[প্রসঙ্গঃ আবোল-তাবোল জীবনের গল্প "নেশা" ১০% ভালোবাসা @shy-fox]


সবাইকে-অভিনন্দন

আমি @hayat221 বাংলাদেশ🇧🇩🇧🇩 থেকে

ভালোবাসা নিবেন,


আজ- ২০ই, ফাল্গুন / ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ / বসন্তকাল / শনিবার /


আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। বরাবরের মত আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্য কে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের পোস্ট শুরু করতে চলেছি। আমি আজকে শেয়ার করতে চলেছি, আবোল-তাবোল জীবনের গল্প "নেশা"। চলুন তাহলে পড়ে নেয়া যাক।

IMG_20220306_012701.jpg



আমরা আমাদের চারপাশে অনেক কিছুই দেখি, অনেক কিছুই শুনি,অনেক কিছুই পড়ি। সবকিছুই যেন একটা নেশায় পরিণত হয়ে গেছে।আমরা আমাদের জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রেই নেশায় অভ্যস্ত। একেক জন একেক রকম ভাবে অভ্যস্ত। উদাহরণস্বরূপ হিসেবে একটা জিনিস এই বলব সেটা হচ্ছে, স্কুলপড়ুয়া একজন ছাত্রের কথা। আমরা যখন ক্লাস নিম্ন মাধ্যমিক শেষ করে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হলাম। তখন হচ্ছে ক্লাস ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। আমরা প্রায় ১০০ জনের মতো ছাত্র ছাত্রী ছিল। তারমধ্যে ছেলের সংখ্যা একটু বেশি ছিল। সেই ছেলেদের মধ্যে একটি ছেলে ছিল আমাদের বন্ধু। সে প্রতিনিয়ত স্কুলে আসতো আর টিফিনের সময় পলাতক। আমরা যখন স্কুলে পড়া অবস্থায় ছিলাম, সকাল ১০ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত। এর মাঝখানে দুপুর ১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত টিফিন ছিল। এই টিফিনের সময় সেই বন্ধু বা সেই ছাত্র প্রতিনিয়ত স্কুল থেকে পালাত। এভাবে তাকে দেখে দেখে আরও বেশ কয়েকজন তার দলে যোগ দিল। এ থেকে সবার নামে তারা পলাতক ছাত্র হিসেবে চিহ্নিত। তবে তাদের উদ্দেশ্যে আমাদের এক স্যার ছিল, তাদের প্রতি কড়া নজর। তবুও কাজ হলোনা। কাজ না হওয়াতে ঐই স্যার পরামর্শ নিল তাদেরকে লোভ দেখাতে হবে বা কিছুর নেশায় আসক্ত করতে হবে। তাদের জন্যই বরাদ্দ দিয়ে দিলো ১০ টাকা করে। এই ১০ টাকার লোভে বা নেশায় তারা প্রতিনিয়ত তারপর থেকে টিফিনের পর ক্লাস করত। তা থেকেই তারা মাঝেমধ্যে পালালেও বেশ ভালোই উপস্থিত ছিল।


আমি আমার বন্ধুর নামটা নিলাম না। অপরিচিত হয়েই থাক আপনাদের মাঝে। তবে এটা বলতে পারি, সে এখন দেশের জন্য জীবন বলি দেওয়ার শপথ নিয়ে কর্মজীবনে ব্যস্ত। আমরা এখনো ছাত্র রয়ে গেলাম।


আশাকরি আপনারাও আপনাদের বন্ধুদের এরকম আচরণ এর অভ্যস্ত দেখেছেন। এরকম পলাতক ছাত্র প্রতিটা শ্রেণিকক্ষে রয়েছে যেটা চিরন্তন সত্য। সেটা আপনাদের বন্ধু হতেও পারে। কার কার এমন বন্ধু রয়েছিল অবশ্যই আমাকে জানাবেন। আমার তো রয়েছেই।


ধন্যবাদ সবাইকে আমার অনুচ্ছেদটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য। আজকে এখানেই শেষ করলাম। পরবর্তীতে আবার দেখা হবে কোন এক পোস্ট নিয়ে।


আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এর মধ্যে কোনো রকম ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন। আবারো ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকে এখানেই শেষ করলাম।


শুভেচ্ছান্তে-
@hayat221


Logo.png



Sort:  
 2 years ago 

খুব সুন্দর একটি বাস্তব উদাহরণ দিয়েছেন ভাই ভালো লাগলো অনেক। আসলে কিছু কিছু নেশা আছে যা আমাদের পরিবর্তন এনে দেয়। টাইটেলে যে ছবিটি ব্যবহার করেছেন দেখে মনে হচ্ছে দিনাজপুরের রাবার ড্রাম 😍

আপনার লেখা নেশা গল্পটি অনেক সুন্দর ছিলো। খুব সুন্দর সুন্দর কথা শেয়ার করেছেন দেখছি। ভালো লাগলো গল্পটি পরে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি গল্প আমাদের কে উপহার দেওয়ার জন‍্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন‍্য।

 2 years ago 

ভাই খুব সুন্দর একটি ঘটনা তুলে ধরেছেন আপনি। আসলে সব নেশাযই যে খারাপ তা কিন্তু নয়। আপনার গল্পটিতেই বোঝা গেল মানুষকে মাঝে মাঝে ভাল পথে আনতে হলে একটু লোভ দেখাতে হয়। যাই হোক সুন্দর ছিল লেখাটি। তবে সাইজে অনেক ছোট হয়ে গেছে। আরেকটু বড় করে লেখার চেষ্টা করলে ভালো হয়। সেইসঙ্গে আমাদের এডমিন হাফিজ ভাই আবোলতাবোল শিরোনামে একটি ধারাবাহিক আর্টিকেল লিখেন। আপনার এই পোস্টটি পড়লে তিনি কিন্তু আপনার নামে কপিরাইটের মামলা করে দেবেন হাহাহাহা।

 2 years ago 

হ্যাঁ আপনি ঠিক বলেছেন আমরা অনেক কিছুই শুনি, অনেক কিছুই পড়ি। আমাদের জীবনে একটা নেশায় পরিণত হয়ে গেছে। আসলেই আসলে আমাদের বন্ধুরাও এরকম ছিল। পলাতক সকালে আসতো তারপরে টিফিনের সময় উধাও হয়ে যেত।

আপনি অনেক সুন্দর একটি গল্প নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন। সত্যিই নেশা মানুষকে এক ধরনের আকৃষ্ট করে তোলে। এবং এই নেশা যদি হয় ভালো কিছুর নেশা তাহলে প্রতিটি মানুষের জীবনে বদলে যাবে এই নেশার কারণে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি অনুচ্ছেদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 56477.82
ETH 2390.38
USDT 1.00
SBD 2.33