রাঙ্গামাটি ভ্রমণের অভিজ্ঞতার "পঞ্চম পর্ব" (লাল পাহাড়ের দেশ)।
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার পোস্ট শুরু করছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই আজকে রাঙ্গামাটি ভ্রমণের পঞ্চম পর্বের " মুহূর্তের প্রাকৃতিক দৃশ্য নিয়ে হাজির হলাম।
গত পর্বে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম আমরা হোটেলে খাওয়া-দাওয়ার পর, হোটেলের সামনে কিছু সুন্দর জায়গায় ঘোরাফেরা করছিলাম এবং রাতের কিছু সৌন্দর্য উপভোগ করেছিলাম।
তখন সময় ছিল রাত ৯:৩০ মিনিট।এরপর আমাদের গ্রুপ লিডার আমাদের বন্ধু রাসেল এসে বলল এবার আমরা হোটেলের রুমে যেতে হবে।
কারণ আমরা অনেক দূর থেকে জার্নি করে এসেছি আমরা অত্যন্ত ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম।কিন্তু খাওয়ার পর আমরা কিছু এনার্জি আমাদের শরীরে ফিরে পেয়েছি।এবার আমরা হোটেলের রুমের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিলাম।আমরা সকল বন্ধু মিলে হোটেলের রুমের ভিতর প্রবেশ করলাম।তারপর আমাদের নিয়ম অনুযায়ী আমরা যে যার সকল রুমের ভিতর চলে গিয়েছিলাম।
কারণ আমাদের এখানে ৩টি রুম ছিল। আমরা সবগুলো রুমের বুকিং দিয়েছিলাম।আমি এবং আমার আরো দুই বন্ধু আমরা একসাথে তিন জন এক রুমের ভিতর অবস্থান করলাম।রাত এগারোটা পর্যন্ত আমরা তিনজন মিলে কিছুক্ষণ গল্প করেছিলাম তারপর ঘুমানোর প্রস্তুতি নিয়েছিলাম আমরা তিন বন্ধু ঘুমিয়ে পড়লাম বিছানায়!
যাইহোক এবার আমি ঘুম থেকে আগে উঠেছিলাম। তারপর আমার বন্ধুরা ঘুম থেকে উঠলো সবাই ঘুম থেকে জেগে উঠল। এবার আমরা সবাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে লাগলাম, যখন আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে লাগলাম তখন আমরা একে অপরের রুমের ভিতর প্রবেশ করলাম। অনেকে বাথরুমে প্রবেশ করছে গোসল করার জন্য, আমরা একে অপরের রুমগুলো সৌন্দর্য উপভোগ করলাম।আমাদের মধ্যে একজন বন্ধু হিন্দি গান, আরেকজন বন্ধু বাংলা গান গাইতে শুরু করল এতে আমাদের কাছে আরো আনন্দ বেড়ে গেল। তিনি গোসল করার সাথে সাথে হিন্দি গান গাইতে ছিল। তাদের গানগুলো আমি দারুন উপভোগ করেছিলাম।তবে আমি গান গাইতে পারি না! যাইহোক, এবার সব কাজগুলো শেষ করে আমরা ধীরে ধীরে সবাই সকালের নাস্তা করার জন্য প্রস্তুত হলাম।
এরপর আমরা হোটেল থেকে বেরিয়ে পড়লাম আমরা ধীরে ধীরে ঐ হোটেলের ভিতরে প্রবেশ করলাম সকালের নাস্তা করার জন্য।আমরা নাস্তার জন্য অর্ডার করলাম আমাদেরকে হোটেলে কর্মীরা নাস্তা এনেদিলেন খাবার টেবিলের উপর। সকালের নাস্তা ছিল শুধুমাত্র পরোটা এবং ডাল ভাজি।মাত্র আমরা দুইটি করে পরোটা খেয়েছিলাম। ডাল বাজি গুলো অত্যন্ত সুস্বাদু হয়েছিল। যদিও আমাদের অনেক ক্ষুধা লেগেছিল, তারপরও কিছু করার ছিল না। কারণ আমাদের পরিকল্পার তালিকার মধ্যে এটাই ছিল।
ইতিমধ্যে আমাদের নাস্তা করা শেষ হয়েছিল, আমরা এবার সবাই খাবার হোটেল থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম এবং হোটেলের নাস্তার টাকা পরিশোধ করেছিলেন বন্ধু রাসেল।
এবার আবার পুনরায় আমরা শুরু করবো রাঙ্গামাটি অঞ্চলের পর্যটস্থানগুলো পরিদর্শন করা এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য গুলো উপভোগ করা।আগে থেকে সিরিয়ালে আমরা নাম লিখে রেখেছি সুন্দর পর্যটনস্থান গুলো এবং বিখ্যাত সুন্দর জায়গাগুলোর।ধাপে ধাপে আমরা সবগুলোর জায়গার সৌন্দর্য উপভোগ করব।আমাদের পরিকল্পনার তালিকায় প্রথম নাম ছিল কাপ্তাই লেক পরিদর্শন করা এবং কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করা।এটি আমাদের থাকার হোটেল থেকে কিছুটা দূরে, তাই আমরা একটি গাড়ি ভাড়া করেছি সেখানে যাওয়ার জন্য।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি,পরের সেই দারুন মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে আগামী ষষ্ঠ পর্বে শেয়ার করবো,, ইনশাআল্লাহ। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আজকের জন্যা বিদায়, আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণ!
ক্যামেরা | VIVO Y81i |
ক্যমেরা মডেল | vivo 1812 |
ক্যাপচার | @hanif3206 |
অবস্থান | পার্বত্য জেলা, রাঙ্গামাটি |
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
share on x
https://x.com/HaniferMd/status/1791466009070887327
হোটেলে গিয়ে বিশ্রাম করার পর আবারও প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য বেরিয়ে পড়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।আসলে প্রকৃতির সৌন্দর্য যতই দেখি ততই ভালো লাগে। এই অপরূপ সৌন্দর্য ভরা দৃশ্যগুলো দেখে মন ভালো হয়ে যায়। অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট দেখে।
সত্যি বলছেন আপু, প্রকৃতির সৌন্দর্য গুলো দেখলে এমনিতে মন ভালো হয়ে যায়। আসলে আমার কাছে প্রকৃতির সৌন্দর্য অনেক ভালো লাগে। তাই আমি সবসময় প্রকৃতির সৌন্দর্যের সাথে মিশে থাকতে চাই। আপনাকে ধন্যবাদ।