Sorry বিন্দু নাটক রিভিউ [১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য ]
29-04-2022
১৬ বৈশাখ ,১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
আশা করছি ভালো আছেন। তবে এই কয়েকদিন খুব গরম যাচ্ছে। কোনো কিছুই করা যাচ্ছেনা গরমের জন্য। এদিকে লোডশেডিংও যেন বেড়ে গেছে। বৈশাখের রোদে মানুষ বাহিরে যাওয়ায় বন্ধ করে দিবে এমনটা মনে হচ্ছে। যায়হোক আজকে চলে এলাম আপনাদের সাথে একটি নাটক শেয়ার করে নেয়ার। নাটকটি সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে। মুক্তি পাওয়ার পর থেকে ভালোই দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। নাটকটির নাম হচ্ছে সরি বিন্দু। নাটকটি মূলত রোমান্টিক টাইপের একটি নাটক। আশা করি নাটকটটির রিভিউ আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | Sorry বিন্দু । |
---|---|
গল্প ও রচনা | তামান্না মীর স্বর্ণা । |
পরিচালনা | মোঃ মেহেদী হাসান জনি । |
অভিনয়ে | জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, কেয়া পায়েল, মাসুম বাশার, মিলি বাশার, বাশার বাপ্পী, শারমীন সাথী । |
মিউজিক | অনীরুদ্ধ শুভ । |
দৈর্ঘ্য | ৪৩ মিনিট ১৭ সেকেন্ড । |
মুক্তির তারিখ | ২১ শে এপ্রিল, ২০২২ ইং |
ধরন | ড্রামা, সামাজিক, রোমান্টিক। |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
নাটকের শুরুতে দেখা যায় বিন্দু কেক ডেলিভারি দিচ্ছে। বিন্দু অনলাইনে কেক বিক্রি করে থাকে। বিন্দু হোম মেইড কেক নামে তাকে সবাই চিনে। ফেইসবুক পেজে ভালো ফলোয়ারও পেয়েছে এবং ক্রেতাদের কাছ থেকে কেকের পজিটিভ রিভিউও পেয়েছে। এজন্য বিন্দুর কেক এর সুনাম চারিদিকে। বিন্দু চারটি কেকের ডেলিভারি এজন্য তার সহকর্মীকে বলে দুই ঘন্টার মধ্যে যেন কেকগুলো ডেলিভারী দিয়ে দেয়। তারই মধ্যে একটি ফোন আসে বিন্দুর কাছে। কেক অর্ডার দেয়ার জন্য মূলত বিন্দুকে একজন ক্রেতা ফোন দিয়েছিল। কিন্তু ক্রেতার একটি তিন পাউন্ডের কেক লাগবে আর সেটা ত্রিশ মিনিটের মধ্যে লাগবে। বিন্দুর পক্ষে এতো তাড়াতাড়ি কেক বানিয়ে ডেলিভারী দেয়া সম্ভব না। এজন্য সে ফোন করে না করে দেয় ক্রেতাকে।
ঠিক কিছুক্ষণ পরেই বিন্দুর বাসার দরজায় কলিং বেল বাজায়। একজন অচেনা ছেলে এসে বিন্দুকে বলে এখানে বিন্দু আছে কিনা। তারপর বিন্দু বলে সে হলো বিন্দু। ছেলেটি বিন্দুকে মুখ হা করতে বলে এবং হাতে নিয়ে আসা কেক মুখে দিয়ে দেয়। কেকে পচা ডিম দেয়া ছিল এজন্য বিন্দুকে ছেলেটি খাইতে দেয়। তারপর বিন্দু হতবম্ভ হয়ে যায়। এবার ছেলেটির পরিচয়ে আসা যাক ছেলেটির নাম হচ্ছে রাফি। তারও একটি ফেইজবুক পেজ আছে যেখানে অনেক ফলোয়ার। তো রাফির বন্ধু আবির বিন্দুর কাছ থেকে কেক অর্ডার নিয়েছিল। আর সে কেকে পচা ডিমের গন্ধ পাওয়ায় ফেরত দিতে এসেছিল। বিন্দুর কথামতে এই কেক তার বানানো না। দুদিন ধরে সে কোনো কেকের অর্ডার পায়নি। রাফি বলে কেকের জন্য তাকে টাকা ফেরত দিতে। এই বলে সে বিন্দুর বাসা থেকে চলে আসে।
তার পরেরদিন বিন্দু বাহির থেকে আসার সময় দেখতে পায় তাদের গেইটে একটি কাগজে লিখা বিন্দু পচাঁ ডিমের কেক বিক্রি করে মানুষের সাথে প্রতারণা করছে। বিন্দু তখন রাফিকে ফোন দেয়। ফোন দিয়ে রাফিকে বলে কেন সে এমন কাজ করছে? যে কেক তার না তবে কেন তার উপরই দোষ দেয়া হচ্ছে। রাফি কোনোভাবেই বিন্দুর কথা বিশ্বাস করতে পারেনা। বিন্দু রাফিকে বলে না জেনে এসব করা ঠিক না। শুধু শুধু কেন তার নামে মিথ্যাবাদ চড়াচ্ছে। বিন্দু রাফিকে বলে আপনি যতই খারাপ রিভিউ দেন না কেন আমার কাস্টমার কেক নেয়া বন্ধ করবে না। রাফি তারপর তার ফেইসবুক পেজ থেকে বিন্দুর পচা ডিমের কেক নিয়ে একটি মিথ্যা রিভিউ দেয়। এতে বিন্দুর কাছ থেকে অনেকেই কেক নেয়া বন্ধ করে দেয়। পেন্ডিং কিছু কেকের অর্ডার ছিল সেগুলোও ক্যানসেল করে দেয় ক্রেতারা। বিন্দু রীতিমত আপসেট হয়ে পড়ে। এভাবে ক্রেতাদের কাছ থেকে কেক এর অর্ডার বাদ হয়ে যাচ্ছে! তারপর বিন্দুর মা-বাবা কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়ে বিন্দুর অবস্থা থেকে। রাফির একটি খারাপ রিভিউয়ের জন্য তার কাছ থেকে কেক এর অর্ডার বাদ হয়ে যায়।
বিন্দু মানসিকভাবে অসু্স্থ হয়ে পড়ে। যেখানেই সে যায় কেক অর্ডার বাদ দেয়ার কথা মাথায় এসে পড়ে। তারপর বিন্দুর বাবা তাকে বলে তার মেয়েকে কেউ খারাপ বললে সে কি খারাপ হয়ে যাবে! বিন্দু কখনো কারো সাথে প্রতারণা করেনি। কিন্তু বিন্দুর কথা হলো কেন তার ফেইজবুক পেজ মানুষজন রিপোর্ট মারছে। এতো কষ্ট করে ফেইজবুক পেজটা দাড়ঁ করিয়েছে সে। না বুঝে মানুষজন এমন কেন করছে। তার বাবা তাকে বলে খারাপ সময় বেশিদিন স্থায়ী নয়। শুধুমাত্র সময় আর ধৈর্য ধরলেই হবে।
ঠিক পরেরদিন বিন্দু ঘুম থেকেই উঠেই একটি ফোন পায়। ফোন দিয়ে একজন ক্রেতা একটি কেক অর্ডার করতে বলে। বিন্দু কেক এর অর্ডার পেয়ে রীতিমত মহাখুশি। তবে এ কেকটা সে ডিসকাউন্ট এ দিতে যাচ্ছে তবে ক্রেতাকে বলে তার পেইজে গিয়ে একটি পজিটিভ রিভিউ দিতে। কিন্তু ক্রেতা আবার শর্ত দেয় পজিটিভ রিভিউ দিবে যদি সে নিজে কেকটা নিয়ে আসে। বিন্দু তাতেও রাজি হয়ে যায়। তারপর বিন্দু কেকটা নিয়ে ক্রেতার বাসায় যায় । গিয়ে দেখে দেয়ালে লিখা সরি বিন্দু। রাফি আসে তখন সেখানে। রাফিকে দেখে চমকে যায় বিন্দু। রাফি কেন সে এখানে এসেছে জানতে চায় বিন্দু। রাফি বলে যে এই কেকটা নেয়ার জন্য সে এখানে এসেছে।
এবার একটু পিছনে ফেরা যাক। এতোক্ষণ যে কেক নিয়ে এতোকিছু হয়ে গেল তার পিছনে আবার আরেকটি কারণ আছে। রাফির বন্ধু আবিরকে বলেছিল একটি কেক অর্ডার দিতে। কারণ তার বোনের জন্মদিন। সকালে অর্ডার দেয়ার কথাছিল কিন্তু আবিরের কেক অর্ডার দেয়ার কথা মনে ছিলনা। তখন বিন্দু হোম মেইড কেক শপে ফোন দিয়ে বলে যে একটি কেক লাগবে আর সেটা ত্রিশ মিনিটের ভিতরে লাগবে। বিন্দু সেদিন না করে দিয়েছিল। তারপর আবির আরেকটি শপ থেকে কেক অর্ডার করে নিয়ে আসে। কিন্তু সে কেক এ পচাঁ ডিমের গন্ধ পাওয়া গিয়েছিল। আর আবির বলেছিল এ কেক বিন্দুর কাছ থেকে এনেছে। রাফির বোনের জন্মদিনে এমন কেক দিলো। এজন্য রাফি বিন্দুকে একটি উচিত শিক্ষা দিতে চাইলো। আর সেখান থেকেই ঘটনা এতোদূর পর্যন্ত গড়ালো।
রাফি নিজের ভুল বুঝতে পারে। এজন্য বিন্দুর কাছে সে ক্ষমা চায়। বারবার সে সরি বলে বিন্দুকে। কিন্তু বিন্দুর কথা হলো সরি বললেই সবকিছু সমাধান হয়ে যায়না। তারপর রাফি আবার বিন্দুর কেক নিয়ে একটি পজিটিভ রিভিউ দেয় আর সেখানে আবারও সরি বলে বিন্দুকে। বিন্দুর বাবা-মা ভিডিওটি দেখে এবং রাফিকে ক্ষমা করে দিতে বলে। কিন্তু বিন্দু ভাবছে রাফি তাকে নিয়ে আরেকটি নাটক সাজাচ্ছে। এজন্য সে তাকে ক্ষমা করতে চায়না। এদিকে বিন্দুর কেক এর অর্ডার দিনে দিনে বাড়তেই থাকে। এতে বিন্দু অনেক খুশি হয়ে যায়। তারপর তার মা বাবা তাকে আবার বুঝায় যে ছেলেটিকে ক্ষমা করে দেয়ার জন্য। রাফি বিন্দুর বাসায় এসে সরি একটি কাগজি লিখে দাড়িঁয়ে থাকে। তারপর ফাইনালি বিন্দু রাফির বাসায় গিয়ে বলে সরি সে গ্রহণ করেছে। আর এভাবেই নাটকের সমাপ্তি ঘটে।
নাটকটি থেকে শিক্ষা
নাটকটি রোমান্টিক টাইপরে হলেও শিক্ষণীয় ছিল। আমরা অনেকেই এমন আছি যারা কোনো কিছু না জেনে দোষারোপ করে থাকি। হতে পারে সে কোনো দোষ করেনি। তারপরেও আমরা তাকে দোষারোপ করে থাকি। ফলশ্রুতিতে তার অনেক বড় ক্ষতি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই নাটকে রাফি কোনো কিছু না জেনেই বিন্দুকে দোষারোপ করে ফেলে। ফলশ্রুতিতে বিন্দুর কেক এর ব্যবসার উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। আবার আরেকটি শিক্ষণীয় দিক আছে কেউ যখন ক্ষমা চাই আমাদের উচিত তাকে ক্ষমা করে দেয়া।
ব্যক্তিগত মতামত
ব্যক্তিগতভাবে নাটকটি আমার কাছে ভালো লেগেছে। অপূর্ব এবং কেয়া পায়েল সুন্দর অভিনয় করেছে। পরিচালক বর্তমান আঙ্গীকে ভালো একটি নাটক উপহার দিয়েছে। তাই হয়তো অল্প দিনেই এতো দর্শক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সবমিলিয়ে নাটকটটি আমার কাছে ভালোই লেগেছে।
ব্যক্তিগত রেটিং
নাটকটির লিংক
আশা করি নাটকটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। নাটকটি দেখে না থাকলে লিংকে প্রবেশ করে দেখতে পারেন। আমি চেষ্টা করেছি মূল কাহিনীটা শেয়ার করার জন্য। আশা করি বুঝেছেন। সকলের সু্স্থ্যতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
ধন্যবাদ
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Link
আপনি অদ্ভুত দুইটি প্রিয় মানুষের নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অপূর্ব ভাই আমার সবচাইতে প্রিয় একজন। আমি তাকে খুব পছন্দ করি এবং ভালোবাসি। সে অনেক সুন্দর সুন্দর উপস্থাপন করেন। সমাজ দেশ বাস্তবতা নিয়ে নাটক করেন। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আপনাকেও ধন্যবাদ নাটকের রিভিউটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
নাটকের প্রথম অংশটুকু আমি ফেসবুকে ভিডিওতে দেখেছিলাম, কিন্তু পুরোটা দেখা হয়নি আপনার পোষ্ট পড়ার মাধ্যমে নাটক সম্পর্কে আমার ধারনা হয়ে গেছে, লোকটা না বুঝেই বিন্দুকে অপবাদ দিয়ে গেল, আমার কাছে গল্পটা কিছুটা রোমান্টিক মনে হল, আপনি ঠিক বলেছেন ভাই কোন কিছু সম্পূর্ণ না জেনে মন্তব্য করা ঠিক নয়, মাঝে মাঝে আমরা ভুল করতে পারি, খুব ভালো লাগলো আপনার রিভিউ পড়ে বেশ চমৎকার ভাবে আপনি রিভিউ করেছেন আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
হুমম ভাই নাটকটি রোমান্টিক হলেও আমি উপভোগ করেছি। আপনি দেখলে উপভোগ করতে পারবেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য
আমি অনেক চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যদিও এই নাটকটি আমি পুরোপুরি দেখিনি। তবে ফেসবুক থেকে খন্ড খন্ড আকারে দেখেছি ফেসবুক থেকে খন্ড খন্ড আকারে দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ভেবে রেখেছি আজ সন্ধ্যায় এই নাটকটি দেখব আর আপনি তার আগেই আমাদের মাঝে রিভিউ শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে সংক্ষিপ্ত আকারে নাটকের বিষয়বস্তু শেয়ার করার জন্য।
আজকে দেখেন তাহলে আশা করি নাটকটি উপভোগ করতে পারবেন।
বাস্তব জীবনে আমরা কোন কিছু না বুঝেশুনে অন্যকে দোষারোপ করতে একটি বারও ভাবিনা, এর ফলশ্রুতিতে তার যে বড় কোনো ক্ষতি হয়ে যেতে পারে বা সে কোন দোষ না করেও শাস্তি পেতে পারে এসব নিয়েও আমরা কখনও ভাবি না। এই নাটকটি মূলত শিক্ষণীয় বিষয় এটাই ছিল। এই নাটকটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে নাটকের রিভিউ পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
পায়েলের নাটক আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। কিভাবে যে এই নাটকে আমি মিস করে ফেলেছি সেটি ভাবছি বারবার। আপনার নাটকটির রিভিউ আমি খুব মনোযোগ সহকারে পড়লাম আর এইটি পড়ার পরেই আমার ইচ্ছা হচ্ছে এখনই এটি দেখার জন্য। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে নাটকটির রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আশা করি আমি খুব তাড়াতাড়ি এটি দেখে নিব।
হ্যা ভাই দেখে নিয়েন। উপভোগ করতে পারবেন
আপনারা নাটকের রিভিউ আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এ নাটকটি মনে হয় আমি দেখেছিলাম। খুবই চমৎকার ছিল এ নাটকটি। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপনারা নাটকের রিভিউ। আমাদের মাঝে এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু নাটকের রিভিউ পড়ে মন্তবয করার জন্য