🍁আসসালামুআলাইকুম🍁

---

আমার বাংলা ব্লগ

এর সকল সদস্যবৃন্দ, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালোই আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

---

আ ^{জকে আমি আবার আরেকটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেস্টুরেন্টে কাটানো কিছু মুহূর্ত এবং খাবার সম্পর্কে বলার চেষ্টা করবো। আশা করি আপনাদের কাছে পোস্টটি ভালো লাগবে। চলুন শুরু করা যাক আজকের ব্লগটি ।}

---

---

ছবিঃ^{DHAKAXO রেস্টুরেন্ট।}

বেশ কিছুদিন আগে ফেনী থেকে ঢাকা যাওয়া হয়েছিল। কারণটা হলো আমার একটি ইন্টার্ভিউ ছিল। আর ঢাকা মোটামুটি গোগল ম্যাপের সাহায্যে সব জায়গায় যেতে পারি একা একা। ফেনী থেকে ট্রেনে ঢাকায় এসেছিলাম প্রায় ৩ টার দিকে। আর যেহেতু মামার বাসাটাও শ্যামলীর কাছাকাছি তাই সেখানে যাওয়া। রেস্টুরেন্টটি মূলত শ্যামলী স্কয়ার মলের পাশে অবস্থিত। তো রেস্টুরেন্টটি ছিল একদম পাঁচতলায়। আর যেহেতু দুপুরের কিছু পরে গিয়েছিলাম। ক্ষুধাও লেগেছিল অনেক। জার্নি করে গিয়েছি এজন্য আগে নিজে ফ্রেশ হয়ে নেই। তারপর খাবার অর্ডার করি।

^{অর্ডার মেনু}
অর্ডার দেয়ার আগে অবশ্য মেনু লিস্টটা দেই। আমি একে একে সব কয়টা আইটেম দেখছিলাম আর ভাবতেছিলাম। পরে জিজ্ঞেস করে শুনি খাবারের ১৫% ডিসকাউন্ট অফারচলছে। পরে আমি ফ্রাইড রাইস দিয়ে চিকেন এটা অর্ডার দেয়। এটার প্রাইজ ছিল তখন ২৬০ টাকা। ১৫% ছাড়ে ২৩০ টাকার মতো হয়েছিল। তারপর খাবার অর্ডার দিয়ে বসে থাকলাম কিছুক্ষণ। আবার দেখলাম অনেকই এখানে খেতে আসে। বিশেষকরে কাপলরা এখানে বেশি আসে এমন মনে হয়েছিল। অনেকেই খেতে আসে বুঝা যাচ্ছিল। যদিও আমি এর আগেও একবার এই রেস্টুরেন্টের পাশে অবস্থিত আরেকটি রেস্টুরেন্ট এ খেয়েছিলাম। তারপর প্রায় ১০ মিনিট পর এসে যায় আমার ফ্রাইড চিকেন আর ফ্রাইড রাইস সাথে মুরগীর গোশত।

খাবার নিয়ে আমি 🙋‍♂️

খাবার এসে যাওয়ার পর খাওয়া শুরু করে দেই দেরিনা করে। খাবারের পরিবেশনটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল। সুন্দর করে সবকিছু ঘুছিয়ে একসাথে দিয়েছিল। ফ্রাইডা রাইস আমার খেতে ভালো লেগেছিল সাথে চিকেনটা। যদিও অল্প খেয়ে পরে আমার পেট প্রায় ভরেই গিয়েছিল। খাবারের সাথে হালকা টকের মতো সস দিয়েছিল যার কারণে খাবারটা হজম করতেও বেশ সুবিধা হয়েছিল। সাথে সালাদ ও ছিল এজন্য খেতে অবশ্য আমার ভালো লেগেছিল।

আর একটা বিষয় খুব ভালো লেগেছিল। সেটা হচ্ছে রেস্টুরেন্ট এর ডেকোরেশনটা। ভিতরে খুব সুন্দর করে ছোট বাতি দিয়ে লাইটিং করা ছিল। দেয়ালে বিশেষ কিছু দৃশ্য আকাঁ ছিল। এসব দৃশ্য যে কাউকেই আকৃষ্ট করবে। বসার ব্যবস্থাও ভালোছিল। তবে আমার কাছে উজ্জল আলোর বাতিগুলো বেশ সুন্দর লাগতেছিল। আর ভিতরে এসির ব্যবস্থাও ছিল। আরামছে খাওয়ার মতো একটা পরিবেশ বলাই যায়। তবে খাওয়া শেষ করে হালকা কোল ড্রীংকস না খেলেই না হয়।

কোল ড্রীংকস

খাবার শেষে এক গ্লাস কোল ড্রীংকস সাথে লেবু পরিবেশন সিস্টেমটা ভালো লেগেছে। সেই সাথে পান করতেও ভালো লেগেছিল। তারপর আস্তে আস্তে কোল ড্রীংস পান করে কিছুক্ষণ বসে থাকি। তারপর মেনু বিলটা নিয়ে আসলে ২৩০ টাকা দিয়ে দেই। তবে সবদিক মিলিয়ে রেস্টুরেন্টের খাবারের রেটিং ৯/১০ দিতে চাই।

ফাইনালি একটা কথায় বলবো যারা আরামছে ২০০-৩০০ এর মধ্যে খাবার খেতে চান তাহলে এই রেস্টুরেন্টে এসে খেতে পারেন। আশা করি খাবার খেয়ে হতাশ হবেননা। আর আপনার চাইলে মহাখালী থেকে সোজা বাস দিয়ে শ্যামলী চলে আসলে এই রেস্টুরেন্ট দেখতে পাবেন।

বিষয়	DHAKAXO রেস্টুরেন্ট খাবার রিভিউ।
ডিভাইস	oppo A12
ফটোগ্রাফার	@haideremtiaz
লোকেশন	w3w

তবে যায়হোক, আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আশা করি আজকে আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর যদি কখো ঢাকায় শ্যমলীতে আসেন তাহলে এই রেস্টুরেন্টে এসে খেয়ে যেতে পারেন।

ধন্যবাদ

---

---

আমি কে?

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কোকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যৎ এ প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চায়।