মেঘনার চর ভ্রমণ (পর্ব -৪) || আমার বাংলা ব্লগ।

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার পোস্ট শুরু করছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব মেঘনা নদীর চর ভ্রমণের কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য সমূহ এবং এখানকার মানুষের জীবনযাপন সম্পর্কে। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।

IMG_20240703_084952.JPG

বাংলাদেশের যতগুলো বড় নদী রয়েছে এর মধ্যে মেঘনা একটি। যদিও বাংলাদেশের নদ-নদীর সংখ্যা অগনিত। কিন্তু কোনটাই বিচ্ছিন্ন নয়। একে অন্যের সাথে প্রাকৃতিক নিয়মে সুশৃঙ্খল ভাবে সংযোজিত।
আমি গত পর্বে মেঘনা নদীর কিছু সংক্ষেপে ইতিহাস বর্ণনা করেছিলাম। সাধারনত মেঘনা নদী দুটি অংশে বিভক্ত। কুলিয়ারচর থেকে ষাটনল পর্যন্ত আপার মেঘনা। নদীর এই অংশ অপেক্ষাকৃত ছোট। এ ছবিটিতে যে দৃশ্যটি দেখা যাচ্ছে এটি নদীর পাশে একটি দৃশ্য।আমি যখন দ্বীপের ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম। আমি লক্ষ্য করেছিলাম অনেকগুলো ছাগল একজন কৃষক নিয়ে এ দ্বীপের ভিতরে প্রবেশ করেছে।

IMG_20240703_085556.JPG
IMG_20240703_085620.JPG

এই ছবিটিতে যে দৃশ্য গুলো দেখা যাচ্ছে, এটি নদীর পাশে কয়েকটি খালের দৃশ্য। নদীর পাশে রয়েছে ছোট ছোট অনেকগুলো খাল।খালের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকমের ছোট বড় অনেক নৌকা।স্বাভাবিক তো নৌকাগুলো দিয়ে মানুষ বিভিন্ন ধরনের মালামাল যাতায়াত নেওয়ার জন্য ব্যবহার করে।আশেপাশে রয়েছে অনেক মানুষ। যারা এ খালগুলোতে মাছ ধরতেছে এবং নৌকাগুলো দিয়ে খালের উপর দিয়ে যাচ্ছে।আমি যখন দ্বীপের ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম। তখন আমি লক্ষ্য করেছিলাম নৌকাগুলো অনেক বড় ছিল এবং নৌকা গুলোর ভিতরে ছিল অনেক ধরনের মালামাল। যারা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিল।

IMG_20240712_195448.JPG
IMG_20240712_195630.JPG

এ ছবিগুলোতে যেসব দৃশ্য দেখা যাচ্ছে এগুলো হলো ফসলের জমি। এগুলো সাধারণত দ্বীপের মাঝখানে।আমি যখন এই দ্বীপের ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম। আমি লক্ষ্য করেছিলাম এখানে অনেকগুলো ফসলের জমি। এ ফসলের জমিগুলোতে দুই মাস আগেও ফসল ছিল। ফসলগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলানোর জন্য নতুন করে জমি খনন করার জন্য বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে।জমিনের ভিতরে আশেপাশে রয়েছে ছোট ছোট ডোবা। এখানে রয়েছে অনেক ধরনের ছোট্ট মাছ। অনেকগুলো বক দেখা যাচ্ছে বকগুলো সাধারণত মাছগুলো খাওয়ার জন্য এখানে উড়ে বেড়াচ্ছে। যখন সাদা বক গুলো উড়ে বেড়াচ্ছে তখন এই মুহূর্তে আমি অনেকগুলো ছবি তুলেছিলাম।

IMG_20240712_200813.JPG

এ ছবিগুলোতে যে দৃশ্য গুলো দেখা যাচ্ছে, এগুলো দ্বীপের ভিতর প্রবেশ করা কয়েকটি ছোট রাস্তাএবং রাস্তাগুলো এত চিকন ছিল যে এখানে গাড়ি চলাচল করা খুবই কঠিন। যদিও রাস্তাগুলো উপর দিয়ে আমরা মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলাম। কারণ এখানে শুধুমাত্র মোটরসাইকেলের চলাচল করার জায়গা রয়েছে। রাস্তাগুলো দুই পাশে রয়েছে ফসলের জমিন এক পাশে রয়েছে অনেকগুলো গাছপালা।
সত্য কথা বলতে এখানের এই দ্বীপের এই সাধারণ দৃশ্যগুলো দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে চারিদিকে সবুজের সমারাহ।আজকের জন্য এখানে সমাপ্ত। পরবর্তী অন্য কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সে পর্যন্ত ভালো থাকবে। সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।

আমার ব্লগ পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WD38ZqUeRnVUECQkCUtERy26TtJgXchPPruCuG4aYFBuTAMzpZcSvvMhve24nx82PpqjRpciui4qTvoaVEYW.png

ফোনের বিবরণ!

ক্যামেরাVIVO Y81i
ক্যমেরা মডেলvivo 1812
ক্যাপচার@hanif3206
অবস্থানসদর উপজেলা,নোয়াখালী

SeZwdRpvKdfSER21BRnLEm7DphWq1kbpQyRKi46dTupajZqXocKokWcbV7VCrdshaTLgcMPZmGgv1EUs7rKcDejZqhvw3cPa35fbfbMp99zZNpB8cMkTyWhtbyLEmPVy8QBYtG2hcHEjm4GepX64cwR1WHiuRyC5d7EFb9axxoEFf.gif

A3Z6dpaPrexwcy6xHQHfFaMXGPra6UPLbZDNDdFc7rVLrvj1qbtDMbRZMQF6A4zb3yPLpkViGe95ESMpTZxPuwXgYvdtUhmrKkECnXdBqP1196rHDbZPpYXQhqXgYFw7wZ1gTosU.png

Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1TjXjKbU7neRb4MUGqBZJEsBZygBMp3vgpnsxmjJLT2LGe6GhhQ646pj6vVUUkTVSR4JU69ieh1ufxLEsQ.png

6HAuCuDmXw26e9.gif

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iQSBPCV7mSFC5UcypyAvDUdYo6fgY55XWxFzyApyxVewjd6hApTuPveLT8aaj5YvvAtAMeHpeQ6.png

Sort:  
 2 months ago 

মেঘনার চর ভ্রমণ বিষয়ক সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইজান। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই চতুর্থ পর্ব দেখে। বেশ অনেক তথ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। অনেক সুন্দর ছিল আপনার আজকের এই পোস্ট।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 58116.56
ETH 2361.49
USDT 1.00
SBD 2.42