ডাচদের কাছে লজ্জার হার!
02-11-2023
১৮ কার্তিক , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন । তো আবারো হাজির হয়ে গেলাম আপনাদের মাঝে । আপনারা জানেন যে এখন ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলছে । তো আজকে আমি বাংলাদেশ বনাম নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করব । আসলে বাংলাদেশের বিশ্বকাপের মিশন টা খুব সুন্দরভাবে শুরু হয়েছিল । আফগানিস্তানের সাথে ভালো খেলে একটি দারুণ সূচনা করেছিল বাংলাদেশ । কিন্তু এর পরের অবস্থা খুবই করুন ।
কোনো দলের সাথে বাংলাদেশ জিততে পারেনি । তবে আমরা আশা রাখছিলাম যে নেদারল্যান্ডস এর সাথে অবশ্য জিততে পারবে । গত ২৮ শে অক্টোবর বাংলাদেশ বনাম নেদারল্যান্ডস এর মধ্যকার খেলা হয় । তো টসে জিতে প্রথমে নেদারল্যান্ডস ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেই । বাংলাদেশের একাদশ ও কিছুটা পরিবর্তন দেখা যায় । হাসান মাহমুদকে বাদ দিয়ে তাসকিনকে দলে নেয়া হয় । আমি ধরে নিয়েছিলাম যে নেদারল্যান্ডস বেশি রানের সংগ্রহ করতে পারবেনা ।
খেলা শুরুর দ্বিতীয়বারের মাথায় তাসকিন আহমেদ তার প্রথম উইকেট শিকার করে নাই । ভিকি সিং তিন রান করে আউট হয় সাজঘরে ফেরে । পরের ওভারে শরিফুল আউট করে ও দাউদকে । শূন্য রান করে আউট হয় সাজঘরে ফেরে ও দাউদ । নেদারল্যান্ডস কিছুটা চাপে পড়ে যায় তখন । তারপর ভেরিসি ও এক্কারম্যান দেখেশুনে খেলার চেষ্টা করে । ভেরি সি মোটামুটি ভালই স্ট্রাইক রোটেট করে খেলতেছিল । কিন্তু ৪১ রান করে মোস্তাফিজের বলে আউট হয় সাজঘরে ফেরে ভেরেসি । নেদারল্যান্ডসের দলীয় সংগ্রহ তখন দাঁড়ায় চৌদ্দ ওভারে ৬৩ রান এবং তিন উইকেট ।
তারপর মাঠে আসে ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ডস । ঠিক পরের ওভারে এক্কার মেন সাকিবের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে । তখন খেলার দায়িত্বটা পড়ে যায় ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ডস এর উপরে । এডওয়ার্ডস মোটামুটি দেখেশুনে খেলতে থাকে । কিন্তু বাংলাদেশ দুটি চান্স মিস করে এডওয়ার্ডস এর । আর এডওয়ার্ডস সেই সুযোগটাই কাজে লাগায় । ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি করে বসে এডওয়ার্ডস । এডওয়ার্ডসের ইনিংস থামে ৬৮ রানে । নেদারল্যান্ডসের দলীয় সংগ্রহ তখন ১৮৫ রান ৬ উইকেটে । তারপর আবার খেলার হাল ধরে এঞ্জেলব্রেসেট । শেষ অবধি নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ দাঁড়ায় সব উইকেট হারিয়ে ২২৯ রানের ।
মোটামুটি কম রান ই ছিল । ভেবেছিলাম হয়তো বাংলাদেশ জিততে পারবে । সেই সহজ রানের টার্গেটকে সামনে রেখে ব্যাটিংয়ে নামে লিটন দাস ও তানজিদ হাসান । প্রথম চার ওভারে বাংলাদেশ ভালই দেখে শুনে খেলে কিন্তু পরের ওভারে ঘটে বিপদ । মাত্র তিন রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে লিটন দাস । তারপর মাঠে নামে মিরাজ । মিরাজ দেখে শুনেই খেলতে থাকে । কিন্তু তানজিদ হাসান তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারিনি । বেন বিকের বলে তানজিদ হাসান ৩ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে । তারপর মাঠে এসে শান্ত । বিশ্বকাপের এখন পর্যন্ত শান্তর জ্বলে ওঠা দেখা যায়নি ।
বলতে গেলে শান্ত অফ ফর্ম যাচ্ছে এখন । সেদিনের শান্ত বেশিক্ষণ খেলতে পারেনি মাঠে । মাত্র নয় রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে শান্ত । কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ । তারপর মাঠে আসে সাকিব কিন্তু সাকিব মাত্র ৫ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে । দলীয় সংগ্রহ কোন ৬৩ রানের চার উইকেট ! বাংলাদেশ রীতিমতো চাপে পড়ে যায় । কারণ এত অল্প রানের মাঝেই চার উইকেট হারিয়ে বসে । তারপর মোটামুটি আর কোন পার্টনারশিপ দেখা যায়নি । মুশফিক মাহমুদুল্লাহ ও সেদিন ব্যর্থ হয় । বাংলাদেশের ইনিংস থামে সব উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানে ।
এটা বলা যায় বাংলাদেশের জন্য অনেক লজ্জার একটি হার । কারণ নেদারল্যান্ডসের মতো দলের সাথেও যদি এভাবে হারে তাহলে এটা আসলেই মানা খুবই কঠিন । কারণ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরমেন্স নেদারল্যান্ড থেকেও ভালো ছিল । বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ খুব ভালো খেলেছে আসলে । নেদারল্যান্ডস এর কাছে এভাবে বাংলাদেশ হেরে যাবে এটা আসলে কখনোই ভাবতেই পারেনি কেউ । বাংলাদেশের সমর্থকরা ভেবেছিল হয়তো সেমিফাইনাল পর্যন্ত বাংলাদেশ যেতে পারবে কিন্তু বাংলাদেশ তার আগেই বাদ পড়ে গেছে । তবে আমরা আশা রাখতেই পারি সামনের ম্যাচগুলো হয়তো ভালো খেলবে বাংলাদেশ ।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share link
ভাইয়া আমি তো বাংলাদেশের খেলা দেখা বাদ দিয়েছি ভাইয়া। আমার ভালো লাগে না। ভালো মন খারাপ হয়ে যায় বাংলাদেশের খেলা দেখতে একটা সময় কি হাজারো কাজ ফেলে বাংলাদেশের খেলা দেখতাম। পরীক্ষার পড়া না পড়ে বাংলাদেশের খেলা দেখতাম কিন্তু এখন খেলার মধ্যে রাজনীতি ঢুকে গেছে। বাংলাদেশ বোলিং ভালো করলেও তারা ব্যাটিংয়ে একদম খারাপ। কেউ দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করে না শুধু ছয় মারতে যায় অন্যান্য দেশের প্লেয়ার এর খেলা বুঝতে পারবেন। তারা ছয় না মেরে সিঙ্গেল নিয়ে খেলতে ভালোবাসে। বিরাট কোহলির খেলাটা দেখবেন সিঙ্গেল নিয়েই সে হান্ড্রেড করে ফেলে। এই বিশ্বকাপে প্রচুর প্রত্যাশা ছিল সাকিব আল হাসান, লিটন দাস এবং তামিম কিন্তু কেউ এই প্রত্যাশা পূরুন করতে পারেননি।
আসলেই ভাই, বাংলাদেশের খেলা দেখে আমিও পুরাপুরি ডিপ্রেসড হয়ে যায়। এবার এতো বাজে খেলছে বাংলাদেশ! অথচ বিশ্বকাপের আগেও বাংলাদেশ দূর্দান্ত খেলেছিল 🍀
বাংলাদেশ দলের প্রতি সত্যিই আমার এক আকাশ সমান অভিমান। আসলে তাদেরকে নিয়ে কোন কিছু প্রত্যাশা করাটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয় তাদের কাছ থেকে এখন আর কিছু আশা করি না। সকল জায়গাতেই রাজনীতি চলে যার কারণেই হয়তো বাংলাদেশ দলের এরকম বেহাল দশা। নিজের কাছে অনেক বেশি খারাপ লেগেছে সেই সাথে এটা ভেবে ভালো লেগেছে যে ভালো খেলোয়াড় গুলোকে বাদ দিয়ে যেসব খেলোয়াড় দিয়ে খেলেছে যার পরিণাম তারা এখন বুঝতে পারছে ভালোই হয়েছে। তবে সত্যি বলতে ডাচদের কাছে এরকম লজ্জাজনক হার কখনো হবে ভাবতে পারিনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলা দেখতে গেলেই যেন মনটা খারাপ হয়ে যায় এজন্য খেলা দেখা বাদ দিয়ে দিয়েছি। বড় দলের সাথে হারতে পারে স্বাভাবিক কিন্তু ছোট দলের সাথেও যদি এভাবে হারতে থাকে তাহলে কিভাবে ভালো ফলাফল সম্ভব হবে।
আসলেই ভাই, খেলা দেখলেই মনটা খারাপ হয়ে যায়। কি যে খেলে বাংলাদেশ