মেঘনার চর ভ্রমণ (পর্ব -৪) || আমার বাংলা ব্লগ।
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার পোস্ট শুরু করছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব মেঘনা নদীর চর ভ্রমণের কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য সমূহ এবং এখানকার মানুষের জীবনযাপন সম্পর্কে। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
বাংলাদেশের যতগুলো বড় নদী রয়েছে এর মধ্যে মেঘনা একটি। যদিও বাংলাদেশের নদ-নদীর সংখ্যা অগনিত। কিন্তু কোনটাই বিচ্ছিন্ন নয়। একে অন্যের সাথে প্রাকৃতিক নিয়মে সুশৃঙ্খল ভাবে সংযোজিত।
আমি গত পর্বে মেঘনা নদীর কিছু সংক্ষেপে ইতিহাস বর্ণনা করেছিলাম। সাধারনত মেঘনা নদী দুটি অংশে বিভক্ত। কুলিয়ারচর থেকে ষাটনল পর্যন্ত আপার মেঘনা। নদীর এই অংশ অপেক্ষাকৃত ছোট। এ ছবিটিতে যে দৃশ্যটি দেখা যাচ্ছে এটি নদীর পাশে একটি দৃশ্য।আমি যখন দ্বীপের ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম। আমি লক্ষ্য করেছিলাম অনেকগুলো ছাগল একজন কৃষক নিয়ে এ দ্বীপের ভিতরে প্রবেশ করেছে।
এই ছবিটিতে যে দৃশ্য গুলো দেখা যাচ্ছে, এটি নদীর পাশে কয়েকটি খালের দৃশ্য। নদীর পাশে রয়েছে ছোট ছোট অনেকগুলো খাল।খালের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকমের ছোট বড় অনেক নৌকা।স্বাভাবিক তো নৌকাগুলো দিয়ে মানুষ বিভিন্ন ধরনের মালামাল যাতায়াত নেওয়ার জন্য ব্যবহার করে।আশেপাশে রয়েছে অনেক মানুষ। যারা এ খালগুলোতে মাছ ধরতেছে এবং নৌকাগুলো দিয়ে খালের উপর দিয়ে যাচ্ছে।আমি যখন দ্বীপের ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম। তখন আমি লক্ষ্য করেছিলাম নৌকাগুলো অনেক বড় ছিল এবং নৌকা গুলোর ভিতরে ছিল অনেক ধরনের মালামাল। যারা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিল।
এ ছবিগুলোতে যেসব দৃশ্য দেখা যাচ্ছে এগুলো হলো ফসলের জমি। এগুলো সাধারণত দ্বীপের মাঝখানে।আমি যখন এই দ্বীপের ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম। আমি লক্ষ্য করেছিলাম এখানে অনেকগুলো ফসলের জমি। এ ফসলের জমিগুলোতে দুই মাস আগেও ফসল ছিল। ফসলগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলানোর জন্য নতুন করে জমি খনন করার জন্য বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে।জমিনের ভিতরে আশেপাশে রয়েছে ছোট ছোট ডোবা। এখানে রয়েছে অনেক ধরনের ছোট্ট মাছ। অনেকগুলো বক দেখা যাচ্ছে বকগুলো সাধারণত মাছগুলো খাওয়ার জন্য এখানে উড়ে বেড়াচ্ছে। যখন সাদা বক গুলো উড়ে বেড়াচ্ছে তখন এই মুহূর্তে আমি অনেকগুলো ছবি তুলেছিলাম।
এ ছবিগুলোতে যে দৃশ্য গুলো দেখা যাচ্ছে, এগুলো দ্বীপের ভিতর প্রবেশ করা কয়েকটি ছোট রাস্তাএবং রাস্তাগুলো এত চিকন ছিল যে এখানে গাড়ি চলাচল করা খুবই কঠিন। যদিও রাস্তাগুলো উপর দিয়ে আমরা মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলাম। কারণ এখানে শুধুমাত্র মোটরসাইকেলের চলাচল করার জায়গা রয়েছে। রাস্তাগুলো দুই পাশে রয়েছে ফসলের জমিন এক পাশে রয়েছে অনেকগুলো গাছপালা।
সত্য কথা বলতে এখানের এই দ্বীপের এই সাধারণ দৃশ্যগুলো দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে চারিদিকে সবুজের সমারাহ।আজকের জন্য এখানে সমাপ্ত। পরবর্তী অন্য কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সে পর্যন্ত ভালো থাকবে। সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণ!
ক্যামেরা | VIVO Y81i |
ক্যমেরা মডেল | vivo 1812 |
ক্যাপচার | @hanif3206 |
অবস্থান | সদর উপজেলা,নোয়াখালী |
মেঘনার চর ভ্রমণ বিষয়ক সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইজান। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই চতুর্থ পর্ব দেখে। বেশ অনেক তথ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। অনেক সুন্দর ছিল আপনার আজকের এই পোস্ট।