মেঘনার চর ভ্রমণ (পর্ব -৭) || আমার বাংলা ব্লগ।
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার পোস্ট শুরু করছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব মেঘনা নদীর চর ভ্রমণের কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য সমূহ এবং এখানকার মানুষের জীবনযাপন সম্পর্কে। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
বাংলাদেশের দক্ষিণের উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মেঘনা নদীর চারপাশে নতুন নতুন চর জেগে ওঠছে। এই চরগুলো এখানে জেগে উঠেছে, প্রায় আরো ২০ বছর আগ থেকে। এই সব চরের মধ্যে একটি সবচেয়ে জনপ্রিয় চর রয়েছে, এ চরে মানুষ সব সময় বসবাস করে যাচ্ছে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা এবং ফসলের জমিন রয়েছে। চরকিং ইউনিয়ন সংলগ্ন মেঘনা নদীতে প্রায় ২২৪০ হাজার হেক্টর ভূমি নিয়ে জেগে ওঠে নতুন একটি চর। বর্তমানে এ চরের ভিতর সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে মানুষের দৈন্দদিন জীবনের কেনাকাটার জন্য, হাট বাজার এবং মার্কেট তৈরি করা হয়েছে।এ চরটি ছিল অনেক বিশাল। এখানে ফসলের জমিনসহ সব বিভিন্ন জায়গায় জমির দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।যাইহোক, আজকে আমি এচরের মানুষের জীবনযাত্রা এবং প্রকৃতির দৃশ্যগুলো সম্পর্কে আলোচনা করতে যাচ্ছে আপনাদের মাঝে।এখানে উপরে দুটি ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, দুটি ছবিএ চরের ভিতরের দৃশ্য। ছবিতে লক্ষ্য করলে দেখা যায় চরের একপাশে রয়েছে নদী। চরের কিছু অংশ নদী ভেঙ্গে ফেলেছে এবং আশেপাশে রয়েছে চরের গাছপালা।
চরের ভিতরে মানুষগুলো সাধারণত সব সময় কঠিন পরিশ্রম করতে হয় এবং তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের দৈন্দদিন কাজকর্ম নদীর পাশে এসে করতে হয়।আমি যখন চরের নদীর পাশে অবস্থান করেছি। আমি লক্ষ্য করেছি এখানে চরের মানুষগুলো বিশেষ করে মহিলারা তাদের দৈনন্দিন জীবনের জিনিসপত্র এবং কাপড়-চোপড়, হাড়ি-পাতিল সবকিছু নদীর পাশে এনে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হয়। পরিষ্কার করার একটি দৃশ্য আমি লক্ষ্য করেছি। একজন মহিলা নদীর পাশে এসে তার হাড়ি-পাতিল গুলো পরিষ্কার করতে ছিল নদীর পানি দিয়ে।তখন এই মুহুর্তে আমি কয়েকটি ছবি তুলেছিলাম।এতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, নদীর ভাঙ্গনের কারণে নদীর পাশে বেড়িবাঁধ তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন ব্লক দিয়ে সরকারিভাবে।
আশেপাশে রয়েছে ছোট ছোট অনেকগুলো লেক। লেকের আশেপাশে রয়েছে অনেক বড় গাছপালা। আমি যখন প্রবেশ করেছিলাম, আমি লক্ষ্য করেছি এসব লেকে মাছ ধরার জন্য বিভিন্ন জেলারা পরিশ্রম করে যাচ্ছে।আমি অনেকগুলো নৌকা লক্ষ্য করেছি লেকের মাঝখানে। এ লেকের ভিতর ছোট বড় অনেক মাছ পাওয়া যায়। তাই মানুষরা এ লেকের ভিতরে নৌকা করে প্রতিদিন এখানে মাছ ধরতে আসে। এখানে চারপাশের প্রকৃতির দৃশ্য গুলো অনেক সুন্দর এবং মানুষের মাছ ধরা দৃশ্যগুলো ছিল আরো অনেক সুন্দর। আমি এ ধরনের দৃশ্যগুলো অনেক উপভোগ করেছি।লেকের পাশে দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, মনে হয় বিশাল বন জঙ্গলে ঘেরাও। লেগের ভিতর হয়েছে ছোট ছোট কচুরি পেনা এবং ঘাস ইত্যাদি।
ধীরে ধীরে যখন আমি নদী অন্য প্রান্তে গিয়েছিলাম একটি নৌকা দিয়ে। তখন আমি লক্ষ্য করেছিলাম। আরেকটি বড় লেক এবং এ লেকের ভেতর রয়েছে অনেকগুলো বড় বড় নৌকা। এই নৌকা গুলো দিয়ে মানুষ আসার যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের মালামাল নেয়া হচ্ছে।মানুষের বিভিন্ন ধরনের মালামাল নেওয়া এবং বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির পণ্যগুলো এ লেকের ভিতর দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করা হয়।এখানে রয়েছে অনেকগুলো বড় বড় মালবাহী নৌকা এবং বিভিন্ন ধরনের পণ্য নেওয়ার বিভিন্ন ট্রলার। এ লেকটি এখান থেকে শুরু করে, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছেছে। আমার এখান থেকে শুরু করে মেঘনা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। লেক গুলো দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনিই বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাত লেক বলা হয়। যেহেতু এইগুলোকে বাণিজ্য যাতায়াতের লেক হিসেবে পরিচিত।বর্তমানে এই লেকের আশেপাশের জায়গাগুলোর দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরবর্তী চরের অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আজকের জন্য এখানে সমাপ্ত। আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণ!
ক্যামেরা | VIVO Y81i |
ক্যমেরা মডেল | vivo 1812 |
ক্যাপচার | @hanif3206 |
অবস্থান | সদর উপজেলা,নোয়াখালী |
"😊👏 Great effort by @xpilar.witness! 🤩 Let's support this amazing witness and help them grow! 💪 Click here to vote for them: https://steemitwallet.com/~witnesses 👍 Your support will help us create an even better Steem ecosystem! 💕"
share on x
https://x.com/HaniferMd/status/1828323318513975359?s=19
গ্রামীণ পরিবেশ সবসময় অনেক সুন্দর হয় । বিশেষ করে এই সময়ে নদীর পাড়ের দৃশ্য দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগে। মেঘলা আকাশ চারিপাশের সবুজ প্রকৃতির সব মিলিয়ে দারুন এক মুহূর্ত । বিভিন্ন জায়গার এইরকম সুন্দর দৃশ্যগুলো উপভোগ করতে ভালই লাগে।
আপনার মেঘনার চর ভ্রমণের কয়েকটা পর্ব দেখেছিলাম। অনেকগুলো পর্ব শেয়ার করেছেন দেখি। মেঘনার চড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। মুগ্ধ হয়ে গেলাম এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গুলো দেখে। দারুন কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন এবং খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
নদীর পাড়ের দৃশ্য গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। নদীর পাড়ের অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা আর চারপাশের প্রকৃতি দেখতে ভালো লাগে। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। দারুন একটি ভ্রমন পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া।
মেঘনার চর ভ্রমণ করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। চর অঞ্চলের আবহাওয়া থেকে শুরু করে মানুষের জীবনযাত্রা সবকিছুই আলাদা। তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক বেশি। অসাধারণ সব ফটোগ্রাফি দেখলাম ভাইয়া। ভালো লেগেছে আপনার পোস্ট। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আপনি মেঘনার চর ভ্রমণের খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। এমন সুন্দর জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে খুব ভালো লাগে। যদিও আমাদের দিকে এমন কোনো জায়গা নেই। যেহেতু এই চর অনেক বছর আগে ভেসে উঠেছে তাহলে নিশ্চয়ই ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমার তো আপনার এমন সুন্দর প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি দেখে সেখানে ঘুরতে যেতে খুব ইচ্ছে করছে।