মেঘনার চর ভ্রমণ (পর্ব -৫) || আমার বাংলা ব্লগ।

in আমার বাংলা ব্লগ17 days ago
Blue and White Illustrative Children's Rights Presentation.png

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার পোস্ট শুরু করছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব মেঘনা নদীর চর ভ্রমণের কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য সমূহ এবং এখানকার মানুষের জীবনযাপন সম্পর্কে। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।

IMG_20240730_203340.png
IMG_20240730_203043.png

বাংলাদেশের নদ-নদীর সংখ্যা অগনিত হলেও কোনটাই বিচ্ছিন্ন নয়। বাংলাদেশের প্রধান চারটি বড় নদীর মধ্যে মেঘনা একটি। মেঘনা ভৈরবে পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গে মিলিত হয়ে চাঁদপুরে পদ্মার সাথে মিলিত হয়েছে। এই নদীটি নোয়াখালী জেলার পাশ দিয়ে এবং লক্ষীপুর জেলার মাঝখান দিয়ে বঙ্গোপসাগরে সাথে মিলিত হয়েছে। এ নদীটির দুই পাশে রয়েছে অসংখ্য চর। নদীর পাশে জেগে ওঠা আমি কয়েকটি চর ভ্রমণ করেছিলাম। প্রত্যেকটি চর ছিল অনেক বড়। এই চর গুলো নদীর পাশে প্রায় ৩০ বছর আগে জেগে উঠেছিল। বর্তমানে এখানে মানুষ বসবাস করে যাচ্ছে। এখানকার মানুষের বসবাস এবং জীবন যাপন নিয়ে আমি কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। এখানে উপরে যে ছবিগুলো দেখা যাচ্ছে এটি মেঘনা নদীর ছবি। আমি যখন নৌকাতে উঠেছিলাম তখন এই মুহূর্তে আমি ছবিগুলো তুলেছিলাম। এখানে নৌকাগুলো সাধারণত তাদের সবসময় কাছাকাছি থাকে। যেগুলো দিয়ে তারা সবসময় যাতায়াত করে এই নদীর উপর দিয়ে চরে থাকা মানুষগুলো।

IMG_20240730_203320.png
IMG_20240730_202349.png

ওপরের দুটি ছবিতে যে দৃশ্যগুলো দেখা যাচ্ছে এগুলো চরের ভিতর ছবি। আমি যখন চরের ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম। তখন লক্ষ্য করেছিলাম অনেক শ্রমিকেরা সেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতেছিল। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন ব্যক্তি মাথার মধ্যে কিছু খাবার নিয়ে চরের নদীর পাশে দিয়ে যাচ্ছিল। অনেক শ্রমিকেরা তাদের নিজের জমিতে ফলানো ফসলগুলো পরিশোধন করতে ছিল মেশিন দিয়ে। আমি এই মুহূর্তে ছবিগুলো তুলেছিলাম।

IMG_20240730_202839.png
IMG_20240730_202408.png

উপরে লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে দুটি ছবিতে আমরা উপলব্ধি করতে পারি যে এগুলো হল তাদের ফলানো ফসল। এগুলো ভুট্টা নামে পরিচিত। এগুলো দেখতে হলুদ বর্ণের, সাধারণত এই ভুট্টা গুলো থেকে বিভিন্ন ধরনের ডাউল সংগ্রহ করা হয়। এখানে অনেকগুলো শ্রমিক রয়েছে যেমন রয়েছে পুরুষ এবং মহিলা উভয় তারা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। মেশিনের সাহায্যে ভুট্টা থেকে ডাউল সংগ্রহ করা হচ্ছে। এই দৃশ্যটি আমি কিছুক্ষণ সময় সেখানে উপভোগ করেছিলাম।

IMG_20240730_204143.png
IMG_20240730_204211.png

আমি যখন চরের ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম। তখন আমি লক্ষ্য করেছিলাম। চরের ভিতরে রয়েছে অনেক ঘরবাড়ি যে ঘর বাড়িগুলো ছিল অনেক পুরাতন। বর্তমানে চরের পাশে রয়েছে অনেক গাছপালা। এখানে বর্তমানে পরিবেশটি অনেক সুন্দর। যদিও ৩০ বছর আগে এখানে নদী ছিল। এখানে বর্তমানে জায়গাগুলোর দাম ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আরো দশ বছর আগেও এখানে জায়গার দাম ছিল অনেক কম। যেহেতু নদী ভেঙ্গে অনেক দূরে চলে গিয়েছে। এখন মানুষ ধীরে ধীরে এখানে জায়গাগুলো কিনার জন্য আগ্রহী প্রকাশ করতেছে। নতুন নতুন আরো ঘরবাড়ি তৈরি করা হচ্ছে এখানে।

IMG_20240730_203237.png

এই ছবিটিতে লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে দুটি ছোট্ট শিশু সেখানে নদীর পাশে নৌকার পাশে গোসল করতেছে এবং জাল দিয়ে তারা মাছ ধরতেছে। এ দৃশ্যটি দেখে আমি অত্যন্ত ভয় পেয়েছিলাম। কারণ নদীর পানির ঢেউ গুলো ছিল অনেক বড় বড় যা চিন্তার বিষয়।আসলে নদীর পাশে যারা বসবাস করে ছোট্ট হোক বড় হোক তাদের সাবাশ অসীম এবং তারা এগুলো ভয় পায় না।নদীর পাশের মানুষগুলো সব সময় নদীর সাথে সংগ্রাম করে বসবাস করতে হয়।যাইহোক, আজকের জন্য এখানে সমাপ্ত। পরবর্তী আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব।

আমার ব্লগ পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WD38ZqUeRnVUECQkCUtERy26TtJgXchPPruCuG4aYFBuTAMzpZcSvvMhve24nx82PpqjRpciui4qTvoaVEYW.png

ফোনের বিবরণ!

ক্যামেরাVIVO Y81i
ক্যমেরা মডেলvivo 1812
ক্যাপচার@hanif3206
অবস্থানসদর উপজেলা,নোয়াখালী

SeZwdRpvKdfSER21BRnLEm7DphWq1kbpQyRKi46dTupajZqXocKokWcbV7VCrdshaTLgcMPZmGgv1EUs7rKcDejZqhvw3cPa35fbfbMp99zZNpB8cMkTyWhtbyLEmPVy8QBYtG2hcHEjm4GepX64cwR1WHiuRyC5d7EFb9axxoEFf.gif

A3Z6dpaPrexwcy6xHQHfFaMXGPra6UPLbZDNDdFc7rVLrvj1qbtDMbRZMQF6A4zb3yPLpkViGe95ESMpTZxPuwXgYvdtUhmrKkECnXdBqP1196rHDbZPpYXQhqXgYFw7wZ1gTosU.png

Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1TjXjKbU7neRb4MUGqBZJEsBZygBMp3vgpnsxmjJLT2LGe6GhhQ646pj6vVUUkTVSR4JU69ieh1ufxLEsQ.png

6HAuCuDmXw26e9.gif

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iQSBPCV7mSFC5UcypyAvDUdYo6fgY55XWxFzyApyxVewjd6hApTuPveLT8aaj5YvvAtAMeHpeQ6.png

Sort:  
 17 days ago 

মেঘনা নদীর অববাহিকায় চরাঞ্চলের ভ্রমনের অভিজ্ঞতা বেশ দারুণভাবে বর্ণনা করেছেন। যতক্ষণ পড়ছিলাম মনে হচ্ছিল একবারে নৌকার পাশের মানুষের বসবাসের সংগ্রামী জীবনের প্রকৃত ছবিই দেখতে পারছিলাম।

দু ধারে চরাঞ্চলগুলোর বৈশিষ্ট্য হলো - হঠাৎ করে যেকোন সময় চর গজিয়ে ওঠে আর তারপর ভাঙনের কবলে পড়ে তা ডুবে যেতে থাকে। অনেকেই সেসব জমি কেনার প্রতি আগ্রহ দেখায়, যদিও ঝুঁকি থেকে যায় নদীর তলে বিলীন হয়ে যাওয়াটা।

ধন্যবাদ। শেয়ার করার জন্য। পড়ে খুশি হলাম।

 16 days ago 

আসলে নদীর পাশে অনেকগুলো চড় অঞ্চল রয়েছে। প্রত্যেকটি চরাঞ্চলের বর্তমানে মানুষ বসবাস করে যাচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হল মানুষ সবসময় আতঙ্কিত থাকতে হয়। কারণ এখানে বসবাস করা অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু মানুষ জমিগুলো কিনছে তারা ফসল ফলানোর জন্য। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 17 days ago 

নদীর পাড়ের অসাধারণ সব ফটোগ্রাফি দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। এরকম সুন্দর কোন জায়গায় ঘুরতে গেলে মন একদম ফ্রেশ হয়ে যাবে। দারুন ছিল ফটোগ্রাফি গুলো। আর মুহূর্তগুলোও অসাধারণ ছিল ভাইয়া।

 16 days ago 

সত্যি বলছেন আপু, আসলে নদীর পাহাড়ের দৃশ্যগুলো অত্যন্ত সুন্দর এবং এখানে চারপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। এখানে মানুষের জীবনযাত্রা এবং চলাফেরা যদিও একটু কঠিন। তারপরও এখানে মানুষ বসবাস করে যাচ্ছে তাদের জীবন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন নদীর সাথে।ধন্যবাদ আপনাকে।

 17 days ago 

শেষের দিকে এক জায়গায় 'সাহস' হয়ে গেছে 'সাবাস'। একটু দেখে নেবেন। পোস্টটি খুব সুন্দর। মেঘনার চরে গিয়ে যে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন তা বড় মূল্যবান। ফসল তোলার ছবি ভালো লাগলো৷ তবে শিশু দুটির খেলা সত্যই বড় ভয়ঙ্কর। এই নদীর ভয়াল স্রোতে সত্যিই ভয় লাগছে ছবিতেই৷ সবমিলিয়ে বেশ ভালো লাগলো।

 16 days ago 

ধন্যবাদ আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য।আসলে এই দৃশ্যটি দেখে আমি খুবই ভয় পেয়েছি। কারণ এখানে আর কোন মানুষ নেই। দুটি শিশুই নদীর পাশে পানির ঢেউয়ের ভিতর মাছ ধরতেছিল।

 16 days ago 

আপনার মেঘনার চর ভ্রমণের কয়েকটা পর্ব দেখেছিলাম আগে। আজকে আরও একটা পর্ব দেখতে পেরে ভালো লাগলো। খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন আপনি। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ভুট্টার ফটোগ্রাফি দেখেও ভীষণ ভালো লাগলো। দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনি। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 16 days ago 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, আমার অন্যান্য পোস্ট গুলো পড়ার জন্য।মেঘনা চর গুলো আমাদের বাড়ি থেকে খুবই কাছাকাছি। এ কারনে যখন সময় পাই তখন আমি সেখানে চলে যাই এবং সেখানে প্রাকৃতিক দৃশ্যর এবং মানুষের জীবনযাত্রার ফটোগ্রাফি করি। ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59452.12
ETH 2603.11
USDT 1.00
SBD 2.39