রাঙ্গামাটি ভ্রমণের অভিজ্ঞতার "ষষ্ঠ পর্ব" (লাল পাহাড়ের দেশ)।
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার পোস্ট শুরু করছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই আজকে রাঙ্গামাটি ভ্রমণের ষষ্ঠ পর্বের " মুহূর্তের প্রাকৃতিক দৃশ্য নিয়ে হাজির হলাম।
গত পর্বে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম
এটি আমাদের থাকার হোটেল থেকে কিছুটা দূরে, তাই আমরা একটি গাড়ি ভাড়া করেছি সেখানে যাওয়ার জন্য। আজকে আমরা পর্যটন এলেকা কাপ্তাই লেক পরিদর্শন করব, সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। এরপর আমরা যে গাড়িটি ভাড়া করেছিলাম গাড়িটি এসে দাঁড়িয়েছে, আমরা সবাই মিলে গাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম।
গাড়িটি ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমরা গাড়ির ভেতর থেকে রাস্তার চারপাশের বিভিন্ন প্রকৃতির সৌন্দর্যগুলো উপভোগ করতে শুরু করলাম।
যেহেতু এখানকার পাহাড়িয়া রাস্তাগুলো দেখতে আঁকাবাঁকা,একটু মনের ভিতর ভয়ে কাজ করে, তারপরও আমরা ধীরে ধীরে আমাদের মনের সাহস নিয়ে সামনের দিকে গাড়িতে করে এগিয়ে যাচ্ছি।রাস্তার দুই পাশে মনোমুগ্ধকর প্রকৃতির সৌন্দর্যগুলো দেখে, আমাদের মন অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে যায় তখন আমাদের মন থেকে ভয় কেটে যায়।এভাবে কিছুক্ষণ যাওয়ার পর আমরা ধীরে ধীরে পৌঁছে গিয়েছিল, আমাদের সেই লক্ষ্য স্থান পর্যটন এলেকা কাপ্তাই লেক।তারপর গাড়িটি সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা সবাই ধীরে ধীরে গাড়ি ভিতর থেকে নেমেছিলাম, সবাই একটি জায়গায় প্রথমে অবস্থান করেছিলাম।
এরপর আমাদের গ্রুপ লিডার গাড়ির সম্পূর্ণ ভাড়া পরিশোধ করেছিল। আমরা ধীরে ধীরে কাপ্তাই লেকের দিকে পাঁয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম।তারপর আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম কাপ্তাই লেগের নৌকার ঘাটে।
সেখানে ঘাটের মধ্যে আমি লক্ষ্য করেছি অনেকগুলো নৌকা অবস্থান করতেছিল। সবাই এই নৌকা করে কাপ্তাই লেকে সম্পূর্ণ ঘুরে বেড়ায়।নৌকা ছাড়া কাপ্তাই লেক পরিদর্শন করার কোন বিকল্প পথ নেই। তাই আমাদের গ্রুপ লিডার আমাদের সবার জন্য একটি নৌকা ভাড়া করেছিল।
একটি কথা জেনে রাখা ভালো, যদি আমরা নৌকাটি আগে থেকে ভাড়া করে রাখতাম, যখন আমরা বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমানে এখানে এসে নৌকার ভাড়া দ্বিগুন হারে বেড়ে গিয়েছে, এখন এই মুহূর্তে অনেক পর্যটন দর্শনার্থীরা ঘাটের মধ্যে অবস্থান করতেছিল। রাস্তা থেকে লেকের পানি পর্যন্ত অনেক গুলো সিঁড়ি দিয়ে বড় একটি নৌকার ঘাট নির্মাণ করা হয়েছিল।যেহেতু এখন এই মুহূর্তে মোটামুটি কিছু শীতের সময়ও ছিল তারপরও কাপ্তাই লেকের পানি প্রায়ই ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাচ্ছিল।
যাইহোক,এবার আমরা সবাই মিলে একটি নৌকা ভাড়া করেছিলাম যদিও দাম অনেক বেশি ছিল।নৌকার ঘাটের উপর দাঁড়িয়ে আমি এই মুহূর্তে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছিলাম। এবার আমরা সকল বন্ধু মিলে নৌকার ভিতর প্রবেশ করেছিলাম। নৌকাটি ধীরে ধীরে কাপ্তাই লেকের নীল পানির উপর দিয়ে ধীরে ধীরে যাচ্ছিল সামনের দিকে। কাপ্তাই লেকটি দেখতে এতই সুন্দর যে, মনে হয় যেন আমরা বিদেশি কোন লেকের ভিতর দিয়ে নৌকা করে যাচ্ছিলাম কোন দিকে। পানিগুলো এত স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার ছিল যে, মনে হয় পানির ভিতরে মাছগুলো সহজে দেখা যাচ্ছিল, যেহেতু পানি গুলো ছিল অনেক নীল বর্ণের।
আমি এই মুহূর্তে পুরো লেকের এবং আশেপাশের বিভিন্ন মনোরম দৃশ্যগুলোর অনেক ফটোগ্রাফি করেছিলাম। নৌকাটি রাঙ্গামাটি মূল শহর ছেড়ে লেক পাড়ি দিয়ে ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। লেকের দুই পাশে রয়েছে প্রাকৃতিক বিভিন্ন গাছপালা সহ পাহাড়ের মত ঘেরাও। এ মনোরম প্রকৃতির সৌন্দর্যগুলো দেখে আমাদের মন আকৃষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আমাদের দুই চোখ এই সৌন্দর্য থেকে নামাতে ইচ্ছা করতেছে না।
কি মনোরম সৌন্দর্য তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আজকের মত এখানেই শেষ করছি,পরের সেই দারুন মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে আগামী সপ্তম পর্বে শেয়ার করবো,, ইনশাআল্লাহ। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আজকের জন্যা বিদায়, আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণ!
ক্যামেরা | VIVO Y81i |
ক্যমেরা মডেল | vivo 1812 |
ক্যাপচার | @hanif3206 |
অবস্থান | কাপ্তাই লেক,পার্বত্য জেলা, রাঙ্গামাটি। |
share on x
https://x.com/HaniferMd/status/1800786283524194347
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন রাঙ্গামাটি ভ্রমণের অভিজ্ঞতার ষষ্ঠ পর্ব। আসলে আমিও বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করতে বেশ পছন্দ করি। তবে এখনো আমার রাঙ্গামাটি ভ্রমণে যাওয়া হয়নি। আশা করি খুব অল্প সময়ের মধ্যে রাঙ্গামাটি নিজ চোখে দেখতে পারবো। আপনার শেয়ার করা পোস্টের দৃশ্য গুলো দেখতে সত্যি বেশ দারুন লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।