মেঘনার চর ভ্রমণ (পর্ব -২) || আমার বাংলা ব্লগ।
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার পোস্ট শুরু করছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব মেঘনা নদীর চর ভ্রমণের কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য সমূহ এবং এখানকার মানুষের জীবনযাপন সম্পর্কে। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
বর্তমানে বাংলাদেশের যতগুলো বড় নদী রয়েছে, তার মধ্যে মেঘনা নদী বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ নদী এবং পৃথিবীর বৃহৎ নদীগুলোর অন্যতম। আমি গত পর্বে মেঘনা নদীর কিছু সংক্ষেপে ইতিহাস বর্ণনা করেছিলাম। সাধারনত মেঘনা নদী দুটি অংশে বিভক্ত। কুলিয়ারচর থেকে ষাটনল পর্যন্ত আপার মেঘনা। নদীর এই অংশ অপেক্ষাকৃত ছোট। ষাটনল থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত অংশ লোয়ার মেঘনা নামে পরিচিত। আমি বর্তমানে যে চরটি ভ্রমণ করেছিলাম তা হল, ষাটনল থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত অংশ লোয়ার মেঘনা নামে পরিচিত। এখানে রয়েছে বড় একটি বিশাল চর। মনে হয় যেন বাংলাদেশের একটি জেলা। এখানে এই ছবিটিতে যে দৃশ্যটি দেখা যাচ্ছে, এটি মূলত চরের ভিতরের একটি ফসলে জমির পাশে বসে আছে একজন কৃষক। আমি তার সাথে চর সম্পর্কে অনেক বিষয় আলোচনা করেছিলাম। এই কৃষক প্রতিদিন এখানে তার ফসলের জমিতে কাজ করে। তার অনেকগুলো ফসলের জমি রয়েছে এই চরের ভিতরে।
উপরের ছবিগুলোতে যে দৃশ্য গুলো দেখা যাচ্ছে এটি চরের ভিতরে মানুষের যাতায়াত করার একটি রাস্তা। আমরা এ রাস্তার রাস্তার উপর দিয়ে এ চরের ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম। এ রাস্তাটির দীর্ঘ প্রায় ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। আমরা যখন এই রাস্তার উপর দিয়ে যতই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। ততই লক্ষ্য করেছিলাম রাস্তার দুই পাশে রয়েছে ফসলের জমিন বিশাল ফসলের মাঠ। আমরা অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছি এ ফসলের জমিনের।
উপরে ছবিগুলোতে যে দৃশ্যগুলো দেখা যাচ্ছে এটি ফসল কাটার পরের একটি মাঠ। এখানে অনেক ফসল ছিল বর্তমানে ফসল গুলো কেটে ফেলেছে এবং কৃষকরা বর্তমানে অন্য ফসল চাষাবাদ করা পরিকল্পনা করছে এই ফসলের জমিগুলোতে।যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম তখন লক্ষ্য করেছিলাম এখানে মূলত ছিল ধানের জমিন। ধান গাছ গুলো ইতিমধ্যে কেটে ফেলা হয়েছে। এখন একবারই খোলা মাঠ দেখা যাচ্ছে এখন কোন ফসল আর জমিনের মধ্যে নেই। আমরা আগে থেকেই জানতাম চরের ভিতরে বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ সবচেয়ে ভালো হয়।
আমরা যখন চরের ভিতরে ১০ কিলোমিটার অতিক্রম করেছি। আমরা চরের পুরোপুরি ভিতরে প্রবেশ করেছি। তখন লক্ষ্য করেছি এখানে একটি ফসলের জমিন ছিল।কিন্তু ফসলগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। এখন চারদিকে গর্তের মতন কিছু জায়গা রয়েছে এখানে রয়েছে ছোট ছোট মাছ পানির মধ্যে এবং চারপাশে অনেক বক উড়ে বেড়াচ্ছে মাছগুলো খাওয়ার জন্য। আমরা যেহেতু দুই বন্ধু গিয়েছিলাম আমাদের সাথে ছিল একটি মোটরসাইকেল। আমরা মোটরসাইকেল থেকে নেমে আমরা চরের এই সুন্দর জায়গাটি পরিদর্শন করেছিলাম এবং অনেকগুলো সাদা বক এর ছবি তুলেছিলাম।
এরপর আমরা আবার মোটরসাইকেলে করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন আমরা লক্ষ্য করেছিলাম। এখানে রয়েছে কিছু ফসলের জমিন। কয়েকটি কৃষক ফসলের জমিতে তাদের ফসলগুলো কেটেছে এবং সেগুলো আঁটি বেঁধে মাথায় করে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ফসলের জমিনে পাশে রয়েছে ঐ রাস্তাটি যেটির দীর্ঘ ছিল ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। আমরা লক্ষ্য করেছি ফসলের জমিতে নদীর জোয়ারের সাথে পানি চলে এসেছে। এজন্য কৃষক তাদের ফসল গুলো কেটে ফেলেছে।
এরপর আমরা ফসলে জমিন এর পাশে অন্য একটি চরের ভিতর রাস্তা ছিল। এ রাস্তার ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম। আমাদের পাশে রয়েছে নদী এবং নদীর পাশে রয়েছে অনেকগুলো ফসলের জমিন। কিন্তু নদী কিছুটা ভেঙ্গে ফেলেছে ফসলের জমিনের। আমরা যখন মোটরসাইকেল দিয়ে যাচ্ছিলাম আমাদের সামনে রয়েছে আরেকটি মোটরসাইকেল। আমরা লক্ষ্য করেছি নদীর পাশে কিছু লোকজন মাছ ধরতেছে। আজকের জন্য এখানে সমাপ্ত। পরবর্তী বিষয়গুলো অন্য পর্বে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। সে পর্যন্ত ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণ!
ক্যামেরা | VIVO Y81i |
ক্যমেরা মডেল | vivo 1812 |
ক্যাপচার | @hanif3206 |
অবস্থান | মেঘনার চর,সদর উপজেলা, নোয়াখালী |
share on x
https://x.com/HaniferMd/status/1813102500603699322?s=19
কখনো মেঘনার চর এলাকায় যাওয়া হয়নি তবে আপনার পোস্ট পড়ে এবং ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে খুবই চমৎকার একটি জায়গা। যদি কখনো সময় সুযোগ হয় তাহলে অবশ্যই সেই জায়গা ভিজিট করে আসবো, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই পোস্টটি করার জন্য।
আপনি প্রায় সময় মেঘনা চরের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেন। বেশ ভালো লাগে প্রাকৃতিক দৃশ্যের এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে। ফসলি জমির পাশে রাস্তার ফটোগ্রাফির টা অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মনমুগ্ধকর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।