"আমার বাংলা ব্লগে" কাজ করার আমার অনুভূতি

08-06-2022

২৫ জৈষ্ঠ ,১৪২৯ বঙ্গাব্দ


আসসালামু আলাইকুম সবাইকে


কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমি আপনাদের দোয়াই ভালো আছি। তো আজকে চলে এলাম আমার বাংলা ব্লগে কাজ করার কিছু অনুভূতি শেয়ার করার জন্য। শুরুতেই আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আমাদের সম্মানিত মডারেটর @alsarzilsiam ভাইয়ের প্রতি যিনি এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছেন এবং আমার বাংলা ব্লগ নিয়ে কাজ করার অনুভূতি শেয়ার করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য। আমার বাংলা ব্লগ নিয়ে যদি লিখি তাহলে হয়তো লিখা শেষ হবেনা। কারন এটি এমন একটি কমিউনিটি যা আমার স্টিমিট লাইফে পায়নি। যেহেতু প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হয়েছে "শেয়ার করো আমার বাংলা ব্লগে কাজ করার তোমার অনুভূতি" তাই চেষ্টা করবো আপনাদের সাথে আমার কাজ করার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।

png_20220608_152525_0000.png

শুরুতেই বলে রাখি আমি একজন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠা আসা একটা ছেলে। ছোট বেলা থেকেই পরিবারের অভাব অনটনের মধ্যেই বড় হয়েছি বলতে পারেন। সবসময় চেষ্টা করতাম নিজের পড়াশোনার খরচ নিজে চালানোর। পড়াশোনায় একটু ভালো ছিলাম বলে বাবা মা স্মার্টফোন কিনে দেয়নি। কারণ স্মার্টফোন পেয়ে নাকি ছেলেরা খারাপ হয়ে যায়। যেটা ছিল ভ্রান্ত ধারণা। কলেজ এ উঠে পড়ি। এখন তো স্মার্টফোন লাগবেই । অনেক কষ্টে টিউশনির টাকা জমিয়ে একটি স্মার্টফোন কিনি যেটা এখনও ব্যবহার করছি । ২০২০ সালের দিকে করোনা মহামারীর কারণে যখন আশে পাশের মানুষজন আক্রান্ত। তখন কয়েকটি টিউশনি করাতাম ঐগুলো বাদ দিতে হলো। এরই মাঝে চলে আসলো সেমিস্টার ফি আর রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। কি আর করা টাকা লাগবে। বাড়িতে ফোন দিয়ে অনেক কষ্টে টাকা জোগাড় করি। এভাবেই চলছিল জীবন। কিন্তু অনলাইনে সবসময় খোজঁ নিতাম কোনো কাজ করে টাকা উপার্জন করা যায় কিনা। তখন আমার এক বন্ধু সালেহীন বললো এই স্টিমিটের কথা। শুরুতে স্টিমিট সম্পর্কে আমি এতো কিছু বুঝতাম না। সে শুধু আমাকে বলেছিল এখানে কপি করে কোনো কিছু লেখা যাবেনা। আর কিভাবে টাকা আর্ন হয়, কিভাবে টাকা তুলতে হয় এসব ব্যাপারে সে আমাকে বলেনি। শুরুতে অনেকগুলো কমিউনিটিতে কাজ করতাম। কিন্তু দিনশেষে দেখা যেত কাজের প্রাপ্য উপার্জনটা পেতাম না। অনেকটা হতাশ হয়ে পড়লাম। তবে আমি হাল ছাড়িনি। আমার বিশ্বাস ছিল আমি একজন ভালো ব্লগার হতে পারবো এবং এখান থেকে টাকা তুলতে পারবো। কিছুদিন কাজ বন্ধ রেখে দিয়েছিলাম। এর মাঝে সালেহীন বললো স্টিমের প্রাইজ নাকি বাড়ছে তখন এতো আগ্রহ হয়নি। কারন টাকা কিভাবে তুলতে হয় সেটাই তো জানিনা। অযথা গাধার পরিশ্রম করে লাভ আছে! ইউটিউব এ ভিডিও দেখতে লাগলাম। কিভাবে টাকা তুলতে হয়। কিছু ভিডিও দেখে মোটামোটি আইডিয়া পেয়েছিলাম। তারপর আবার স্টিমিটে কাজ শুরু করলাম। একসাথে কয়েকটা কমিউনিটিতে কাজ করতাম কিন্তু একসাথে এতো কমিউনিটিতে কাজ করা সম্ভব হয়ে উঠছিল না।

দা স্টিমিট সিটি নামক একটি কমিউনিটি ছিল। এখনও আছে কিনা জানিনা। ঐটাই কন্টেস্ট পার্টিসিপেট করতাম তখন একদিন খেয়াল করলাম আমাদের এডমিন মহোদয় সুমন ভাইয়ের একটি পোস্ট আমার বাংলা ব্লগকে নিয়ে হয়তো। তখন আগ্রহ নিয়ে আমার বাংলা ব্লগ সাবস্ক্রাইব করি। দশদিন আগে সাবস্ক্রাইব করেছিলাম। কিন্তু কোথা থেকে পোস্ট শুরু করবো সেটা বুঝতে পারছিলাম না। তখন আমাদের @hafizullah ভাইয়ার একটি পোস্টে গিয়ে কমেন্ট করলাম কিভাবে ভেরিফাই হবো? হাফিজুল্লাহ ভাইয়া আমাকে ডিস্কর্ডে জয়েন হতে বলে তারপর পরিচিতিমূলক পোস্ট করতে বলে। তারঁই কথা অনুসারে ৭ই জুলাই, ২০২১ ইং তারিখে আমার বাংলা ব্লগে পরিচিতিমূলক পোস্ট করি। আর ডিস্কর্ডে যুক্ত হবার পর থেকে এটার ব্যবহার সম্পর্কে এতো অবগত ছিলাম না। পরে জানতে পারি এটা কমিউনিকেট করার জন্য সেই সাথে বিনোদনের জন্য।

শুরুতে সাইফক্স সাপোর্ট ছিলনা। ১$ বা ২$ ভোট পেতাম আর সেটা নিয়েই খুশি ছিলাম। কারণ কাজ করার ফলে রেওয়ার্ড তো পাচ্ছি। অন্যসব কমিউনিটিতে কাজ করে যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল সেটা খুবই বাজে। তিনঘন্টা কাটিয়ে দিতাম এক পোস্ট করতে। কিন্তু কাজের প্রাপ্যটুকু পাওয়া তো দূরে থাক কমেন্টও কেউ করতো না। আমার বাংলা ব্লগে যুক্ত হবার পর থেকে অনেক ভালো লাগছিল। নিজের ভাষায় তো মনের কথাগুলো লিখতে পারবো। এমনই একটি কমিউনিটি এটি। আসলে নিজের ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করার মতো আনন্দ আর কোনো কিছুতে নেই। আমার বাংলা ব্লগের ডিস্কর্ড সার্ভার এ যুক্ত হবার পর থেকে দাদার সাথে মাঝে মাঝে ডিস্কর্ডে কথা হতো। দাদাকে আমি তখন থেকেই ভয় পেতাম। কিন্তু দাদার মতো এমন শান্ত মানুষ আমি কম দেখেছি। তখন দাদার একাউন্ট থেকে ভোট দেয়া হতো। সেটা অল্প ছিলেও মনে শান্তি পেতাম। @rme দাদা আমাদের আমার বাংলা ব্লগের প্রাণ ভোমরা। তিনি আছে বলেই আমরা আছি। শুরু থেকে এখন অবধি দাদা আমাদের বটবৃক্ষের ছায়া হয়ে আছে। লক্ষ লক্ষ টাকা আমাদের পিছনে খরচ করছেন কোনো স্বার্থ ছাড়াই। এরকম মানুষ পৃথিবীতে আছে কিনা আমার সন্দেহ আছে। তবে আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি দাদা পৃথিবীর সেরা মানুষের মধ্যে একজন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি হৃদয় থেকে দাদাকে ভালোবাসি ও শ্রদ্ধা করে যাবো। দাদার প্রশংসা করার মতো ভাষা আমার হয়তো নেই। হয়তো সেটা প্রকাশ করার মতো না।

আমার বাংলা ব্লগ সবসময় চেষ্টা করে আমাদের ভেতরের সৃজনশীলতা জাগ্রত করার। তারই ধারাবাহিকতায় কাজ করে যাচ্ছে। আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি এখানে আসার পর আমার সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারার সুযোগ হয়েছে। এখানে অনেক সৃজনশীল মানুষের সাথে পরিচয় হওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে এজন্য আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। আমি আগে তেমন কোনো সৃজনশীল কর্মকাণ্ড করতাম না বা করতে পারতাম না। এখানে আসার পর ধীরে ধীরে শিখছি এবং আমার প্রতিভা বিকাশের সুযোগ হয়েছে। আমার বাংলা ব্লগের সবাই খুবই বন্ধুসুলভ। এখানে বেশ কিছুগুণীসম্পন্ন মানুষের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ হয়েছে। আপন ভাইদেরমতো পেয়েছি ভাই, পেয়েছি বোন। এ যেন আমারই পরিবার। আর সে পরিবারের কর্তা হলেন আমাদের শ্রদ্ধেয় দাদা। আমরা সবাই যেন একসুতোয় গাথাঁ। নিজের সৃষ্টিশীল চিন্তাভাবনার একমাত্র মাধ্যমই হলো আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি।

আমার এখনও মনে আছে দাদা স্টিমিটটা শুধু ফানের জন্য যে ব্যবহার করবে সেই সাকসেস হতে পারবে। এখানে এসে একমাত্র লক্ষ্য যদি হয় টাকা উপার্জন করে হাওয়া হয়ে যাওয়া তাহলে সে ধারণা একদমই ভুল। দাদা আমাদের কথা চিন্তা করেই ডিস্কর্ড ওপেন করেছে। যেখানে আমরা এক অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারছি। দৈনন্দিন ভালোলাগা, খারাপ লাগা বিষয়গুলো আমরা একে অপরের সাথে শেয়ার করতে পারছি। নতুন যারা আসছে তাদের সাথেও আমরা যোগাযোগ করতে পারছি । এতে আমাদের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি আমার বাংলা ব্লগের প্রতিটি সদস্য অনেক পরিশ্রম করে। আর আমার ব্লগ সবসময় তাদের পাশে আছে যারা পরিশ্রম করে কাজ করে। আমাদের সম্মানিত শুভ ভাইয়া বলেছিল ""এখানে লেগে থাকলে সাফল্য আসবে""। যারা স্টিমিট প্লাটফর্ম এ দীর্ঘমেয়াদে কাজ করতে চান তারা অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে কাজ করে যাবে। সত্যিকথা বলতে আমার বাংলা ব্লগ হলো একটি আবেগের জায়গা; ভালোবাসার জায়গা। সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফোনটা হাতে নিয়েই চলে আসি ডিস্কর্ডে। অথচ একটা সময় ছিল ফেইসবুকে সারাদিন সময় কাটিয়ে দিতাম! এখন এসব ফেইসবুকিং আর ভালো লাগে না। ডিস্কর্ড হলো আমার বাংলা ব্লগের প্রাণকেন্দ্র। প্রাণকেন্দ্র এ কারণেই কারণ আমরা সবার সাথে কথা বলতে পারতেছি,আড্ডা দিচ্ছি,কুশল বিনিময় করছি, বিনোদন করছি আরও কতো কি। সব থেকে ভালো লাগার বিষয় হলো আমরা সরাসরি দাদার সাথে কথা বলতে পারি ও দাদার কথা শুনতে পারি।

আমার বাংলা ব্লগ সবসময় অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে বিশ্বাস করে। আর সেটা আমরাও দৃড়ভাবে বিশ্বাস করি। এখানে দুইবাংলার মানুষ রয়েছে। আমরা যেন একই মায়ের আদরে লালিত সন্তান। ধর্মনিরপেক্ষতা আমরা বিশ্বাস করি। সব সম্প্রতি ভুলে হিন্দু-মুসলিম আমরা এক সাথে কাজ করে যাচ্ছি। এর থেকে আনন্দের আর কি হতে পারে। দাদা একবার তো রোযা রেখে ইফতার করেছিল আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল। আমরা একসাথে যেরকম ঈদ উদযাপন করি ঠিক তেমনি দূর্গাপূজা উৎসব একসাথে উদযাপন করি। আমাদের মূল পরিচয় যেন আমরা মানুষ। সব সম্প্রতি ভুলে একসাথে কাজ করে যাচ্ছি।

সপ্তাহের একটি বিশেষ দিন হ্যাংআউট। বৃহস্পতিবারের জন্য একটি সপ্তাহ অপেক্ষা করি। যেখানে বিনোদনের পাশাপাশি সবাই একসাথে সময় কাটাতে পারি। হ্যাংআউট যেন রক্তের সাথে মিশে গেছে। সব কাজ বাদ দিয়ে হলেও হ্যাংআউট এ জয়েন দেয়। আমাদের সম্মানিত এডমিন শুভ ভাই হ্যাংআউট পরিচালনা করে থাকেন। সকল এডমিন ও মডারেটরবৃ্ন্দ আমাদের উদ্দেশ্য সবসময় পজিটিভ বার্তা দিয়ে থাকে। যেটা আমাদের জন্য ভালো হবে তারাঁ সেটাই করে থাকে। এছাড়াও আমরা অধীর আগ্রহে বসে থাকি দাদার কথা শোনার জন্য। দাদা কখন আমাদের সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবে। দাদা সবসময় আমাদের নুতুন নতুন তথ্য শেয়ার করে থাকে যা আমার তথাপি সবারই উপকারে আসে। অবশেষে বিনোদনেরও আয়োজন করা হয়। প্রত্যেক সদস্য আমাদের গান গেয়ে শোনায়। এছাড়াও কবিতা তো আছেই। @selinasathi আপুর কবিতা আমার খুব ভালো লাগে। উনি কবিতা লিখেন এবং আবৃত্তিও করে থাকেন।

মানুষ মানুষের জন্য এই স্লোগানকে বুকে ধারণ করেই এগিয়ে যাচ্ছে আমার বাংলা ব্লগ। আমরা মানুষ আর মানুষ হিসেবে আমাদের অনেক সমস্যাই জীবনে থাকতে পারে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গঠন করা হয়েছে @abb-charity । ধীরে ধীরে কমিউনিটির এবিবি চ্যারিটি একাউন্ট বড় হয়ে উঠছে। আমাদের সবার সহযোগিতার মাধ্যমেই এবিবি চ্যারিটি আরও বড় হবে এটা আমি বিশ্বাস করি । বুধবার হলো আমাদের জন্য এবিবি চ্যারিটি দিন। সপ্তাহের এই দিনটাতে আমরা সবাই মুক্তহস্তে দান করার চেষ্টা করি। আমরা চাই মানবতার জয় হোক। কেউ বিপদে পরলে যেন এবিবি চ্যারিটি থেকে সাহায্য পেতে পারে সেই লক্ষ্যে গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন সমস্যায় পড়েছিল তারপর এবিবি চ্যারিটি থেকে তাদেরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা সবাই পজিটিব চিন্তা ভাবনার মানুষ। আমি বিশ্বাস করি আমার বাংলা ব্লগে সবাই পজিটিভ চিন্তাভাবনার মানুষ। এছাড়াও আরেকটি প্রজেক্ট চালু হয়েছে আমাদের জন্য। সেটি হচ্ছে হিরোইজম প্রজেক্ট। আমাদের ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করেই এই প্রজেক্ট চালু করা হয়েছে। এতে ডেলিগেশনের মাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়ত আপভোট সেই সাথে কিউরেশন রেওয়ার্ড পাচ্ছি। আমরা সবাই ডেলিগেশনের মাধ্যমে হিরোইজম প্রজেক্টকে দিনকে দিন বড় করে তুলছি। আশা করি এটা আরও বড় হবে।

20220608_153013_0000.png

পরিশেষে,দেড় বছরের স্টিমিট যাত্রায় অনেক কিছুই শিখেছি। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগের মতো এতো হেল্পফুল কমিউনিটি আর কোথাও পায়নি । এরকম সুন্দর পরিবেশ অন্যকোনো কমিউনিটিতে নেই। স্টিমিট প্লাটফর্ম এ আমার বাংলা ব্লগ একসময় রাজত্ব করবে। আর বিশ্বের দরবারে আমার বাংলা ভাষাকে উঁচু করে তুলে ধরবে । বাংলা ভাষাকে চিনবে কোটি কোটি মানুষ। ব্লগিং করবে বাংলা ভাষায়। ইতোমধ্যে অনেকেই বাংলা ভাষার প্রেমে পড়ে বাংলায় ব্লগিং শুরু করেছে যেটা একজন বাঙালি হিসেবে গরবের বিষয়। এর পিছনে অবদান আমাদের সবার প্রিয় দাদার। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে আমার বাংলা ব্লগ এতোদূর এসে পৌঁছেছে। দাদা বলেছিল একটা সময় আমার বাংলা ভাষাকে কেউ মূল্য দিতো না। সবাই চায়নিজ, ইংরেজি ভাষায় ব্লগিং করতো।। এমনকি বাংলা ভাষাকে অবজ্ঞা করতো। আর এখন বাংলা ভাষাকে কেউ অবজ্ঞা করতে পারেনা। পৃথিবীর বুকে মাথা উচুঁ করে এখন আমি বলতে পারবো হ্যা! আমি বাঙালি ; আমি বাংলায় লিখি,বাংলায় কথা বলি। বাংলা আমার অহংকার। এর থেকে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে।


যায়হোক, আমার বাংলা ব্লগ সম্পর্কে লিখে আবেগ প্রকাশ করা কঠিন। চেষ্টা করেছি কিছু অনুভূতি শেয়ার করার জন্য। আশা করি আমার অনুভূতিগুলো আপনারাও পড়বেন। আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যদের জন্য শুভকামনা রইল। ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সকলেরও সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। আল্লাহ হাফেজ।




10% beneficary for @shyfox ❤️



ধন্যবাদ

WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg



আমি কে?

IMG20210908180509.jpg

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

Sort:  
 2 years ago 

অল্পতেই যে মানিয়ে নিতে পারে দিনশেষে তার জন্য ভালো কিছুই অপেক্ষা করে।জেতার ফল আপনার সামনে।আর আসলেই ভাই মধ্যবিত্ত ফ্যামেলীর কতটা চাও সেটা কেবল আমরাই বুঝতে পারি। আজ যখন নিজের টাকায় অন্তত নিজের সখ পূরণ করি জি জে ভালো লাগে।😍।যাইহোক বানলগা ব্লগের শুরু থেকে যখন ছিলেন,তখন বাকি পথ টাও বাংলা ব্লগের সাথেই হোক।😍

 2 years ago 

জি ভাই বাকি পথটাও যেন আমার বাংলা ব্লগের সাথে হয় সেই দোয়াই করিয়েন।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60308.44
ETH 2640.77
USDT 1.00
SBD 2.54