মেঘনা নদীর চর ভ্রমণ || আমার বাংলা ব্লগ।
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার পোস্ট শুরু করছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব মেঘনা নদীর চর ভ্রমণের কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য সমূহ এবং এখানকার মানুষের জীবনযাপন সম্পর্কে। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ভূমিগঠন থেকে শুরু করে সভ্যতা, সংস্কৃতি, কৃষি, যোগাযোগ সহ সব কিছুই প্রধানত নদীর দান। বাংলাদেশ হচ্ছে নদী নির্ভর দেশ। নদ-নদী গুলোই বাংলার প্রাণ। এই দেশে চারদিকে জালের মত করে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য নদী। নদ-নদীর সঙ্গেই আবর্তিত এই ভূখন্ডের সভ্যতার ইতিহাস। এর মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নদী গুলোর মধ্যে মেঘনা একটি বড় নদী।আমাদের শহর থেকে সেই মেঘনার চরে যেতে প্রায় দশ কিলোমিটারের রাস্তা। এখানে এ ছবিটিতে যে দৃশ্য গুলো দেখা যাচ্ছে, আমি যখন মেঘনা চরের ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম। তখন ঐ মুহূর্তে আমি ছবিটি তুলেছিলাম এখানে অনেকগুলো কৃষক বিভিন্ন কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত। পাশে রয়েছে মেঘনা নদী এবং নদীতে নৌকা করে মানুষ যাতায়াত করছে।
এই ছবিটিতে যে দৃশ্যগুলো দেখা যাচ্ছে আমি যখন চরের ভিতরে জমিনগুলোর মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম। সেখানে বিশাল একর ফসলের জমি নিয়ে অনেক ধরনের ফসলের চাষাবাদ করা হচ্ছে।বিশাল আকারে ফসলের জমিন মনে হয় দূর দূরান্ত থেকেও দেখা যাচ্ছে না। এই মুহূর্তে আমি লক্ষ্য করেছি অনেক রকমের বক এবং সাদা বক গুলো উড়ে বেড়াচ্ছে আকাশে।
এই ছবিটিতে যে দৃশ্যগুলো দেখা যাচ্ছে এখানে কয়েকজন কৃষক ফসলের জমিনগুলোতে ফসল গুলো দেখাশুনা করতেছে। ফসলের মাঠে পানি চলে আসার কারণে কিছু কিছু ফসল তারা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এই কৃষক গুলো প্রতিদিন তাদের ফসলের মাঠে ফসল ফলানোর জন্য অক্লান্ত এবং ঘাম ঝরা পরিশ্রম করে। আমি যখন তাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন এই মুহুর্তে আমি ছবিগুলো তুলেছিলাম।
এটি একটি পেয়ারা গাছের বাগান। আমি যখন চরের ভেতর দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন এই মুহূর্তে ছবি তুলেছিলাম। এখানে বিশাল আকারে পেয়ারা গাছের বাগান রয়েছে এ বাগানটি পরিচর্যা করার জন্য অনেক কৃষক নিয়োজিত রয়েছে। এটি চরের ভিতরের মধ্যে থেকে তোলা।যদিও এই বাগানের পাশে রয়েছে নদী। পেয়ারা গাছের বাগানের ভিতরে আরো অনেক রকমের ফসলের চাষাবাদ করা হচ্ছে।
এখানে বড় বড় অনেকগুলো নৌকা রয়েছে নদীর পাশে।কৃষক ফসলের মাঠ থেকে ফসল গুলো কেটে সেগুলোকে আঁটি বেঁধে ধীরে ধীরে নৌকা বোঝাই করতে ছিল। যেহেতু এটি একটি চর ছিল এবং বড় একটি দ্বীপের মত। এখানে অনেক রকমের ফসল জন্মায়। এ ফসল আঁটি বেঁধে নৌকা করে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়।
এ ছবিগুলোতে যে দৃশ্য গুলো দেখা যাচ্ছে এগুলো মেঘনা নদীর পাশে ছোট ছোট দ্বীপ। এখানে মানুষ বসবাস করে। এখানে অনেকগুলো ছোট ছোট ঘর রয়েছে। কিন্তু ঘর বাড়িগুলো আশেপাশের গাছপালা এবং জঙ্গলে ঘেরাও। ঘরবাড়ি গুলোর চারপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো ছিল অত্যন্ত সুন্দর।
ফোনের বিবরণ!
ক্যামেরা | VIVO Y81i |
ক্যমেরা মডেল | vivo 1812 |
ক্যাপচার | @hanif3206 |
অবস্থান | সদর উপজেলা,নোয়াখালী |
share on x
https://x.com/HaniferMd/status/1812038333952053434?s=19
মেঘনা নদীর অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্য এবং মেঘনা নদীকে কেন্দ্র করে সেখানকার আশেপাশে মানুষের জীবন ব্যবস্থা সম্পর্কে খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনার পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন ভাইয়া। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ আর নদীকে কেন্দ্র করেই আমাদের যতসব কার্যক্রম।তাই নদী এবং নদীর আশেপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য বাঙালি জাতিকে কাবু করে ফেলে।আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে মেঘনা নদীর চড়ের অনেক সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে পেলাম।দৃশ্যগুলো দেখে মনটা একদম ভরে গেল।এত সুন্দর ভাবে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
মেঘনা নদীর খুব সুন্দর দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করেছেন। অসাধারণ হয়েছে আপনার ক্যাপচার করা ফটোগ্রাফি গুলো। আপনি প্রায় সময় মেঘনা নদীর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেন। নৌকায় করে ফসল নিয়ে যাওয়া ফটোগ্রাফি টা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
মেঘনা নদীর চর থেকে খুব সুন্দর ভাবে আপনি ফটো ধারণ করেছেন এবং আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার এই ভ্রমণ আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে ভাইজান। মাঝেমধ্যে প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে ঘোরাফেরা করতে যাওয়া এবং সৌন্দর্য উপভোগ কর মধ্যে অন্যরকম আনন্দ রয়েছে