ফলের বাগান পরিদর্শন || আমার বাংলা ব্লগ।
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার পোস্ট শুরু করছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি বাগানের মধ্যে মিশ্র ফলের চাষ করার পদ্ধতি সমূহ।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
বর্তমানে বাংলাদেশের ফলের বাগান গুলোর মধ্যে দেশি-বিদেশি, হাইব্রিড এবং বিভিন্ন মিশ্র ফলসহ বিভিন্ন ফলের চাষ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।বিভিন্ন ফলের বাগানের মালিকেরা তাদের নিজস্ব উপজেলায় নির্বাহী কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে, তারা ফলের বাগানের প্রতি অত্যন্ত উৎসাহিত হচ্ছে।বর্তমানে বাংলাদেশের কৃষি প্রযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বিভিন্ন ফল গবেষণার ক্ষেত্রে এবং হাইব্রিজ জাতীয় নতুন নতুন ফল উৎপাদন করার ক্ষেত্রে।
হয়তোবা আগে এক সময় এসব ফলের নাম মানুষ জানতো না। বর্তমানে এসব ফল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এবং খেতেও অনেক সুস্বাদু। এগুলো সাধারণত বিভিন্ন কৃষি গবেষণাগারে প্রযুক্তির মাধ্যমে ফলের বিভিন্ন হাইব্রিড জাত উৎপাদন করছে।যেহেতু বাংলাদেশের আবহাওয়ার ক্ষেত্রেও বিভিন্ন বিদেশী জাতের ফল গুলো বাংলাদেশের মাটিগুলোতে ভালো ফলন হচ্ছে, এতে কৃষকেরা ফলের চাষ করে অনেক লাভবান হচ্ছে।
যাইহোক, আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি আমাদের শহরের পাশে একটি বড় ফলের বাগান রয়েছে। এই বাগানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি ফল। এতে আপনারা ফলের বাগান সম্পর্কে একটি ধারণা নিতে পারবেন।কারণ বর্তমানে মানুষ ফল খায় না এমন লোক খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন। তারপর কিছুদিন আগে আমি এ ফলের বাগানটি পরিদর্শন করেছি এবং আমি যখন ফলের বাগানেরর সামনে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলাম। তখন আমি লক্ষ্য করেছি এ বাগানের চারপাশে বিশাল আকারের একটি বেড়া স্থাপন করা হয়েছে।
ফলের বাগানের পাহারাদার সেখানে উপস্থিত ছিল, আমি তার সাথে বাগান সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলাম।আমি বাগানের পাহারাদার কে জিজ্ঞেস করেছিলাম বেড়াটি কেন দেওয়া হয়েছিল।পাহারাদার আমাকে বলেছিল বিভিন্ন নিরাপত্তার জন্য বেড়া দেয়া হয়েছে বাগানে চারপাশে।এরপর পাহারাদার থেকে অনুমতি নিয়ে আমি এবং পাহারাদার একসাথে বাগানের ভিতরে প্রবেশ করলাম।
বাহ! অনেক সুন্দর বাগান এবং বাগানের ভিতর পরিবেশ অনেক সুন্দর নানান প্রজাতির ফলের গাছপালা রয়েছে বাগানের ভিতর। সব গাছপালা গুলো দেখতে অত্যন্ত মনোরম।বাগানের ভিতরের পরিবেশ এবং গাছপালা ও ফলের বিভিন্ন ফুল দেখে,আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি। আমার ইচ্ছা করতেছিল কয়েকদিন বাগানের ভিতর থেকে যায়।
একদিকে বাগানের ভিতরে ফলের গাছগুলোর ফল ঝুলিয়ে রয়েছে, অন্যদিকে কিছু কিছু ফল গাছের ফুল আসতেছে, চারপাশে ছোট ছোট গাছপালা, রয়েছে বাগানের ফল গাছ গুলোর বিভিন্ন ডালে ডালে হরেক রকম প্রজাতির পাখি, সব কিছুই মিলিয়ে বাগানের পরিবেশ কত সুন্দর।
তা আমি কখনও ভাষায় প্রকাশ করতে পারি না।
তারপর ধীরে ধীরে আমি বাগানে ভিতর কিছুক্ষণ ধরে ঘোরাফেরা করেছিলাম এবং পাহারাদারকে বিভিন্ন বিষয় জিজ্ঞেস করেছিলাম ফলের গাছ সম্পর্কে।পাহারাদার আমাকে পুরো বাগান সম্পর্কে বিস্তারিত অনেকগুলো তথ্য দিয়েছিল। বর্তমানে বাগানের ভিতর যেসব ফলগুলো চাষ করা হচ্ছে তা হল: আম,কলা,কাঁঠাল, কমলা,লিচু,মাল্টা,লেবু,নারকেল,ডালিম,আনারস ইত্যাদি।
পুরো বাগানের ভিতর আমি দুই ঘন্টা ধরে ঘোরাফেরা করেছিলাম, এরপর বাগান থেকে বের হয়েছিলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি,পরে আবার "নতুন কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব,, ইনশাআল্লাহ। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আজকের জন্যা বিদায়, আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণ!
ক্যামেরা | VIVO Y81i |
ক্যমেরা মডেল | vivo 1812 |
ক্যাপচার | @hanif3206 |
অবস্থান | সদর উপজেলা,নোয়াখালী |
share on x
https://x.com/HaniferMd/status/1798612841546875312
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনি দেখতে খুব সুন্দর ভাবে ফলের বাগান পরিদর্শন করেছেন এবং সেখান থেকে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বিষয়টা দেখে খুবই ভালো লাগলো। বেশি ভালো লাগলো যে আপনি গিয়ে সেখানে ফলের ফটোগ্রাফি করেছেন যেমন মালটা পেয়ারা সহ পেঁপে দেখতে পেয়ে আরো ভালো লাগলো। এছাড়াও মনে হচ্ছে এই বাগানে সব কয় প্রকার ফল চাষ করা হচ্ছে। তবে নেওয়া ফলটা দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
ফলের বাগানে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। প্রায় দুই ঘণ্টার মতো সেখানে ছিলেন। বিভিন্ন ফল সম্পর্কে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেও খুব ভালো লাগলো। এরকম পরিবেশে সময় কাটাতে আসলেই খুব ভালো লাগে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।