প্রাইমারী স্কুল জীবনের স্মৃতি|10% @abb-charity
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
২৯শে জুলাই,২০২১
বৃহস্পতিবার
কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।তো আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার স্কুল জীবনের শুরুর কিছু স্মৃতি শেয়ার করবো।মূলত আমরা ছোটবেলা থেকেই হাটি হাটি পা দিয়ে চলার পর থেকে অনেক কিছু শিখি।পরিবারেই যে শিক্ষার মূলকেন্দ্র। পরিবার আপনাকে যে শিক্ষাই দিবে আপনি তা আপনার বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করবেন।সমাজে চলতে গেলে বিভিন্ন ধরনের মানুষের সাথে মিশতে হয়।পরিবারের পর থেকে সমাজ থেকেও অনেক কিছু শিখার থাকে।
আমার বয়স যখন ৬ বছর তখন আমি প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হই।আমাদের গ্রামের পাশেই অবস্থিত ছিল স্কুলটি।আমাদের বাড়ি থেকেও স্কুলটু কাছে ছিল।হেটেঁ গেলে ১০-১৫ মিনিট এর মতো লাগতো।আমার প্রাইমারি স্কুলের নাম ছিল আচারগাও উত্তর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।এই স্কুলের সাথে শৈশবের অনেক স্মৃতি লুকিয়ে আছে।আমার বয়স যখন ছয় বছর তখন থেকেই আমার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু।শুরুতে নতুন নতুন বই পেয়ে প্রতিদিন স্কুলে যেতাম।স্কুলের মাঠটাও তখন বড় ছিল। স্কুলের মাঠে দৌড়গোল্লা,কলম দিয়ে খেলা অনেক খেলেছি।
কিছুদিন আগে আমি আমার শৈশবে পাচঁটি বছর যে স্কুলে কাটিয়েছি সেখানে গিয়েছিলাম।বাড়ির খুব কাছে স্কুল থাকলেও যেতে পারিনাই।আর স্কুলের পাশে যেহেতু আমার খালামনীর বাড়ি ছিল ভাগ্নীকে নিয়ে বেড়াতে এসেছিলাম।তখন স্কুলটাও দেখা হয়েছিল।স্কুলের অনেক পরিবর্তন হয়ছে।আমরা যখন পড়তাম তখন এই বিল্ডিংটা তখন নির্মাণ করা হয়নি।আর স্কুলের পাশে তারঁ কাটা দিয়ে বেড়া দেয়াছিল।যেটা এখন আর দেখা যায়না।এখন স্কুলের প্রধান বিল্ডিংটা সবুজ আর লাল রঙে অনেক সুন্দর করে রঙ করেছে।আমি যখন দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়তাম তখন থেকেই স্কুলে সরকার কর্তৃক বিসকুট দেয়া আরম্ভ হয়।বিস্কুটের লোভে প্রতিদিন স্কুলে যেতাম। তখন হয়তো লোভ জিনিসটা এতো বুঝতাম না।গ্রামে যেহেতু পুষ্টিহীনতায় অনেক শিশু ভুগতো তো এটা অনেক ভালো একটা উদ্যোগ ছিল তখন।অন্ততপক্ষে বিস্কুটের লোভের জন্য হলেও স্কুলে আসতো।অনেকদিন হলো স্কুলের বিস্কুট খাইনা।খুব মিস করি সময়গুলোকে।
আমাদের সময়ে প্রধান শিক্ষক ছিল জামাল স্যার।আমাদের তখন ইংরেজী ক্লাস নিতেন তিনি।অনেক ভালো একজন স্যার ছিলেন।স্যার সবসময় একটা কথা বলতেন-
পড়ালেখা করে যে,গাড়িঘোড়ায় চড়ে সে।
স্যারের এই কথার মর্ম তখন বুঝতে পারতাম না।তবে এখন বুঝতে পারি।
তবে পড়া না পারার কারণে কতো যে পিটুনি খেয়েছি হিসেব নেই।বিশেষ করে আমার ইংরেজিতে প্রচুর বানান ভুল হতো যার কারণে স্যারের হাতে অনেক পিটুনি খেতে হয়ছে।আমাদের স্কুলে তিনজন মেডাম ছিল।লতিফা মেডাম অনেক ভালো গান গাইতেন।প্রতি বৃহস্পতিবারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো।সেখানে সবাই অংশগ্রহণ করতো।আমাদের স্কুলের একটি সুনাম ছিল। সেটি হচ্ছে ঝাড়ি গানের জন্য তখন কয়েকবার উপজেলা ভিত্তিক প্রথম হয়েছিল।
ভাগ্নীকে নিয়ে গেছিলাম স্কুলে।সেও অনেক খুশি আমাদের স্কুল দেখে।আমার ভাগ্নীর নাম মাওয়া।সে আপতত ঢাকায় থাকে। ঈদের জন্য আমাদের এখানে বেড়াতে আসছে।স্কুলের মাঝে আরেকটি বিষয় দেখে খুব ভালো লাগলো।সেটি হচ্ছে স্কুলের পাশে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে।আমাদের সময় অবশ্য পায়নি।তবে দেখে খুব ভালো লাগলো।
করোনার কারণে সকল স্কুল প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে আমি শুনেছি,দুই মাস পর পর বিস্কুট দেয়া হয়। সকল ছাত্রদের স্কুলে এসে বিস্কুট নিয়ে যেতে বলে স্যার।
স্কুল জীবনের কিছু স্মৃতি থাকে যা চাইলেই ভুলে যাওয়া সম্ভব না।যেহেতু জীবনের শুরুটা হয় সেখান থেকেই।তবে মানুষ হিসেবে আমাদের প্রতিদিনই কিছু না কিছু শিখতে হয়।আমি প্রনিয়তই অনেক কিছু শিখছি।আশা করু অদূর ভবিষ্যৎেও শিখবো।
তো এই ছিল আমার স্কুল জীবন নিয়ে সংক্ষিপ্ত উপস্থাপন।আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
Cc:
@rme
স্কুল সম্পর্কে পুরোনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন দাদা।আপনার ভাগ্নী খুব মিষ্টি দেখতে।আপনার এবং আপনার ভাগ্নীর জন্য শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ দিদি আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।