আমি গর্বিত
12-06-2022
২৯ জৈষ্ঠ ,১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আসসালামু আলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। দেখতে দেখতে আমার বাংলা ব্লগের সাথে একটি বছর কাটিয়ে দিলাম। প্রথম বর্ষপূর্তি আমরা সবাই জমকালো আয়োজনের মধ্যে দিয়েই গতকাল শেষ করেছি। পরিবারের সবাই যেন একসাথে অনেকটা সময় পার করেছি । হাসি আর খুশির মাধ্যমে পুরো হ্যাংআউট একদম ভরপুর ছিল। দারুণ কিছু গান শুনতে পেরেছিলাম সেই সাথে হাফিজুল্লাহ ভাইয়ের অসাধারণ সৃষ্টি আমার বাংলা ব্লগ কবিতাটি সবাই দারুণভাবে আবৃত্তি করেছে। একদম মুগ্ধ হওয়ার মতো ছিল। আমার বাংলা ব্লগের সাথে ১ম বর্ষপূর্তি উযাপন করতে পেরেছি এজন্য নিজেকেও সৌভাগ্যমান মনে করছি। যায়হোক, আজকে আপনাদের সাথে কিছু কথা শেয়ার করার জন্য চলে এলাম।
এইতো কিছুদিন আগে আমাদের সম্মানিত এবং সকলের প্রিয় মুখ আরিফ ভাই আমাদের বলেছিল ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য। ব্যাংক একাউন্ট খোলার পিছনে অবশ্য কারণও ছিল; আমরা যেভাবে স্টিম বাই-সেল করি এটা বাংলাদেশে টোটালি অবৈধ। আর বাংলাদেশ সরকার এখনো ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করেনি। তবে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা তুললে কিছু রেমিট্যান্স বাংলাদেশ সরকার পেয়ে থাকে আর টাকাটাও বৈধতার সাথেই উত্তোলন করা যায়। আরিফ ভাইয়ের কথামতো আমি ইসলামি ব্যাংকে একটি একাউন্ট খুলেছিলাম। এটা ছিল আমার প্রথম ব্যাংক একাউন্ট খোলার অভিজ্ঞতা। কারণ এর আগে কখনো ব্যাংক একাউন্ট খোলেনি, বলতে পারেন দরকারও হয়নি। ব্যাংক একাউন্ট খোলার পর আরিফ ভাই আমাদের কয়েকজন ইউজারদের বলেছিল কয়েকটি ক্লাসের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিবে কিভাবে টাকা ব্যাংক থেকে এডিবি ক্যাশে নিয়ে যাওয়া যায়। এডিবি ক্যাশের মাধ্যমে টাকা তুললে ট্রানজেকশন ফি কম কাটে আর সেইফটিও আছে যেমনটা শুনেছিলাম দাদার কাছ থেকে।
আরিফ ভাই আমাদের প্রথম একটি ক্লাস নেয়। সেই ক্লাসে আমাদের বুঝায় কিভাবে এডিবি ক্যাশে একাউন্ট তৈরি করতে হবে সেই সাথে কিভাবে ভেরিফাইড করতে হবে। তো ভেরিফাইড করার জন্য আমি আগে থেকেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রেডি করে রাখছিলাম। আরিফ ভাই বলার পরেই আমি প্রয়োজন ডকুমেন্ট দিয়ে একাউন্ট ভেরিফাই করে নেই। কিছুটা আইডিয়া নিয়ে করে ফেলেছিলাম। কারণ এরকম কাজ আগেও করেছিলাম। তো একাউন্ট ভেরিফাই করতে তেমন একটা সমস্যা হয়নি। প্রথম ক্লাসে আমাদের একাউন্ট কিভাবে ভেরিফাই করতে হবে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দেন আরিফ ভাই। যারা করেনি তখন আরিফ ভাইয়ের নির্দেশক্রমে সবাই ভেরিফাই করে নেই। তো আমার সমস্যাটা হয়েছিল দ্বিতীয় ক্লাসের বেলায়। ব্যাংক এর একটি স্টেটমেন্ট লাগবে আর সেখানে বাড়ির নাম্বার, রোড,এপার্টমেন্ট এগুলা উল্লেখ থাকত হবে। কিন্তু আমি যখন একাউন্ট করেছিলাম তখন এসব ডকুমেন্ট দেয়নি। আমি দিয়েছিলাম শুধু ফেনী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট। যার ফলে আমার ব্যাংকের যে একাউন্ট ভেরিফিকেশন সেটা রিজেক্ট করে দেয় আমাকে।
তারপর টিকেট ক্রিয়েট করে অবশ্য আরিফ ভাই আমাকে প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য দেয়। ব্যাংক থেকে এড্রেস আপডেট করতে বলে। আমি তখন বাড়িতে ছিলাম। আর একাউন্ট করেছিলাম যখন তখন ছিলাম বাড়িতে। ঠিক দুদিন পর ফেনীতে এসে পরি। এদিকে কলেজও খোলা ছিল। পরে অবশ্য আমি ব্যাংকে যায় ডকুমেন্ট আপডেট করার জন্য। ব্যাংকের কর্মকর্তাকে আমি বলি এইখানে এড্রেসটা পরিবর্তন করে নতুন একটা এড্রেস করতে হবে। তো আমি যে বাসায় থাকি সে বাসার তথ্য নিয়ে গেলাম আর সেগুলো ব্যাংক কর্মকর্তাকে দেখালাম। উনি আমাকে কিছুক্ষণ বসতে বললো। এরই মাঝে ব্যাংকের কর্মকর্তা আমাকে জিজ্ঞেস করলো এটা কিসের জন্য? আমি বললাম আমি অনালইনে কাজ করি।
তখন ব্যাংক কর্মকর্তা আমাকে বললো আপওয়ার্কে কাজ করি কিনা! আমি তখন বললাম স্টিমিটের একটি প্লাটফর্ম আর আমার বাংলা ব্লগে লেখালেখি করি। বলতে পারেন আমি একজন কন্টেন্ট রাইটার। বিশ্বাস করেন এ কথা বলার পর আমার এতটা খুশি লেগেছিল বলে বুঝানো সম্ভব না। তারপর ব্যাংক কর্মকর্তা আমাকে বললো ইনকাম কেমন হয়? আমি তখন বললাম এটা ডিপেন্ড করে আপনার কাজের উপর, আপনি যতো ভালো কাজ করতে পারবেন ততো বেশি ইনকাম হবে। এটা শুনে অবশ্য আমার কাছে মনে হয়েছিল ব্যাংক কর্মকর্তাও কিছুটা খুশি হয়েছিল। খুশিই হবেই না কেন? হালাল উপায়ে টাকা উপার্জন করি এর থেকে গর্বের আর কি হতে পারে। আমার কাছে সেদিন বেশ খুশি লাগছিল। মনে মনে ভাবছিলাম জীবনে কিছু একটা তো হতে পেরেছি। এটাই বা কতজন হতে পারে। কন্টেন্ট লিখে আয় করা সম্মানজনক পেশা আমি মনে করি। কোনো কাজই আসলে ছোট নয়। সব কাজকে ভালোবেসে করতে হয়।
যায়হোক, আপনাদের সাথে কিছু কথা শেয়ার করতে পেরে ভালোই লাগছে। আশা করি আমার কথাগুলো পড়ে আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে। ভালো লাগলে মন্তব্য করে জানাবেন। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। আল্লাহ হাফেজ।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া এখানে কাজ করতে আমার কাছেও খুব ভালো লেগেছে। বাংলাদেশ সরকার এখনো ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করেননি, তাই সকলে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা উঠালে সরকারের একাউন্টে কিছু যাবে।যেটাতে সরকারের উন্নতি হবে।আমি চেষ্টা করবো এইভাবে টাকা উঠানোর,যদিও এখনো করেনি।এগুলো সম্পর্কে আমাদেরকে বিস্তারিত বুঝিয়ে দিয়েছেন ক্লাসে।
জিআপু। আশা করি আপনিও বৈধভাবে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট টি পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। আসলেই আমরা বৈধভাবে টাকা উপার্জন করাটাই আমাদের প্রয়োজন। ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধতা নেই তাই আমাদের সবারই উচিত ব্যাংক থেকে টাকা উঠানোর। আপনার এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
জি আপু আমাদের বৈধভাবে টাকা উপার্জন করাই দরকার। এতো কোনো ঝামেলা নাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
খুবই ভালো লেগেছে আপনার এত সুন্দর একটি ব্লগ পড়তে পেরে। অবশ্য আমাদের সব কিছু নিয়ম মেনে চলা একান্ত প্রয়োজন,যেহেতু সঠিক নিয়ম গুলো আমার বাংলা ব্লগ থেকে শেখানো হচ্ছে। তাই সেগুলো শিক্ষা আমাদের জন্য একান্তই জরুরী।
জি ভাই একদম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া কনটেন্ট লিখে কাজ করা অনেক সম্মানের একটি কাজ। আর এভাবে টাকা উঠানো ভালো।কোনরকম রিক্স থাকেনা এটা হচ্ছে আমাদের হালাল পথের উপার্জন। আপনি ঠিকই বলেছেন হালাল পথে ইনকাম করতে খুবই ভালো লাগে এবং একটা গর্বের বিষয়। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভাইয়া।
একদম আপনি যথার্থ বলেছেন আপু । হালাল উপায়ে টাকা আর্ন করার বেস্ট ওয়ে। ধন্যবাদ আপনাকে
আপনার লেখা পড়ে ভাল লাগলো। আমিও আপনার মতো ইসলামি ব্যাংকে একাউন্ট করেছি। পরবরতীতে যদি সুযোগ হয়ে আমিও ক্লাসে জয়েন করবো। আপনার ভেরিফিকেশনের প্রব্লেমটি যাতে তাড়াতাড়ি সল্ভ হয় তার জন্য দোয়া রইল
ভাই ভেরিফিকেশন সমস্যাটা সলভ হয়েছে পরে।আপনাকে ধন্যবাদ
সত্যিই ,এখানে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পেরে আমিও খুব খুশি।নিজের সুপ্ত প্রতিভাগুলি মানুষের সামনে তুলে ধরার সঙ্গে সঙ্গে তার জন্য সম্মানী পাচ্ছি আমরা সবাই।এর থেকে ভালো গর্বের বিষয় আর কী হতে পারে!আপনার অনুভূতি পড়ে ভালো লাগলো যে ব্যাংক কর্মকর্তা খুশি হয়েছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকেও ধন্যবাদ দিদি সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।