আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কে
মন আছেন সবাই? আশা করছি এই ঠান্ডার মধ্যে ভালোই আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তো আজকে চলে এলাম লাই ফড়ু শাকের ভাজির রেসিপি । এই শাকের নামটি হয়তো অনেকেরই কাছে অজানা। কারণ এই শাক গ্রামে বেশি পাওয়া যায়। এ শাকের নামটি বিভিন্ন এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত। আমাদের এদিকে এ শাক লাই ফড়ু শাক বলেই চিনে। এ শাক খেতে একটু তিতা টাইপের হয়ে থাকে। আমাদের যকৃতের জন্য খুবই উপকারী এ শাক। তো যায়হোক চলুন রান্নার প্রসেস দেখে নেয়া যাক। আশা করি আজকের শাকের রেসিপি আপনাদের কাছে ভাল লাগবে
উপাদান | পরিমাণ |
লাই ফড়ু শাক | ১ মুটা |
পেঁয়াজ কুচি | ৫০ গ্রাম |
রসুন | ২৫ গ্রাম |
শুকনা মরিচ | ৩টি |
কাঁচামরিচ | চার-পাঁচটি |
লবণ | ১ চামচ |
তেল | পরিমাণমতো |
প্রথমেই লাই ফড়ু শাক একটি ঝুড়ির পাত্রে সংগ্রহ করে নেই। কারণ শাক ভালো করে ধুয়ে নিতে হব। তারপর শাক কুচি কুচি করে কেটে নিলাম। |
তারপর একটি বাটিতে পিয়াজ কুচি, রসুন, শুকনা মরিচ ও কাচা মরিচ নিয়ে নিলাম। |
তারপর চুলার উপরে কড়াই বসিয়ে দিলাম। দেয়ার পর কাটা শাকগুলো সেখানে দিয়ে দিলাম। |
তারপর শাকের উপর এক চামচ লবণ দিয়ে দিলাম। |
তারপর কাটা মরিচগুলো সেখানে দিয়ে দিলাম। |
চুলার তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়াতে শাক থেকে পানি বের হবে এবং শাক সিদ্ধ হতে থাকবে। সিদ্ধ হয়ে গেলে চুলা থেকে কড়াইসহ নামিয়ে নিলাম। তারপর একটি বাটিতে সিদ্ধ করা শাক রেখে দিলাম। |
তারপর কড়াইয়ে শুকনা মরিচ দিয়ে দিলাম। |
তারপর পরিমাণমতো তেল দিয়ে দিলাম এবং পিয়াজ কুচি ও রসুন দিয়ে দিলাম |
ভালো করে নাড়াচাড়া করে দিলাম। পিয়াজ ও রসুন ভাজা হয়ে গেলে বাটিতে রাখা সিদ্ধ শাক সেখানে দিয়ে দিলাম। |
তারপর চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে সবগুলো উপাদান শাকের সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিলাম। |
ছবিঃলাই ফড়ু শাকের ভাজির রেসিপি
ব্যাস হয়ে গেলো লাই ফড়ু শাকের ভাজির রেসিপি। তারপর একটি বাটিতে পরিবেশন করে নিলাম। |
বিষয় | লাই ফড়ু শাকের ভাজির রেসিপি। |
ডিভাইস | oppo A12 |
ফটোগ্রাফার | @haideremtiaz |
লোকেশন | w3w |
আশা করি লাই ফড়ু শাকের ভাজির রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। এর আগেও আপনাদের সাথে বতুয়া শাকের রেসিপি শেয়ার করেছিলাম। কুব সহজ উপায়ে আপনারা শাকের ভাজি তৈরি করে ফেলতে পারবেন। কেমন হয়েছে জানাতে ভুলবেননা কিন্তু! সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
আল্লাহ হাফেজ
ধন্যবাদ
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share link
এই শাকের নাম আগে কখনো শুনিনি ভাই। হয়তো আমাদের এখানে অন্য নামে চলে তবে আমি চিনিনা। অবশ্য আমি তেমন কোনো শাক ই চিনিনা। একবার তো আমারে পালং শাক কিনতে বাজারে পাঠিয়েছিলো। আমি দোকান দার কে জিজ্ঞেস করি ভাই এটি কি পালং শাক?
অদ্ভুত নাম শাক টির। এর আগে কখনোই এমন শাকের নাম শুনি নাই। বেশ ভালো ছিল আপনার উপস্থাপনা এবং রেসিপিটি। এবং সোহাগ আমার সবসময় পছন্দের একটি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
লাই ফড়ু শাকের ভাজির সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। খুব ভালো লাগলো। যদিও কখনো খাওয়া হয় নাই। তবে ভালো লেগেছে। প্রতিটি ধাপের সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকে রেসিপিটি দেখে লোভনীয় মনে হইতেছে । আপনি অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন রেসিপিটি তৈরি করার পাশাপাশি ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন । আপনার জন্য শুভকামনা রইল
ভাইয়া আপনার রেসিপিটি আমার কাছে ইউনিক মনে হয়েছে৷ এই রকম সবজি নাম আজকে প্রথম শুনলাম। যাইহোক নাহ কেন সবজি টি দেখতে বেশ সুন্দর লাগতেছে৷ অনেক সুন্দর করে লাই ফড়ু শাকের ভাজির রেসিপি তৈরি করেছেন। সত্যি অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া। সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি রেসিপিটি সম্পর্কে ধাপে ধাপে অনেক সুন্দর বর্ণনা করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল
ভাইয়া এই লাই ফুড়ি শাকের নাম তো আগে কখনো শুনিনি। তবে শাক গুলো দেখে মনে হচ্ছে এগুলো সরিষা শাকের মত। তবে আপনার রেসিপিটি খুবই সুন্দর হয়েছে। আপনি খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে শাক ভাজির রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
লাই ফরু শাকের ভাজি রেসিপি খুব চমৎকার লাগছে। শীতকালে এটি খেতে খুব দারুণ লাগে। আপনি সুন্দর করে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। যা এটি তৈরিতে আমাদেরকে সাহায্য করবে। শ্রদ্ধা রইল।