[প্রসঙ্গঃনাটক রিভিউ "ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন-৪ এর পর্ব:৬ // ১০% ভালোবাসা @shy-fox]
সবাইকে-অভিনন্দন
আমি @hayat221 বাংলাদেশ🇧🇩🇧🇩 থেকে
সবাইকে জানাই পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা,
আজ- ০১,বৈশাখ /১৪২৯,বঙ্গাব্দ / গ্রীষ্মকাল/ বৃহস্পতিবার /
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। বরাবরের মত আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্য কে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের পোস্ট শুরু করতে চলেছি। আমি আজকে শেয়ার করতে চলেছি, নাটক রিভিউ "ব্যাচেলর পয়েন্ট" সিজন-৪ এর পর্ব:৬। চলুন তাহলে রিভিউ পড়ে নেয়া যাক।
বাংলাদেশ নাটক বিখ্যাত। সব নাটক অনেক ভালো লাগে। তার মধ্যে থেকে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সেরা নাটক বেচেলার পয়েন্ট। আজ থেকে তিন বছর আগে শুরু হয়েছিল বেচেলার পয়েন্ট। বেচেলার পয়েন্ট এর পর। চলে আসল সিজন-১ এমনকি পর্ব হয়ে। এভাবে চলতে থাকলো। সবাই দেখতে লাগল অনেক আনন্দের সাথে। হঠাৎ করো না আসার পর মাঝখানে বন্ধ ছিল। আবারো চলে আসলো সিজন-২ এভাবে চলতে চলতে সিজন-৩ চলে আসলো এমনকি সেটাও শেষ হলো। কিছুদিন হচ্ছে সিজন-৪ আসার। আমার অনেক পছন্দের ও জনপ্রিয় নাটক। আশাকরি শুধু আমার না সবার। যাইহোক একটু আলোচনা কর নেই কে কে আছে অভিনয়।
আসুন জেনে নেই কে কে ছিল অভিনয়ে। সবার মধ্যে সেরা কয়েকজন। ১. জিয়াউল হক পলাশ (কাবিলা),
২. মোহাম্মদ রাসেল হক (পাশা),৩. মিশু সাব্বির (শুভ),৪. চাষী আলম (হাবু ভাই)। এরা হচ্ছে জনপ্রিয় সেরা অভিনেতা আমার কাছে, আরো অনেকেই আছে।
তার মধ্যে থেকে কাবিলার কথা না বললেই নয়। যেখানেই নাটক সেখানেই কাবিলা। কাবিলার কথা বলার ভাবভঙ্গি ও স্টাইল অন্যরকম। সে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের ক্রাশ।
নাটকটির পরিচালকঃ কাজল আরেফিন অমি।
রিভিউ ষষ্ঠ পর্ব
তারপর আংকেল চলে যাওয়াতে কাবিলা ভাই স্বীকার করে নেয় আমি এতক্ষণ যাবৎ যা বলেছি সবগুলা মিথ্যা কথা। সে আন্টির কাছে স্বীকার করে নেয়। আর আন্টিকে বলে আমি যখন প্রথম জেলের ভিতরে যাই, জেলের ভিতর ঢুকিয়ে আমার আম্মার কথা মনে পড়ছে। তারপর কাবিলা ভাই অনেক সহানুভূতি শেয়ার করলো। কাবিলা ভাই বলল কত না খেয়েছিলাম, জীবনে তো কখনো না খেয়ে থাকিনি। এগুলো যদি আমার আম্মা জানত তাহলে অনেক কষ্ট পেতো। জেলের ভেতরে থাকা অনেক মানুষ দেখেছে কাবিলা ভাই তা দেখতে দেখতে তার বাবার কথা মনে পড়ে গেছে। অনেক সহানুভূতির সাথে সবগুলো কথা বলল, আন্টিকে। আর বলল আমার আম্মা যদি জানতো কতই না মানহানি হত। পরিশেষে সবকিছু আন্টি শুনে নিজেই কাঁদিয়ে ফেলল আর বলল জেলখানার ভিতরে তুমি অনেক কষ্টে ছিলা। আজকে থেকে তোমার যা যা খেতে ইচ্ছা করে আমাকে বলবা আমি খাওয়াবো।
তারপর কাবিলা আর কাবিলার মা একসাথে বসে গল্প করে। গল্প করার ফাঁকে ফাঁকে কাবিলা তার মাকে দেখায় আপনি তো আমাকে টাকা পাঠানোর সময় কিপটামি করেন। আপনিতো মনে করেন আমি টাকা খরচ করে ফেলি। দেখেন কত বড় মোটা মোটা বই কিনি। এর আগের বার যত্ত বই কিনিছি সব পড়তে পড়তে ছিড়ে ফেলেছি। কাবিলার চাপা মারতে মারতে তার মা বলে থাম। আমারতো আর কোন ইচ্ছা নাই বাবা তুমি পড়ালেখা শেষ করে নোয়াখালী গিয়ে, ব্যবসা করবা, বসে খাবা, রাজনীতি করবা যেটা তোমার মন চায় করতে সেটাই করবা। তখন এই কাবিলা ভাই বলে ওঠে, আমি পড়ালেখা শেষ করে নোয়াখালীতে গিয়ে এমপি তে রাজনীতি করব। তারপর কাবিলার মা বলে আমি নিশ্চিত আমার ছেলে, চুরি-চামারি, নেশা সব ছেড়ে দিয়েছে। তখনই কাবিলা তার মাকে সঙ্গে সঙ্গে চুপ করতে বলে। তারপর তার মা রোকেয়ার কথা জিজ্ঞেস করে। কাবিলা বলে রোকেয়া কে। তার মা হতবাক হয়ে বলে রোকেয়া কে চিনো না, কাবিলা ভাই বলে না। তখন তার মা বলে আমার ছেলে পুরোপুরি ভালো হয়ে গেছে।
তারপর কাবিলা ভাইয়ের মা তাকে নোয়াখালী যাওয়ার জন্য বলে কিন্তু কাবিলা যেতে চায়না। শুরু করে দেয় চাপা মারা। সে বলে এতদিন ধরে জেলের ভেতরে ছিলাম পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। আর আমার স্যাররা প্রতিদিন আমাকে ফোন দিয়ে রাতে বলে মিস ইউ মিস ইউ কাবিলা। আমরা তোমাকে অনেক মিস করতেছি। এসব চাপা মারে তার মায়ের সামনে কাবিলা।
অপরদিকে হাবু ভাই গল্প করতেছে একটা মেয়ের সাথে, চরিত্রে দেখা যায়নি এর আগে কখনো। তবে হতে পারে কাজের বুয়া। যাইহোক সুন্দর কথোপকথন করছে তারা দুজন। হাবু ভাই জিজ্ঞেস করল মেয়ে টাকে কেমন আছে। মেয়েটা বলল ভালো আছি। হাবু ভাইকে জিজ্ঞেস করল আপনি কেমন আছেন।হাবু ভাই বলল এতদিন ভালো ছিলাম না আপনাক দেখে এখন ভালো। তখনই মেয়েটা বলল আপনার আর বিদেশ যাওয়া হলো না। আপনার আশা আশাই থেকে গেল।
তাদের গল্পের মাঝখানে চলে আসে পাশা ভাই। এসেই এএএএ- ডায়লগ টা দিয়ে বলে এখানে কি করছ তোরা দুজন। হাবু ভাই বলে গল্প করতেছি। ভূতের গল্প। পাশা ভাই বলে তোমাকে কি আনতে বলেছিলাম ওটা নিয়ে আসো। পাশা ভাই হাবুকে ডিটারজেন্ট নিয়ে আসার কথা বলছিল। তখন হাবু ভাই বলে আপনি গোসলে জান আমি নিয়ে আসতেছি। পাশা বলে এখনই নিয়ে আয় ব্যাটা এখনি লাগবে। হাবু ভাই যেতে না চাইলে পুনরায় আবার ডায়লগ টা দিয়ে দেয়, এএএএএ--।
হাবু যাওয়ার পরে পাশা ভাই বসে পড়ে। আর বলে আন্টি কেমন আছেন। হাবু ভাইয়ের একটু সমস্যা কিছু বোঝেনা। তখনই মেয়েটা বলে আমরা তো মামা ভূতের গল্প করছিলাম। তাদের গল্প চলতে চলতে হঠাৎ করে শিমুল ঢুকে পড়ে। শিমুল শুনতে পায় কি জানি গোপন রাখার কথা। শিমুল বলে কি গোপন করতেছেন ভাইয়া। তখনই রাগ করে পাশা ভাই চলে যায়। তখন শিমুল বলে মেয়েটাকে, আচ্ছা খালা ওদের মত বাজে ছেলেদের সাথে আপনার কি এত গল্প। ওদের সাথে কথা বলেন, এদের নামে রেপ কেস, নারী নির্যাতন আরো কত কি মামলা আছে। তারপর মেয়েটা ভয়ে বলে না না ওদের সাথে আমার কোনো গোপন কথা নেই।
তারপর রাতে সন্ধ্যায় তারা একসাথে চা খেতে খেতে গল্প করতেছিল। গল্প মাতিয়ে তুলছিল পাশা ভাই। পাশা ভাই কাবিলার জেলে থাকার আর কষ্টগুলোর কথাগুলো বলছিল। পাশা ভাই বলতেছিল জেলের ভিতর থেকে কাবিলা কখনো কষ্ট পায়নি। আমার ভাই ব্রাদাররা তাকে অনেক সুখে রেখেছিল। তখন কাবিলা কে বলতে কয়, কিরে ব্যাটা বল এদেরকে-তখন কাবিলা তাদের সবাইকে বলে আপনি আমার কচু করছেন। পাশা ভাই আবার রেগে যায় আর বলে, এএএএএ--। তখন পাশা ভাই এর গুনোগান না করে সে চাপা মারতে থাকে তার ব্যাপারে। তার মতো ছোট ছোট চৌর বাটপাররা এখানে এসে ভর্তি হয়েছে। তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক করে সে নিজেই ভালো ছিল জেলের ভিতর। সম্পূর্ণটাই ছিল কাবিলা ভাইয়ের চাপা। তখন পাশা ভাই বলে কাবিলা তুই ভুল বলছিস তোর জন্য আমি কত কি করলাম। আমার ভাই ব্রাদাররা তোর জন্য কত কি করছে সব আমি দেখেছি সিসি ক্যামেরার মত। আর তুই সবার মাঝে আমার মান-সম্মান ডুবাই দিলি।
তারপর কাবিলা আর শিমুল দুই ভাই একসাথে কথা বলে। কাবিলা বলে আমি যখন ভেতরে ছিলাম, তোদের সবাইকে আমি অনেক মিস করেছি। বিশেষ করে তোমার কথা খুব চিন্তা করেছি না জানি কার বাসায় ঢুকে তুমি আবার লুঙ্গি চুরি করো। তবে তুমি একটা কাজ ভালো করছো ভাইয়া শিমুল, রোকেয়ারে বলছো আমি পড়াশোনার জন্য অস্ট্রেলিয়া গেছি। তোমারে কে দিছে এই বুদ্ধি খুব ভালো কাজ করছ। তখন শিমুল বলে ভাইয়া আমি একেক জায়গায় একেকটা সেটিং দিছে। একজনরে বলছে অস্ট্রেলিয়া গেছে, আরেকজনের বলছে জেলের ভিতর। কাবিলা ভাই তখন বলে উপকার করে আবার বাঁশ দিয়ে দিছে।
ধন্যবাদ সবাইকে ধৈর্য সহকারে আমার করা নাটক রিভিউ পড়ার জন্য। সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন।
শুভেচ্ছান্তে-
@hayat221
আপনি আমার অনেক পছন্দের একটি নাটকের রিভিউ দিয়েছেন ভাইয়া। আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। এত সুন্দর নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
বাংলা যত নাটক দেখেছি তারমধ্যে ব্যাচেলর পয়েন্ট আমার খুবই পছন্দের একটি নাটক। প্রত্যেকটা সিজন এর প্রত্যেকটা এপিসোড সত্যিই অসাধারণ। আপনার রিভিউ দেখে মনে হচ্ছে সিজন ৪ ও দেখা শুরু করতে হবে। খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া ধন্যবাদ।
নাটকটি আমি প্রতিনিয়ত দেখি। এখন পর্যন্ত আমার সবগুলো সিজন দেখা হয়ে গেছে। 4 নাম্বার সিজন দেখতেছি। আমার কাছে সবগুলো ক্যারেক্টার অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে হাবু এবং কাবিলা। যাই হোক আপনি খুব সুন্দর করে ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটক টির রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ভালো লেগেছে আপনার রিভিউটি। খুব সুন্দর করে সবকিছু বর্ণনা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এরকম সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এই নাটকটি আমি সেই প্রথম পর্ব থেকে দেখা শুরু করেছি। নাটকের প্রত্যেকটি দৃশ্য আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে নাটকটি রিভিউ করতে সক্ষম হয়েছেন।
আপনি খুব সুন্দরভাবে দক্ষতার সাথে নাটকটি আমাদের মাঝে রিভিউ করে উপস্থাপন করেছেন। খুবই ভালো লাগলো আপনার এতো সুন্দর রিভিউ দেখে।
এখনকার সময়ে অনেক জনপ্রিয় একটি নাটকের রিভিউ দিয়েছেন। এই নাটকটি যেমন দেখতে অনেক মজা লাগে তেমনি অনেক আনন্দ হয়। ফানি নাটকের মধ্যে একটি এই নাটক। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে কাবিলার অভিনয়। বেচেলার পয়েন্ট নাটক ক্যারিবীয় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
এই সিজনের প্রতিটা পর্ব দেখার চেষ্টা করছি। তবে আমার মনে একটা সন্দেহ জেগেছে। সেটা হচ্ছে এই নাটক নিয়ে মানুষের মনে যে এক্সপেক্টেশন জেগেছে সেটা কি এই নাটক পূরণ করতে পারবে? নাটকের পাত্র-পাত্রীরা সবাই অত্যন্ত চমৎকার অভিনয় করেছে। বেশ ভালো রিভিউ দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন-৪ দেখিছি ভিশন ভালো লাগে। আপনি আজকে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে স্যার আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
ব্যাচেলর পয়েন্ট এই সময়ের সবথেকে জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক নাটক। এই নাটকটি বর্তমান সময়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। অনেক সুন্দরভাবে আপনি ঘটনাক্রম বর্ণনা করেছেন।
ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটকটি অসংখ্য মানুষের মনের আনন্দের খোরাক যোগায়। সত্যি বলতে নাটক দেখার সময় পাইনা কিন্তু যখন সময় পাই সত্যিই এটাই দেখতে চাই।
ভালো ছিল সবকিছু 🪄