স্বপ্ন ৭১ বাগান বাড়ি পরিদর্শনের "শেষ পর্ব" (চাটখিল)।
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার পোস্ট শুরু করছি।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি স্বপ্ন ৭১ বাগান বাড়ির সৌন্দর্য সমূহ। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকেও আমি আপনাদের সাথে আবার আলোচনা করার জন্য হাজির হয়েছি,সেই বাগানবাড়ির সৌন্দর্য মুহূর্তগুলোর শেষ পর্ব নিয়ে।গত পর্বে আমি যে শেষ লাইনটুকু আপনাদের সাথে আলোচনা করেছিলাম তা হল। তারপর আমি পাঁচ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার পর, আমি পৌঁছে গিয়েছিলাম সেই আমার লক্ষ্য স্থান পর্যটন এলেকা স্বপ্ন ৭১ বাগান বাড়িতে।
এরপর আমি সিএনজি ড্রাইভারকে আমার সম্পূর্ণ ভাড়ার টাকা পরিশোধ করে, আমি সিএনজি থেকে নেমে গিয়েছিলাম, তারপর আমি পায়ে হেঁটে ধীরে ধীরে বাগান বাড়ির গেটের ভিতর প্রবেশ করলাম।কিন্তু গেটের পাশে রয়েছে একটি কাউন্টার। বাগান বাড়ির ভিতরে যে সৌন্দর্যের সমূহ রয়েছে তার সৌন্দর্য উপভোগ করারর জন্যা টিকিট কাটতে হয়।তারপর আমি একটি টিকেট নিয়েছিলাম মাত্র ২০ টাকা দিয়ে। যদিও টিকিটের দাম ছিল খুবই কম, যেহেতু এটি এত বেশি পর্যটন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা নয়।এরপর আমি ধীরে ধীরে বাগানের ভিতর প্রবেশ করেছিলাম।আমি লক্ষ্য করেছিলাম বাগানটি ছিল অনেক বিশাল একর জমিন নিয়ে।
বাগানে ভিতর রয়েছে একটি কাঁচা রাস্তা, রাস্তার উপর দিয়ে আমি হেঁটে হেঁটে বাগানের ভিতর সৌন্দর্যগুলো উপভোগ করতে শুরু করেছিলাম।এরপর আমি লক্ষ্য করেছিলাম কাঁচা রাস্তার পাশে রয়েছে একটি ফুলের বাগান। সেই ফুলের বাগানের সৌন্দর্যগুলো আমি উপভোগ করেছিলাম এবং সেই মুহূর্তে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছিলাম এই ফুলের বাগানের।এরপরে আমি আরো বাগানের ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম। বাগান ভিতরে প্রবেশ করার পর, আমি লক্ষ্য করেছিলাম এখানে রয়েছে অনেকগুলো ছোট ছোট গাছপালা এবং বিভিন্ন জীবজন্তু মূর্তিগুলো সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ রয়েছে এবং আমি লক্ষ্য করেছি দর্শনার্থীরা উপভোগ করতেছিল বাগানে ভিতরে চারদিকে সৌন্দর্যগুলো।তারা বিভিন্ন ছবি তুলতে ছিল গাছপালা ও মূর্তিগুলোর সাথে।এরপর কিছুক্ষণ আমি এখানে সৌন্দর্য উপভোগ করার পর, আমি বাগানের অন্যদিকে প্রবেশ করতে শুরু করলাম সেখানে লক্ষ্য করেছি পুরাতন দেওয়া একটি টিনের ঘর রয়েছে। সেখানে ভিতরে রয়েছে বিভিন্ন জীবজন্তু যেমন নানান ধরনের পাখি,রয়েছে বানর,বনটিয়া,তোতা পাখি,টিয়া পাখি ইত্যাদি।এ টিনের ঘরের ভিতর এগুলো রয়েছে, এগুলো জীবিত প্রাণী এগুলো দেখতে অত্যন্ত সুন্দর।
অনেক দর্শনার্থীরা এগুলোর ছবি তুলতে ছিল, আমি অনেকগুলো ছবি তুলেছিলাম এই টিনের ঘরের ভিতর থেকে। ঘরটি চারপাশে তার দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছিল, যেহেতু প্রাণী গুলো ঘরের ভিতর থেকে বাইরে যেতে না পারে।তারপর ধীরে ধীরে বাগানের আরো ভিতরে আমি প্রবেশ করেছিলাম। সেখানে আরো অনেক সৌন্দর্য স্থান রয়েছে সবগুলো স্থান আমি পরিদর্শন করেছিলাম।ভিতরে একটি বসার স্থান রয়েছে এখানে দর্শনার্থীরা সবাই মিলে বসে কিছুক্ষণ সময় বিশ্রাম নেয়। তারপর আমিও তাদের মত কিছু সময় এখানে বসেছিলাম।
পুরো বাগানটি আমি পরিদর্শন করেছিলাম। পুরো বাগানটি পরিদর্শন করতে আমার সময় লেগেছে প্রায় এক ঘন্টা ত্রিশ মিনিট।বাগানে ভিতরের সৌন্দর্যগুলো আমাকে খুবই আনন্দিত করেছে। আমি আশা করি প্রত্যেকটি দর্শনার্থীরা এ বাগানের সৌন্দর্যগুলো সুন্দরভাবে উপভোগ করেছে।আজকের মত এখানেই শেষ করছি,পরে আবার কোন ভ্রমণের দারুন মুহূর্তগুলো নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হব,, ইনশাআল্লাহ। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আজকের জন্যা বিদায়, আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণ!
ক্যামেরা | VIVO Y81i |
ক্যমেরা মডেল | vivo 1812 |
ক্যাপচার | @hanif3206 |
অবস্থান | স্বপ্ন ৭১ বাগান বাড়ি, চাটখিল উপজেলা,নোয়াখালী। |
shate on x
https://x.com/HaniferMd/status/1800404849189880163
আমার কাছে বাগানবাড়িগুলো দেখতে সবসময়ই সুন্দর লাগে। আপনি চমৎকারভাবে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। সাথে ফটোগ্রাফি গুলো যেন জীবন্ত কথা বলতেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।