গ্রামের একটি মেলায় ছোটভাইকে নিয়ে কিছু সময়
08-01-2022
২৫ পৌষ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
আমার বাংলা ব্লগ এর সকল সদস্যবৃন্দ, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালোই আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
কিছুদিন আগেও আপনাদের সাথে গ্রামের একটি মেলা নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করেছিলেন। আজকে চলে এলাম আরেকটি গ্রামের মেলা নিয়ে। এটা আসলে গ্রামের মেলা বললেও ভু্ল হবে কারণ মূলত ইসলামিক মাহফিল উপলক্ষে এই মেলা। এই মাহফিল প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এটা আমাদের গ্রাম থেকে প্রায় ৫-৬ কিলোমিটার দূরেই অবস্থিত। আর মাহফিল উপলক্ষে প্রতিবছর বড়সড় আকারে এখানে মেলার মতো হয়ে থাকে। প্রায় সকল জিনিস পাওয়া যায় এই মেলায়। আজকে মাহফিল উপলক্ষে মেলা দেখবো বলে ছোট ভাইকে নিয়ে আসছি। আমার ছোট ভাইয়ের নাম মোবাশ্বির। সে এখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে। যায়হোক মেলা সন্ধ্যা হতে থাকলে ভীড় বাড়তে থাকে। আর আমাদের এখান থেকে একটু দূরে ছিল এজন্য আমরা একটু সন্ধ্যার আগে রওয়ানা হয়। এখানে আসার জন্য ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা পাওয়া যায়। আসতে বেশি সময়ও লাগে না। মাহফিল এ দেশের অনেক জায়গা থেকেই মানুষ আসে, সেই সাথে মেলা দেখাও হয়ে যায়। তো আমরা একটি অটোরিকশা নিয়ে রওনা দিলাম। তারপর আমাদের গন্তব্য রসুলপুরে আসতে ২৫-৩০ মিনিটের মতো লেগেছে। এসে দেখে অনেক মানুষের ভীড়। আর আমি আর ছোটভাই মিলে এসে কতক্ষণ ঘুরাঘুরি করতে থাকলাম আর দোকানগুলো দেখতে লাগলাম। অনেক দোকান উঠেছে দেখতে পেলাম।
আমার ছোটভাই এসেই বলা শুরু করে দিয়েছে এটা খাবে সেটা খাবে। তো ভাবলাম মাহফিল এ বসবো কিছুক্ষণ তো দেখতে পেলাম বিভিন্ন ধরনের বুট উঠেছে। ছোলা,শীমে,বাদাম এসব উঠেছে। এগুলো অল্প অল্প করে নিলাম খাওয়ার জন্য। আর কিছু ছবি তুলেছিলাম। যেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। ছোট বাচ্চাদের জন্য দেখতে পেলাম প্লাস্টিকের অনেক জিনিস উঠেছে।
দেখতে পেলাম একটি প্লাস্টিকের পাখির জন্য কাচা। আর কাচার ভিতরে দেখতে পেলাম পাখির দুটি সাদা প্লাস্টিকের ডিম রাখা।
বাচ্চাদের প্রিয় হলো টেডিবিয়ার। পেলে তো কথাই নেই সারাদিন এটা নিয়েই দৌড়াদৌড়ি করে। তো দেখতে পেলাম দুটি টেডিবিয়ার। তারপর ফোনে টেডিবিয়ার দুটি ক্যামেরাবন্দি করে নিলাম।
আমাদের দিকে এগুলোকে উড়ি বলে। কিন্তু এগুলোমূলত শিম থেকেই হয়। শিম শুকানোর পরে ভেজে খেতে হয়। খেতে অবশ্য ভালো লাগে।
বাদাম খেতে কারনা ভালো লাগে। তবে ইদানিং বাদাম দেখলেই কাচা বাদামের কথা মনে পড়ে যায়। যদিও কাচা বাদাম কাচা খেতে মজা নেই। ভাজা করে খেলে বাদাম খেতে মজা। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন একটি বাদাম খেলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
দুইধরনের ছোলা বা বুট দেখতে পেলাম। বুট বা ছোলা খেতে ভালোই লাগে। অল্প অল্প ছোলা বা বুট কিনে নিলাম। আর ছবি তুলে নিলাম একটা
তারপর আরেকটি দোকানে একটি ভিন্ন কারুকাজ সম্পন্ন জিনিস দেখতে পেলাম। কাঠের মধ্যে বিভিন্ন নাম লিখা। তবে ছোট ভাই বলেছিল ওর নামে একটা কিনতে কিন্তু ওর নামে কাঠে কারুকাজ করা পায়নি কোনো। দোকানদার অবশ্য বলেছিল করে দিতে পারবে নাম লিখে পরে আমি অবশ্য দাড়ায়নিবেশি।
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | Rosulpur,Nandail |
যায়হোক এখনো মাহফিল শেষ হয়নি। আর আমি এখন বসে বসেই পোস্টটি লিখে ফেলেছি। অবশ্য এখনও পান খাওয়া হয়নি। যাওয়ার সময় অবশ্য পান খেয়ে যাবো। যায়হোক আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে শুভেচ্ছা রইল
![C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png)
ধন্যবাদ
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কোকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যৎ এ প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চায়।
না ভাই পোষ্টটি মোটেও যথার্ত হয় নাই, কারন গ্রামীন মেলা মানে ভিন্ন কিছু এটা আমি জানি, বাদাম বুট এগুলোর ফটোগ্রাফি দিয়েই কি গ্রামের মেলার অনুভূতি প্রকাশ করা যায়, এগুলোকে আমি বলবো ফাঁকিবাজির পোষ্ট। আশা করছি বুঝতে পারছেন কি বলতে চাচ্ছি আমি। ধন্যবাদ
জি ভাইয়া ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। বুটের এসব ছবির সাথে আরও গ্রামীণ কিছু ছবি তোলার দরকার ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
twitter link:
https://twitter.com/Emtiaz381602031/status/1479533124199411713?t=gBAWpnP8p_m3xNM5jUSAwg&s=19
ওয়াও! অনেক ভালো লাগলো পোস্ট টা পড়ে। আমাদের গ্রামেও এমন হয় মাওফিল হলে অনেক দোকানপাট বসে। সেখানে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে। আপনার পোস্টে কাঠের ভেতর নাম লিখা সেগুলো অনেক ভালো লাগলো দেখে৷ এখনে কি সব নাম বানানো যায়?
❤️❤️❤️❤️
হুম ভাই বানায় মনে হয়। দোকান বসছে তো এজন্য। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
গ্রামের একটি মেলায় আপনার ছোটভাইকে নিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আপনার পোস্ট দেখে ছোট বেলায় কথা মনে পড়ে গেলো আমিও ঠিক মেলায় গিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিস কিনতাম। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভালো থাকুন
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই সুন্দর একটি মতামত দেয়ার জন্য।
আপনার ছোট ভাই মোবাশ্বির ভাইকে নিয়ে আপনি মেলাতে দারুণ সময় কাটিয়েছেন । শীতের সময় আমাদের এলাকাতেও এমন মাহফিল হয়ে থাকে ।যেখানে অনেক ধরনের নিত্য নতুন জিনিস ওঠে এবং অসাধারণ সব খাবার তৈরি করা হয় যেগুলো খেতে এবং উপভোগ করতে বেশ চমৎকার লালাগে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন শীতের সময় মাহফিল উপলক্ষে মেলা হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে
গ্রামের মেলা মানেই অন্যরকম একটা আনন্দ। শীতকালে এই মেলা গুলো বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে রাতের আধারে গ্রামের মেলা একটি ভিন্ন চিত্র ফুটে ওঠে। সুন্দর একটা সময় পার করেছেন ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
গ্রামের এরকম ছোট ছোট মেলায় আসোলেই অনেক আনন্দ হয়। এরকম আনন্দ শহরের মেলায় পাওয়া যায়না। শহরের মেলাতেও একটা যান্ত্রিকতা বিরাজ করে।
গ্রামের মেলায় হাতে তৈরী অনেক জিনিস ও পাওয়া যায়।অনেক ছোট থাকতে একবার গিয়েছিলাম গ্রামের মেলায়।
শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপু
আপনার ছোট ভাইকে নিয়ে মেলায় দারুণভাবে সময় কাটিয়েছেন। মেলার বিভিন্ন জিনিসপত্রের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ সুন্দর লাগছে দেখতে। গ্রামের মেলায় কারুকার্যের জিনিসপত্রগুলো দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। সুন্দর একটি পোষ্ট উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।