বড় ছেলে নাটক রিভিউ
আসসালামুআলাইকুম সবাই
কেমন আছেন সবাই?আশা করি ভালো আছেন।আমি ভালো আছি।আজকে আপনাদের সাথে আরেকটি নাটক শেয়ার করবো।নাটকের নাম হচ্ছে বড় ছেলে
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | বড় ছেলে | |
---|---|---|
পরিচালক | মিজানুর রহমান আরিয়ান। | |
অভিনয় | জিয়াউল ফারুক অপূর্ব,মেহজাবিন চৌধুরী,খালেকুজ্জামান,সেলী আহসান । | |
দৈর্ঘ্য | ৬০ মিনিট। | |
ধরন | পারিবারিক,বাস্তবধর্মী। | |
ভাষা | বাংলা। |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এইদিকে রাশেদ পড়াশোনা শেষ করে টিউশনি করায়।চাকরির অনেক ইন্টার্ভিউ দিয়েছে।কিন্তু চাকরি হয়নি।মামা খালু কেউ নেই যে চাকরি দিবে।রাশেদের বাবার চিন্তা বেরেই চলেছে পরিবারকে নিয়ে।রাশেদের বাবা রাশেদকে একটা কার্ড দেয়।কার্ডটি মূলত রাশেদের বাবার এক ছাত্রের।সে ছাত্র নাকি এখন অনেক বড় চাকরি করে।রাশেদের বাবা রাশেদকে বলে তার সাথে যেন সে দেখা করে।
এদিকে রাশেদের একটা সম্পর্ক আছে।অনেক বছর ধরেই তার সাথে রাশেদের সম্পর্ক।প্রেমিকার আবদার সবসময় রাশেদের কাছে বাদামের।পাঁচ টাকার বাদাম নিয়ে আসলেই রাশেদের প্রেমিকা অনেক খুশি থাকে।কারণ সে জানে রাশেদ এখনো বেকার আর পরিবারের দায়িত্বটাও তার কাধে।এভাবেই গল্প আগাতে থাকে।
পরেরদিন রাশেদ তার বাবার ছাত্রের অফিসে যায় দেখা করতে।আশ্বাস দিয়েছিল চাকরিটা মনে হয় হয়ে যাবে।কিন্তু এইদিকে তার প্রেমিকার আবদার বিকালে তার সাথে দেখা করবে।পাচঁ টাকার বাদাম ছাড়া কিছুই দেয়ার নেই রাশেদের।আর প্রেমিকারও চাওয়া নেই পাচঁ টাকার বাদাম ছাড়া।
এইদিকে রাশেদের বোন জোৎস্না একটি দোকান ভাড়া নেয়।তিনজনে মিলে মূলত দোকানটা ভাড়া নেয় দুই লাখ চল্লিশ হাজার টাকা দিয়ে।তার বাবার আক্ষেপ মেয়েটা তার স্বামীর সংসার করতে পারলোনা।এই নিয়ে আবার জোৎস্নার এতো মাথা ব্যাথা নেই।
পরেরদিন রাশেদের বাবা তার ছাত্র জামিলকে আবার ফোন দেয়। জামিল তখন রাশেদকে অফিসে দেখা করতে বলে।রাশেদ খুব সকাল সকাল অফিসে যায় এক বুক আশা নিয়ে।মধ্যবিত্তরা এক বুক আশা নিয়েয় হয়তো বেচেঁ থাকে।জামিল রাশদকে বলে অনেক চেষ্টা করে চাকরিটা দেওয়ার জন্য কিন্তু তার অফিসের এমডি স্যারের কোন আত্নীয় নাকি জয়েন করে অযুহাত হিসেবে বলে থাকে।রাশেদ হয়তো ভেবেছিল চাকরিটা হয়ে যাবে।
আবার এইদিকে তার ছোটভাই অনিকের আবদার সে বন্ধুদের সাথে পিকনিকে যাবে।তার টাকা প্রয়োজন।যার কারণে তার ভাইয়ের কাছে পিকনিকে যাওয়ার জন্য ৮০০ টাকা চাইলো এবং রাশেদ বলে দিবে।
পরেরদিন সকালে রাশেদের মা তাকে কিছু টাকা দিতে বলে কারণ ঘরে কোনো বাজার নেই।পকেটে ২০ টাকা নিয়ে বের হয় রাশেদ।
এইদিকে তার প্রেমিকার বিয়ে ঠিক করার পরিকল্পনা করে তার বাবা।পড়াশোনা শেষ হয়ছে অনেক আগে। এজন্য বাবারও ইচ্ছে তার মেয়েকে বিয়ে দেয়ার।রাশেদকে আবার তার প্রেমিকা সব বলে।এভাবেই আগাতে থাকে আর বাস্তবতা জটিল হতে থাকে।
রাশেদ সিদ্ধান্ত নেয় তার প্রেমিকাকে সব কিছু খুলে বলবে।পরবর্তীতে বলেও তা।নিজেদের মধ্যে আলাদা থাকা।যেন অনেক বছর পরেও দেখা হলেও সম্মানটুকু যেন ঠিক থাকতে।এইদিকে তার পরিবারের কথাও চিন্তা করতে হয়।যদি সে পালিয়ে বিয়ে করে তার প্রেমিকাকে তাহলে তার পরিবারকে কে দেখবে।রাশেদের মা বাবা কে কে দেখবে,তার ছোট বোনটার কথাও তাকে চিন্তা করতে হয় দিনশেষে।কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন হয়ে পড়ে রাশেদ।
জীবনকে আমরা যেভাবে দেখি জীবনটা আমাদের সেভাবে দেখেনা।রাশেদের এই কথাটার অনেক মিল পাওয়া যায় বাস্তবতায়।
অবশেষে তার প্রেমিকার আবদার একটি দিন।রাশেদ যেন তার সাথে একটি মূহুর্ত কাটায়।সেই পাচঁ টাকার বাদাম নিয়ে দেখা করতে আসে রাশেদ।তার প্রেমিকা রিয়ার যেখানে বিয়ে হবে সেখানেও নাকি রান্না করার জন্য একজন লোক রাখা থাকে।কিন্তু তার প্রেমিকা রিয়া সে তো এটা চাইনি।সে চেয়েছিল রান্না করে রাশেদকে খাওয়াতে।সবশেষে রিয়া রাশেদকে একটা ঘড়ি দেয় যেন সময় দেখতে পারে,পাওয়ার ব্যাংক দেয় যাতে সে চার্জ শেষ হয়ে গেলে চার্জ দিতে পারে,টিস্যু দেয় যাতে করে সে যেন ঘেমে গেলে শরীরের ঘাম মুছতে পারে আর তার বোনের মেয়েকে চকলেট দেয়।এভাবেই শেষ হওয়ার কথা ছিল নাটকটির কিন্ত রাশেদের মতো পরিবারের বড়ছেলের কান্না করতে নেয়।তারা কাধে লুকিয়ে,আড়ালে।
নাটকটির থেকে শিক্ষা
ব্যক্তিগত মতামত
ব্যক্তিগত রেটিং
নাটকটির লিংক
(উপরের ছবিগুলো ইউটিউব থেকে নেয়া স্ক্রিনশট)
নাটকটি এখনও না দেখে থাকলে উপরের লিংকে প্রবেশ করে সম্পূর্ণ নাটকটি দেখতে পারেন।
সোর্স ব্যবহার করেন, অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যের জন্য।
আমি এই নাটকটি দেখেছি অপূর্বের।এটি খুবই কষ্টদায়ক নাটক।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
জেনে খুশি হলাম দিদি।ধন্যবাদ আপনাকেও।
এই নাটকটি যখন প্রথম দেখেছিলাম চোখে জল চলে এসেছিল। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে শেয়ার করার জন্য
হুম ভাই।শেষের সিনটা অসাধারণ ছিল ভাই। ১০ বারের বেশি দেখে ফেলছি ভাই।ধন্যবা আপনাকে।
সত্যি ই নাটক দেখে খুব মনে কষ্ট পেয়েছিলাম। জীবনের বাস্তব ঘটনার নিরিখে তৈরি ।অনেক ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই পোস্টটি পড়ার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই, চমৎকারভাবে আপনার রিভিউটি উপস্থাপন করার জন্য। আগের তুলনায় বেশ ভালো হয়েছে আশা করছি এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে এবং কমিউনিটিতে এ্যাকটিভ থাকবেন। ধন্যবাদ
আপনার মন্তব্য বরাবরের মতো কাজের প্রতি অনুপ্রেরণা যোগায় ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে।
বড় ছেলে নাটক টি খুবি সুন্দর নাটক এবং শিক্ষামূলক নাটক, শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে মন্তব্যের জন্য।