মেঘনা নদীর পাশের সৌন্দর্য উপভোগ করার মুহূর্ত।
![]() |
---|
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার পোস্ট শুরু করছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি মেঘনা নদীর পাশের সৌন্দর্য উপভোগ করার কিছু দারুন মুহূর্ত সমূহ।
লক্ষ্মীপুর জেলার উপকূলীয় অঞ্চল রামগতি উপজেলার পাশে মেঘনা নদীর অবস্হান । মেঘনা নদীর ভাঙনে পৌরসভা শহর আলেকজান্ডারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে এই মেঘনা নদী। রামগতি উপজেলা পরিষদ থেকে মাত্র ১৫০ গজের দূরত্বে মেঘনার পাড়। নদীটির ভাঙন রোধ করা অত্যান্ত কঠিন। এ উপজেলার পাশে রয়েছে মেঘনা নদীর বাঁধ। এই বাঁধের ওপর দাঁড়িয়ে যত দূর চোখ যায় সামনে শুধু পানি আর পানি দেখা যায় ।বাঁধের ওপর সবসময় যেন দক্ষিনা হাওয়া লেগেই থাকে। মানুষ নদীর পাশে দাঁড়িয়ে সেই হাওয়া উপভোগ করেন মন ভরে।
যাইহোক, কিছুদিন আগে আমি এবং আমার বন্ধুগন আমরা মেঘনা নদীর পাশে গিয়েছিলাম ঘুরাঘুরি করার জন্য এবং এই নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্যা। এই নদীটি আমাদের শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থিত।বিকেলবেলা আমার বন্ধুসহ আমরা সেখানে একটি গাড়ি ভাড়া করে গিয়েছিলাম।যেহেতু মেঘনা নদী আমাদের শহরের প্রায় কাছাকাছি,তাই আমাদের সেখানে যেতে তেমন বেশি খরচ বহন করতে হয় নাই।
আমরা মাত্র একটি সিএনজি ভাড়া করে প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলাম। তখন সময় ছিল বিকাল ৩:৩০ মিনিট। আমরা নদীর পাশে গিয়ে অবস্থান করেছিলাম নদীটির চারপাশের মনোরম দৃশ্য দেখে আমাদের মন অত্যান্ত আনন্দিত হয়েছিল।নদীর পানিগুলো খুবই নদীর পাহাড়ের কাছাকাছি মনে হয় যে, কিছুক্ষণ পরে নদীর পাহাড়ের উপর পানি উঠে আসবে। তখন ছিল নদীতে প্রচন্ড বড় বড় ঢেউ আমাদের অত্যন্ত ভয় লেগে যাচ্ছে যেন পানিগুলো উপরে ভেসে আসছে।
আমরা লক্ষ্য করেছি নদীর পাশে রয়েছে অনেক ফসলের জমি। সেখানে বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলানো হচ্ছে। যেমন,যেসব ফসলের জমি রয়েছে নদীর পাশে সেগুলো হল ধানের জমিন এবং বাদাম ইত্যাদি।এই দৃশ্যগুলো অত্যন্ত আনন্দদায়ক, আমরা অনেক ফটোগ্রাফি করেছি এই মনোরম দৃশ্যগুলোর।কিছু ফটোগ্রাফি আমি এখানে আপলোড করেছি, তা দেখে সহজে ধারণা নিতে পারবেন নদীর অবস্থান।
যাইহোক, আমি এবং আমার বন্ধুগণ আমরা পুরো বিকেল বেলা নদীর আশেপাশের বিভিন্ন জায়গাগুলো পরিদর্শন করেছি এবং সুন্দর দৃশ্যগুলোর উপভোগ করেছি এবং সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুরাঘুরি করেছি।আমরা সেখানে লক্ষ্য করেছি, বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত মানুষগুলো নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছিল, তখন এই মুহূর্তে আমরা অনেক ফটোগ্রাফি করেছি তাদের সাথে।যখন সূর্য অস্ত যাচ্ছে, তখন আমরা এই মুহূর্তে অনেক ফটোগ্রাফি করেছি, তখন এই সময় দৃশ্যগুলো ছিল অত্যান্ত সুন্দর।
তারপর সন্ধ্যায় অন্ধকার নেমে আসলো আমরা ধীরে ধীরে বাড়ির উদ্দেশ্যে আবার রওনা দিয়েছিলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি,পরে আবার কোন ভ্রমণের দারুন মুহূর্তগুলো নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হব,, ইনশাআল্লাহ। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আজকের জন্যা বিদায়, আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণ!
ক্যামেরা | VIVO Y81i |
ক্যমেরা মডেল | vivo 1812 |
ক্যাপচার | @hanif3206 |
অবস্থান। | মেঘনা নদী, রামগতি উপজেলা,লক্ষ্মীপুর |
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
মেঘনা নদীর পাড়ের সৌন্দর্য ফটোগ্রাফির মধ্যে তুলে ধরেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। মুগ্ধ হলাম আপনার আজকের প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে মিলে ঘুরতে গিয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার কাটানো মুহূর্ত গুলো দেখে।
নদীমাতৃক আমাদের এই বাংলাদেশ আর এই নদীর সাথে জড়িয়ে রয়েছে হাজারো মানুষের জীবিকার ব্যবস্থা।
নদীতে ঘুরতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।
আপনি মেঘনা নদী ভ্রমণ করে সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং ভ্রমণ কাহিনী উপস্থাপন করেছেন খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে।
বিশেষ করে প্রথম ফটোগ্রাফিটি সব থেকে বেশি ভালো ছিল।
বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি বড় বড় নদী রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মেঘনা নদী। আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে এই মেঘলা নদীর পাশে ঘুরতে গিয়েছিলেন। আসলে বন্ধু বান্ধবদের সাথে কোথাও ঘুরতে গেলে অনেক বেশি ভালো লাগে, আর মজা হয়। আপনারা সব বন্ধুরা সহ মেঘনা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।
share on x
https://x.com/HaniferMd/status/1805461923355369522?t=zr0ddcndskOxAtnkPz-zUg&s=19