শিল্পী নাটক রিভিউ ||[10% for @shyfox]
02-01-2022
১৯ পৌষ,১৪২৮ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাই
নাটকটি এর আগেও আমি কয়েকবার দেখেছি। আশা করি আপনাদের কাছে নাটকের রিভিউটি ভালো লাগবে।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | শিল্পী |
---|---|
রচনা | মহিদুল মহিদ। |
পরিচালনা | মহিদুল মহিদ। |
প্রযোজক | শেখ সাহেদ আলি |
অভিনয়ে | আফরান নিশো, মেহজাবীন চৌধুরী। |
আবহ সঙ্গীত | আভরাল সাহির |
দৈর্ঘ্য | ৫৫ মিনিট। |
মুক্তির তারিখ | ১৮ জানুয়ারী, ২০২১ |
ধরন | কমেডি,ড্রামা |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
নাটকের শুরুতে দেখা যায় চমক গান শুনাই দর্শকদের। চমকের একটি বিশেষ গুণ আছে। সেটা হচ্ছে মেয়ে ও ছেলে উভয় ভয়েজে গান গাইতে পারে। তো দুই ভয়েজে গান গেয়ে সে দর্শকদের মন জয় করে নেয়। কিন্তু একই এলাকায় বাস করে ঝরিণা নামের এক মেয়ে। সেও গান গেয়ে দর্শকদের আনন্দ দেয়। চমক কয়েকদিনের জন্য অন্য এলাকায় গান গাইতো। এজন্য ঝরিণা তার নিজ এলাকায় গান গেয়ে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিল। কিন্তু চমক আসাতে এখন সে আর আগের মতো টাকা উপার্জন করতে পারবেনা এজন্য সে চমক ভাইকে বলে সে যেন অন্য এলাকায় গিয়ে গান বলে। এজন্য ঝরিনা অনেক পন্থা খোঁজে চমক ভাই যেন এ এলাকা ছেড়ে চলে গিয়ে অন্য এলাকায় গিয়ে গান গায়।
তো একদিন ঝরিনা ফোন দিয়ে বলে চমক ভাইকে সে যেন তার ভাইয়ের জন্মদিনে এসে গান গায়। পারিশ্রমিক হিসেবল চমক ভাই বলেছিল সে যেন ৫০০০ টাকা দেয়। তো ঝরিনা বলেছিল সে এই পরিমাণ টাকা দিবে। এটা ছিল ঝরিনার মিথ্যে আশ্বাস। এদিকে সন্ধ্যায় সে গান গেয়ে দর্শকদের মাতিয়ে রাখে। চমক ভাই এসে দেখে ঝরিনা গান গেয়ে দর্শকদের মাতিয়ে তুলেছে। এটা দেখে অবশ্য চমক ভাই রেগে যায়। পরে অবশ্য সত্যিটা বলে দেয় ঝরিনা।
তো একদিন চমক ভাই একটি দোকানে বসে পান খাইতেছিল। চমক বািয়ের খানদানি স্টাইলে পান খাওয়া দেখে ঝরিনারও ইচ্ছে করছিল খেতে। কিন্তু ঝরিনা চমক ভাইকে ধোকা দেয়ায় সে প্রথমে পান খাওয়াতে চায়নি। পরে অবশ্য ঝরিনাকে চমক ভাই একটা খানদানি পান খাওয়া। খানদানি পান খেয়ে ঝরিনার মাতা চড়কির মতো ঘুরায়।
এদিকে ঝরিনা একটা লটারি জিতে। লটারি হিসেবে সে ৫০০ টাকা পায়। হোটেলে বসা ছিল চমক ভাই। লটারিতে টাকা পাওয়ার খুশি দেখে ঝরিনাকে চমক ভাইকে ডাক দেয়। তো ঝরিনাকে বিরিয়ানী খাওয়ার কথা বলে। চমক ভাই ভেবেছিল সে লটারিতে পাচঁ লক্ষ টাকা পেয়েছে। পরে যখন বলে সে ৫০০ টাকা জিতেছে! এটা শুনে চমক ভাই রীতিমত অবাক হয়ে যায়। এই ৫০০ টাকার জন্য রাস্তা দিয়ে এভাবে চিৎকার করছিল!
এদিকে একদিন ঝরিনার মুরগী চলে যায়। সে কোথায় খোজেঁ পাচ্ছিল না। এজন্য সে বাড়িতে বসে সে কান্না করতেছিল। সে তার মুরগীকে অনেক ভালোবাসত। তখন চমক ভাই ঘরে আসে। এসে জরিনাকে বুঝাতে তাকে সে যেন কান্নাকাটি না করে। সে ভেবেছিল তার ভালোবাসার মানুষ চলে গেছে। পরে জানতে পারে তার মুরগী চলে গেছে। তখন বুঝতে পারে ব্যাপারটা। পরে অবশ্য ঝরিনাকে প্রতিশ্রুতি দেয় যে সে তার মুরগীকে খোঁজে বের করে দিবে। পরেরদিন একটি উপহার বক্স এনে দেয় ঝরিনাকে। বক্সের ভিতের রাখা ছিল ঝরিনার ভালোবাসার মুরগী। ঝরিনা তার মুরগী পেয়ে বেশ খুশি হয়।
তো পরেরদিন থেকে ঝরিনা বিকাল হলেই গান গেয়ে মাতিয়ে রাখে দর্শকদের। কিন্তু ঝরিনা গান গাওয়ার সময় চমক ভাইকে খোজতে থাকে। পরে খোঁজাখুঁজি পরে চমক ভাইকে পায়। পরে জানতে চায় সে এতোদিন কেন তার এলাকায় গান গায়নি। পরে চমক ভাই বলে আসলে দুই ভয়েজে গান গেয়ে তার গলায় ইনফেকশন হয়ে গেছে। ডাক্তার বলে দিয়েছে সে এখন থেকে দুই ভয়েজে গান গাইতে পারবেনা। দুই ভয়েজে গান গাইলে সে পরে আর কখনো কথা বলতে পারবেনা। এটা শুনে ঝরিনা কষ্ট পায়। ঝরিনা বলে তারা দুইজন মিলে গান গাইবে। দুইজন মিলে গান গেয়ে দর্শকদের আনন্দ দিবে। মূলত এভাবেই নাটকটি শেষ হয়ে।
নাটকটি থেকে শিক্ষা
আমাদের দেশে আমি শুনেছি শেষ বয়সে টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারেনা। জীবদ্দশায় দেখে গেছে শিল্পীরা যথাযথ সম্মানটুকু পর্যন্ত পায়না। গুণী শিল্পীদের যথাযথ মর্যাদা না করার কারণে আমাদের সংস্কৃতির এই বেহাল দশা। গান প্রতিটি বাঙালির রক্তে যেন মিশে আছে। যাদের কন্ঠ থেকে নিসৃত গান শুনে আমরা আনন্দ পায়। আমাদেরও উচিত তাদেরকে যথাযথ সম্মানটুকু করা। এই নাটকটিতে শিক্ষণীয় দিকটি উঠে এসেছে।
ব্যক্তিগত মতামত
নাটকটি রিলিজ হওয়ার পরেই বেশ ভিউ হয়। নাটকটি আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে বেশ ভালো লেগেছে। নাটকটির পরিচালক নাটকটির গল্প সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। নাটকটিতে দুটি গান "বুক চিন চিন " ও "বিধি তুমি বলে দাও" রিমিক্স ভার্সনের গান দুটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সর্বোপরি মেহজাবীন ও আফরান নাটকটিতে খুব সাবলীলভাবে নাটকটিতে অভিনয় করেছেন। দুজন স্ট্রিট গায়কের জীবন, প্রেম ও প্রতিযোগিতা নিয়েই নাটকটি পরিচালিত হয়েছে। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে নাটকটি।
ব্যক্তিগত রেটিং
আইএমডিবি রেটিং
নাটকটির লিংক
আশা করি নাটকটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। নাটকটি দেখে না থাকলে লিংকে প্রবেশ করে দেখতে পারেন। আমি চেষ্টা করেছি মূল কাহিনীটা শেয়ার করার জন্য। আশা করি বুঝেছেন। সকলের সু্স্থ্যতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
ধন্যবাদ
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কোকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যৎ এ প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চায়।
ওয়াও ভাইয়া আমার খুবই পছন্দের একটি নাটক। নাটকটি ইতিমধ্যে আমি কয়েকবার দেখে ফেলেছি। খুবই ভালো লাগার একটি নাটক। আর আপনি রিভিউ টি অসাধারণ ভাবে উপস্থাপন করেছেন। শিল্পী নাটকের খুবই সুন্দর রিভিউ পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
Twitter link:
https://twitter.com/Emtiaz381602031/status/1477679165071507456?t=YeHq_8O5BUPiaAMUhzh1oQ&s=19
ওয়াও ভাইয়া অসাধারন হয়েছে আপনার নাটক রিভিউ। এই নাটকটি আসলে দেখা শেষ এবং খুব ভাল লেগেছিল নাটকটি। আর আপনি রিভিউতে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া আপনার নাটকের রিভিউ খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। নাটকটি অনেক আগেই দেখা হয়েছিল,খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে নাটক টি। আর আপনার উপস্থাপনা ধারণাটিও খুব সুন্দর ছিল ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা নাটক রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
নাটকটটি আসলেই ভালো লাগার মতো। আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর একটি মতামতের জন্য আপু।
আরিফিন নিশো আমার একজন প্রিয় অভিনেতা। নাটক টি দেখেছি দারুন লেগেছিল। সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ দিয়েছেন। ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।
এই শিল্পী নাটকটি আমি দেখেছি এই নাটকটি অনেক হাসির এবং মজার ভাল লেগেছিল আমার কাছে দেখতে ।আপনার রিভিউটি দেখে আবার নাটকটির কথা মনে পরে অনেক হাসি পাচ্ছে। খুব সুন্দর ভাবে আপনি হুবহু নাটকটি আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন মনে হচ্ছে নাটকটি আমি আবার দেখলাম। ভালোই হয়েছে আপনার রিভিউটি।
জি আপু নাটকটি আসলেই অনেক মজার ছিল। শেষের দিকে কিছু বাস্তব কথা তুলেে ধরেছে। আপনাকে ধন্যবাদ আপু
ভাই নাটকটি আমি অনেক আগেই দেখছি। সেই ফানি নাটক আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। নাটকের গান গুলো বেশি ভালো। আমি এই নাটকে রেটিং দিলে ৮/১০
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
শিল্পী নাটক দেখে অনেক বেশি ইনজয় করেছিলাম অনেক বার দেখেছি অনেক ভালো লেগেছে। আফরান নিশো ও মেহজাবিন চৌধুরী অনেক সুন্দর করে অভিনয় করেছেন। আপনি অনেক সুন্দর করে শিল্পী নাটক রিভিউ করেছেন দারুন হয়েছে। এভাবেই চালিয়ে যান আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভালো থাকুন
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই নাটকের রিভিউটি পড়ে মন্তব্যের জন্য।
ভীষণ ভালো লাগলো নাটকটির রিভিউ দেখে 😍
ভীষণ ভালো বর্ননা করেছেন। গল্পটা সত্যিই অসাধারণ। তবে আপনার শেষের কথাগুলো খুব দারুন লেগেছে 🥀
চালিয়ে যান। দোয়া রইল 🥀
আপনার মন্তব্য আমাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করে। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া