নোয়াখালীর গ্রীন পার্ক পরিদর্শন।।
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার পোস্ট শুরু করছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজকে আমি আপনাদের সাথে নোয়াখালীর গ্রীন পার্ক পরিদর্শনের অনুভূতি শেয়ার করবো।
গত একমাস পূর্বে আমি এবং আমার বন্ধু নোয়াখালীর গ্রীন পার্ক পরিদর্শন করিয়াছিলাম।এ পার্কটি নোয়াখালীর উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত ছাতারপাইয়া সংলগ্ন এলাকায়। নোয়াখালী সদর উপজেলা থেকে এ পার্কটির পর্যন্ত দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার হবে।
যাইহোক, আমি এবং আমার বন্ধু নোয়াখালীর সদর উপজেলা থেকে একটি সিএনজি ভাড়া করেছিলাম এই পার্ক পরিদর্শন করার জন্য। আমরা সকাল ১০:০০ নোয়াখালী সদর উপজেলা থেকে সিএনজি করে
রওনা দিয়েছিলাম পার্কের উদ্দেশ্যে , প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে পার্কের সামনে এসে উপস্থিত হয়েছি দুই বন্ধু।আমাদেরকে সিএনজি ভাড়া পরিশোধ করতে হলো প্রায় ৩৫০ টাকা। যখন আমরা পার্কের সামনে এসে উপস্থিত হলাম, তখন আমরা লক্ষ্য করেছিলাম পার্কের গেটের সামনে রয়েছে অনেক মানুষের ভীড়,টিকেট কিনার জন্যা। কারণ ঈদের পরে অনেক মানুষের বিভিন্ন ছুটি থাকার কারণে তারা পার্কে এসেছে পরিবার-পরিজনকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করার জন্যা।
তারপর মানুষের সাথে আমরাও কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে আছি টিকিট কেনার জন্য, আমরা দুইটি টিকিট কিনেছি ৫০ টাকা করে।তারপর ধীরে ধীরে আমরা মানুষের সাথে গেটের মধ্য দিয়ে পার্কের ভিতর প্রবেশ করলাম। আমরা তো অবাক! পার্কের ভিতর প্রবেশ করে যখন আমরা লক্ষ্য করেছিলাম,পার্কটির ভিতরে দেখে মনে হল এটি কোন পার্ক নয়, মনে হয় যেন এটি একটি চিড়িয়াখানা। শুরুতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বিভিন্ন প্রাণীদের মূর্তি।যেমন হরিণ, বানর,সাপ, হাতি, জিরাফ, ঘোড়া, ডাইনোসর ইত্যাদি।
কিছুক্ষণ সময় ধরে আমি এবং আমার বন্ধুসহ আমরা এই প্রাণি গুলোর মূর্তির ছবি এবং সৌন্দর্য উপভোগ করেছিলাম। মূর্তিগুলো দেখে মনে হয় জীবিত কোন প্রাণী এখানে দাঁড়িয়ে আছে।
এরপর আমরা ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম এবং পার্কের পরিবেশ এবং সৌন্দর্য উপভোগ করতেছিলাম।আমরা পার্কের চর্তুরদিকে লক্ষ্য করেছিলাম অনেক মানুষ এখানে এসেছে এ পার্কটি পরিদর্শন করার জন্যা, তাদের আশেপাশে আছে ছোট ছোট বাচ্চারা এবং সাথে তাদের পিতা মাতা।
যখন আরো সামনে এগিয়ে যাচ্ছিলাম তখন আমরা লক্ষ্য করেছিলাম শিশুদের জন্য বিভিন্ন রাইটস তৈরি করা হয়েছে।শিশুরা আনন্দ মজা এবং উৎসবে মেতে উঠেছে এইসব রাইটস চড়ে।
শিশুরা প্রাণীর মূর্তিগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে ছিল।এভাবে ধীরে ধীরে আমি এবং আমার বন্ধু আমরা পুরো পার্কটি পরিদর্শন করেছিলাম, এতে আমাদের সময় লেগেছিল প্রায় এক ঘন্টা
ভিতর খাবারের দোকান রয়েছে আমি এবং আমার বন্ধু আমরা পার্কের ভিতরে বসে খাবারের দোকানে হালকা খাবার খেয়েছিলাম।পুরো পার্ক পরিদর্শন করে আমরা দুইজনেই অনেকগুলো ছবি তুলেছিলাম, বিভিন্ন প্রাণী গুলোর মূর্তি, পার্কের ভিতরে সৌন্দর্য, পার্কের ভিতরের পরিবেশ ইত্যাদি।
এরপর আমরা আরও কিছুক্ষণ সময় পার্কের ভিতর অবস্থান করলাম এবং চারদিকে ঘোরাফিরা করেছিলাম।তারপর আমরা পার্কটি কে বিদায় জানিয়ে, আমরা আবার আমাদের শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।আজকের মত এখানেই শেষ করছি,পরে আবার "নতুন কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব,, ইনশাআল্লাহ। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আজকের জন্যা বিদায়, আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণ!
ক্যামেরা | VIVO Y81i |
ক্যমেরা মডেল | vivo 1812 |
ক্যাপচার | @hanif3206 |
অবস্থান | গ্রীন পার্ক, নোয়াখালী |
share on x
https://x.com/HaniferMd/status/1791822986376626503
ভাইয়া আপনার নোয়াখালী গ্রীন পার্ক পরিদর্শন করা দেখে মনে হচ্ছে সেখানে অনেক উপভোগ করেছেন এবং সুন্দর সময় কাটেছেন। এবং সেখানে অনেক ফটোগ্রাফি করেছেন আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার পার্কের পরিবেশটা অনেক সুন্দর ছিল তবে এটা শুনে অনেক ভালো লাগলো যে পার্কের টিকিট ৫০ টাকা করে। এখন বর্তমান সময়ে ৫০ টাকায় টিকিট পাওয়া যায় এটা শুনে অনেক ভালো লাগলো। সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন সেটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
অবশ্যই আপু যেহেতু পার্কটি নতুন করে তৈরি করা হয়েছিল, এ জন্যা ই টিকেটের দাম সবচেয়ে কম মূল্য রাখা হয়েছে।তবে পার্কটির পরিবেশ অনেক সুন্দর।ধন্যবাদ আপনাকে।