভাবে চলতে চলতে সিজন-৩ চলে আসলো এমনকি সেটাও শেষ হলো। কিছুদিন হচ্ছে সিজন-৪ আসার। আমার অনেক পছন্দের ও জনপ্রিয় নাটক। আশাকরি শুধু আমার না সবার। যাইহোক একটু আলোচনা কর নেই কে কে আছে অভিনয়।
আসুন জেনে নেই কে কে ছিল অভিনয়ে। সবার মধ্যে সেরা কয়েকজন। ১. জিয়াউল হক পলাশ (কাবিলা),
২. মোহাম্মদ রাসেল হক (পাশা),৩. মিশু সাব্বির (শুভ),৪. চাষী আলম (হাবু ভাই)। এরা হচ্ছে জনপ্রিয় সেরা অভিনেতা আমার কাছে, আরো অনেকেই আছে।
তার মধ্যে থেকে কাবিলার কথা না বললেই নয়। যেখানেই নাটক সেখানেই কাবিলা। কাবিলার কথা বলার ভাবভঙ্গি ও স্টাইল অন্যরকম। সে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের ক্রাশ।
নাটকটির পরিচালকঃ কাজল আরেফিন অমি।
রিভিউ তৃতীয় পর্ব
পর্ব ৩ এর নাটকের শুরুতে শিমুল পাশা ভাই এর রুমে সেই মাথার ব্যান নিয়ে। তারপর সেটা সে পাশা ভাই কি দেখায়। পাশা ভাই ও চমকে যায়। তারপর শিমুল ও পাশা ভাই তাদের দুজনের মাঝে একটু কথোপকথন হয়। শিমুল একটু বেশি কথা বলায় পাশা ভাই রেগে গিয়ে, এএএএএএ আওয়াজটি দিয়ে দেয়। তারপর সেই কাকরা নিয়ে পাশা ভাই চলে যায় শুভর কাছে। শুভর কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করে এটা কার কাকরা। শুভ তখন একটু চমকে যায় আর বলে আমি জানিনা এটা কার কাকরা বা ব্যান। তখন পাশা ভাই বলে ফেলে পার্সোনাল কেউ আসছিল নাকি বাইরের কেউ। আমাদেরও বলতি আমরা কি ভাগ চাইতাম। এসব কিছু শোনাতে শুভ রেগে যায়। বলে কি সব বলেন আপনি। শুভ তখন উল্টা-পাল্টা খাওয়ায় পাশা ভাই কে। বলে যদি আপনি নিয়ে আসেন এটা। তখন পাশাপাশি বলে আমি কাউকে আনলে লুকিয়ে আনিনা সবার সামনে দিয়ে নিয়ে আসি। পাশাপাশি বলে যারে নিয়ে আসছো তার সাথে আমার বন্ধুত্ব করে দে। শুভ এসব কিছু শুনে আরো রেগে যায় তারপর জ্বরের তালবাহানা দেখায়।তখন পাশা ভাই মাথার ব্যানটা নাকের কাছে নিয়ে সেন্ড নেয় আর বলে কি সুভাষ। তখন শুভ আরো রেগে যায় আর তাকে নানান ধরনের কথাবার্তা বলে পাগল থেকে শুরু করে।
তারপর চলে আসে কাবিলা ভাইয়ের পালা। জেলের ভেতরে থাকা কাবিলা ভাই বন্দী অবস্থায়। পাশা ভাই এর ভাই ব্রাদাররা কাবিলার খোঁজ পায়। তখনই চলে যায় কাবিলার খোঁজে। জেলের মধ্যে গিয়ে একটা করে সবাইকে বলে কাবিলা কে। তখন কাবিলা ভয়ে ভয়ে বলে আমি কাবিলা। তখনই দেখে জড়াইয়া ধরে বলে তুমি পাশা ভাই এর ছোট ভাই আগে বলবা না। তারপর সবার সাথে ভালো করে পরিচয় করিয়ে দেয়। আর বলে তার সাথে গিয়ে থাকার জন্য। কিন্তু কাবিলা ভাই একটু খবর নিয়ে বলে তার সাথে থাকবে না সে এখানেই থাকবে। সবার সাথে পরিচয় করে দেওয়ার পর তার সাথে না যাওয়াতে সে একা চলে যায়। সে যাওয়ার পর পর শুরু হয় কাবিলা ভাইয়ের অন্য চরিত্র অর্থাৎ নায়ক নায়ক ভাব। সে বাকি থাকা লোকগুলো দিয়ে হাত পা টিপা নেয়। কালকে দিয়ে আবার মাথার চুল টেনে নেয়। বেশ ভালো লাগছিলো কাবিলা ভাইয়ের ওই চরিত্রের অভিনয় গুলো।
তারপর রাস্তায় চলাকালীন অবস্থায় পাশা ভাইয়ের সাথে দেখা হয় রিয়ার। তারপর রিয়া কাবিলার খোঁজ-খবর চায়। তখন পাশা ভাই বলে সে তো জেলের ভেতরে।তখন রিয়া বলে কাবিলা জেলে কেন।পাশা ভাই বলে সে মার্ডার করে জেলের ভেতরে।সেটা রিয়া বিশ্বাস করতে পারে না। রিয়া বলে কাবিলা কে দেখে মনে হয় না সে মার্ডার করতে পারে। আরো বলে আপনাকে দেখে মনে হয়, কাবিলা কে দেখে নয়। এসব কিছু বলা-বলির পড়ে পাশা ভাই বলে কাবিলাকে জেলের ভেতর থেকে বের করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হচ্ছে।তখন রিয়া কিছু টাকা দিতে চাই। আর পাশা ভাই সঙ্গে-সঙ্গেই শুনে নিতে চায়।
তারপর শুভর ফোনে ফোন চলে আসে হাবু ভাইয়ের। হাবু ভাই কিন্তু বিদেশে থাকার কথা। কিন্তু তার পাসপোর্ট আর ভিসা সমস্যা থাকার কারণে সে বিদেশে থাকতে পারেনা। এমনকি পুলিশের কাছে ধরা খায় হাবু ভাই। কোন রকম বেঁচে সে চলে আসে আবার দেশে।
এর ভিতর কাবিলা দেখা করে ওই পাশা ভাই এর আসামি এর সাথে অর্থাৎ বন্ধুর সাথে। কাবিলা ভাই তার কাছ থেকে শুনতে চায় সে কি করে জেলের ভেতরে। সে কয়টা মার্ডার করেছে। কিন্তু সে তো মার্ডার করে আসেনি। সে ফুলদানি দিয়ে একজনের মাথায় বাড়ি দিয়েছে সে থেকেই সে মরে গেছে। তাই এখন সে জেলের ভেতর। সবকিছু শুনে কাবিলা হাসি আর বলে এসব করে আসছেন আপনি। আমিতো ভাবছিলাম কত মার্ডার করেছেন। তাহলে তো আপনাকে আর ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। সঙ্গে সঙ্গে কাবিলা কাছ থেকে সিগারেট চায়।
এদিকে হাবু ভাই চলে আসে এয়ারপোর্টে অর্থাৎ বিদেশ থেকে বাংলাদেশে। শুভ,পাশা ভাই ও শিমুলের সাথে দেখা হয়ে যায়। তাদের সাথে কোলাকুলি করে সেই পর্ব শেষ হয়ে যায়।
ওখানেই শেষ হয়ে যায় তৃতীয় পর্ব।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার সুন্দর নাটক রিভিউটি পড়ার জন্য। আজকে এখানেই শেষ করলাম।
শুভেচ্ছান্তে-
@hayat221
যদিও নাটকটি দেখা হয়না তবে রিভিউ দেখে মনে হচ্ছে বেশ হাস্যরসাত্মক একটি নাটক হবে। খুবই সুন্দর এবং চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন ভাই নাটকটির রিভিউ। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর করে আলোচনা গুলো তুলে ধরার জন্য।
আপনি আমার খুব পছন্দের নাটকের রিভিউ দিয়েছেন। আমি ব্যাচেলর পয়েন্ট এর সবগুলো সিজন দেখেছি। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। নাটকের দৃশ্য সংলাপ এবং চরিত্র গুলো খুবই অসাধারণ হয়ে থাকে। এত সুন্দর নাটকের রিভিউ দেয়ার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ ভাইয়া গঠনমূলক একটা কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য। ব্যাচেলর পয়েন্ট এমন একটা নাটক যা সবার কাছে প্রিয়। ধন্যবাদ।
এই পর্বটি আমার দেখা হইছিলো না। তবে আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো ধারণা পেয়ে গেলাম। পাশার সাউন্ড টা এই নাটকের একটা বড় আকর্ষন আমার কাছে। আর কাবিলা ভাই তো বেস্ট।
অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার কমেন্ট পড়ে। বিনোদনের জন্য এটা আপনার জন্য অত্যন্ত জরুরি ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া পাশে থাকার জন্য।
বেচেলর পয়েন্ট নাটক টি আমার খুবই পছন্দের একটি নাটক। একমাত্র এই নাটকের জন্য এই সপ্তাহে তিন দিন অপেক্ষা করি। আপনি খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করেছেন। আমার পছন্দের নাটকের রিভিউ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ নিজের মতো করে সুন্দর করে আপনি আপনার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন কমেন্টের মাধ্যমে। অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া পাশে থাকার জন্য।
ভাইয়া আমার কাছে আগে তেমন একটা পছন্দ ছিল না ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটক টা।তবে আমার হাসবেন্ড তো ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটকের পাগল বললে চলে। আমার সাথে কথা বলে থাকতে পারবে এই নাটক না দেখে থাকতে পারবে না। আগে আমি ওর সাথে রাগ করতাম আর এখন আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে। সব পর্ব আমি দেখি।আর ভাইয়া আপনি অনেক দারুণ ভাবে ব্যাচেলর পয়েন্ট এর রিভিউ দিয়েছেন।আপনার উপস্থাপনা অনেক সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
জি আপু দারুন একটা নাটক। তবে আপনি আবার ভাইয়ার সাথে কোন ঝগড়া করবেন না এই ব্যাপারে। কেননা কাজের পাশাপাশি একটু বিনেদন প্রয়োজন। ধন্যবাদ আপু পাশে থাকার জন্য।
একসময় আমাদের দেশে কি সব অসাধারন নাটক হোতো। এখন আর তেমন নাটক দেখা যায় না। তারপরেও এই নাটকটি আমার কাছে ভালো লেগেছে। আগের সিজন গুলি ভালো মতো দেখা হয়নি। তাই এবার শুরু থেকেই দেখা শুরু করেছি । এই পর্বটি ও ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাইয়া প্রতিনিয়ত আমাদের দেশে নাটক অনেক এগিয়ে থাকে। আমিও অনেক দেখেছি সবগুলি সিজন। খুব সুন্দর ও আকর্ষণীয় একটা নাটক। যা সবার প্রিয়। ধন্যবাদ ভাইয়া।