পারাপার নাটক রিভিউ||১০% beneficaries @shy-fox এর জন্য
আসসালামুআলাইকুম সবাই
কেমন আছেন সবাই?আশা করি ভালো আছেন।আমি ভালো আছি।আজকে আপনাদের মাঝে সম্প্রতি আমার দেখা আরেকটি নাটক নিয়ে হাজির হলাম। নাটকের নাম হচ্ছে পারাপার
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | পারাপার | |
---|---|---|
পরিচালক | রাফাত মজুমদার রিংকু। | |
অভিনয় | তাহসান খান,সাবিলা নূর,মনোজ প্রামানিক,শারমিন সুলতানা শর্মী,সাহফিজ মামুন,হানিফ মামুন। | |
দৈর্ঘ্য | ৪১ মিনিট। | |
ধরন | পারিবারিক,শিক্ষামূলক। | |
ভাষা | বাংলা। |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
কিন্তু মাহফুজুর রহমান নিজেও জানেনা তার নামে কেন মামলা হয়েছে।এবার আসা যাক মূল ঘটনায়।
জাহিদ শহরে তার স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করে।জাহিদ মূলত একটি বাস কাউন্টারে চাকরি করে।অন্যদিকে তার স্ত্রী সুমি গৃহিনী।জাহিদের কোনো ছেলে বা মেয়ে নেই।জাহিদের আয়ের টাকা দিয়েই মূলত সংসার চলে।
পাশের বাসার ভাবী মাঝে মাঝে মাঝে সুমির জন্য তরকারি নিয়ে আসে।একদিন পাশের বাসার ভাবী এসে দেখে সুমি তার স্বামীর শার্ট সেলাই করতেছে।তো ভাবী সুমিকে বলে পুরাতন শার্ট আর কত পড়বে জাহিদ।নতুন একটা শার্ট কিনতে বলে।কিন্তু সুমি সুমি জানে তার সংসারের অবস্থা এতোটা ভালোনা।তাইতো পুরানতন জামা দিয়েই চলে যায় দিন।সুমি চেয়েছিল পার্লারে গিয়ে কাজ করতে কিন্তু তার স্বামী তাকে বাইরে বের হতে দেয়না।
এদিকে করোনা মহামারী বেরে যাওয়ার কারণে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়।জাহিদের এখন চিন্তা কিভাবে সংসার চালাবে সে।বাসের কাউন্টারের টিকেট বেচেঁই সংসার চালাতো জাহিদ।এখন করোনা বেড়ে যাওয়ায় চাকরিটাও চলে যায়।একদিন জাহিদ বাসায় এসে দেখে তার কাপড় ধৌত করার পর পকেটে ৫০ টাকা রয়েছে।এটা দেখে জাহিদ অনেক রেগে যায়।তার বউকে অনেক বকাবকি করে।এদিকে জাহিদের চাকরিটা চলে যায়।জাহিদ সবকিছু সুমিকে খুলে বলে।
এদিকে জাহিদের মেজাজ দিন দিন খিটখিটে হতে থাকে।কোনো কিছু হাতের কাছে না পাইলে মেজাজ খারাপ করে সুমির সাথে।বাসা ভাড়া নিতে আসে মালিক। তা শুনে জাহিদ লুকিয়ে পড়ে এবং সুমিকে বলে কথা বলতে। কিন্ত সুমি বাড়িওয়ালাকে বুঝানোর চেষ্টা করে কিন্তু বাড়িওয়ালা কোনো কথাই শুনতে চায়না।টাকার পরিবর্তে সে ঘরের মালসামাল নিতে বলে।কিন্তু মালসামাল ও তেমন নেই।আবার সুমিকে বাজে মন্তব্য করে।এভাবেই গল্প আগাতে থাকে।
একদিন রাতে সুমি মোবাইল দিয়ে তাদের পুরনো ছবির এলবাম দেখে দেখে হাসতে থাকে। জাহিদ এটা দেখে রাগে আগুন।জাহিদ তারপর সুমিকে গলা টিপে ধরে।পরে সুমি মোবাইলে কি দেখতেছিল খুলে বলে।
আবার এদিকে সুমিকে পাশের ভাবী একটা কাজের কথা বলে।বেতন হিসেবে মাসে দশ হাজার টাকা দিবে।কাজ হচ্ছে ঘরের ভিতরের সবকিছু করা।সুমি মূলত কাজটি পায় মাহফুজুর রহমানের বাসায়।নাটকের শুরুতেই যাকে পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে।এখান থেকেই মূল কাহিনী শুরু।
কাজের শুরুতেই দেখা যায় সুমি বিভিন্ন ভুল করতে থাকে।কারেন্টের হিটের চুলায় রান্না করতে সে পারেনা।গ্যাসের চুলায় রান্না করে অভ্যস্ত সুৃমি।তরকারি রান্না করতে গিয়ে পুড়ে ফেলে।
মাহফুজুর রহমানের স্ত্রী মারা গেছে তিনমাস হলো।তার স্ত্রীর নাম চিল তিন্নি।এটা নিয়ে মাহফুজুর রহমান মন খারাপ।সুমিকে বলে সে যেত তার রুমটা বাদে সব কাজ করে।
এদিকে কাজ করতে থাকে সুমি।কাজ করার সময় পানির বোতল রাখে ল্যাপটপের উপরে এটা দেখে মাহফুজুর রহমান অনেক রেগে যায়।তারপর সুৃমিকে বলে পানির বোতলটা ফ্রিজে রেখে দিতে এবং ল্যাপটপটা পরিষ্কার করে নিতে।এদিকে সুমির স্বামীও চাকরি খুঁজতে থাকে।কিন্তু চাকরি আর হয়না।
এদিকে সুমি কাজ করতে গিয়ে বারবার ভুল করতে থাকে।মাহফুজুর বলে কাজ না পারলে চলে যাও।অন্য লোক দেখবে সে।কিন্তু সুমির কাজটা অনেক দরকার ছিল।একদিন সুমি কাজ করতে গিয়ে মাহফুজুর রহমানের রুম ঘুছাতে শুরু করে।তা দেখে মাহফুজুর রহমান রেগে যায়।না করয় সত্বেও সে কেন এ কাজ করলো বলে।
এদিকে পাশের বাসার ভাবীর কাছ থেকে ফোন দিয়ে বলে তার বাসায় আসতে একটু দেরী হবে।এ কথাটা যেন তার স্বামীকে বলে।তার স্বামী শুনে রীতিমত সন্দেহ করে সুমিকে।সুমি কাজ করে শেষ করে বাসায় আসলে জাহিদ তাকে জিজ্ঞেস করে এতোক্ষন কি করছিল সুমি।জাহিদ সুমিকে বাজে কথা বলতে থাকে। এক পর্যায়ে সুমি জাহিদের কথার জবাব দিতে গিয়ে। জাহিদ সুমিকে মারধর করে।
পরেরদিন সুৃমি মাহফুজুর রহমানের বাসায় কাজ করতে এলে সুৃমিকে বলে সে অসুস্থ কিনা।হাতের দাগ দেখে বলে কিভাবে এরকম হলো।তারপর সুমি কিছু বলেনাই।মাহফুজুর রহমান তার হাতে পোড়ার ক্রিম লাগিয়ে দেয়।
এদিকে বাসায় আসার পর সুমি যখন রান্না করতে থাকে তখন জাহিদ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সুমিকে মারধর করে।এদিকে গল্পের শুরুতে দেখেছিলাম মাহফুজুর রহমানকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়।মূলত সুমির স্বামী জাহিদ তার স্যারের নামে মিথ্যা অপবাদ দেয়।যার কারণে সুৃমির স্যারকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়।এদিকে পুলিশ আসে সুমির বাড়িতে। তখন জাহিদ সুমিকে বলে যেন সে কোনো কিছু না বলে যেন পুলিশকে।কিন্তু এখানেই সত্যটা বের হয়।সুমি সবকিছু খুলে বলে।স্বামীকে নিয়ে যায় পুলিশ আর তার স্যারকে পুলিশ ছেড়ে দেয়।
কিন্তু নাটকটি এখানেই শেষ হতে পারতো। মাহফুজুর রহমানের সাহায্য ঘুরে দাড়িয়েছে সুমি।একজন বন্ধু হিসেবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল মাহফুজুর রহমান।ঠিক চার বছর পর সুমি একটি ব্রিফিংয়ে নারীর সফলতার গল্প বলে।বলে তার জীবনে ঘটে যাওয়া গল্প।আর সেখান থেকে কিভাবে সে ফিরে আসলো।একজন নারীর ঘুরে দাড়ানোর গল্পের মাধ্যমেই শেষ হয় নাটকটি।
নাটকটির থেকে শিক্ষা
ব্যক্তিগত মতামত
ব্যক্তিগত রেটিং
নাটকটির লিংক
নাটকটি এখনও না দেখে থাকলে উপরের লিংকে প্রবেশ করে সম্পূর্ণ নাটকটি দেখতে পারেন।আশা করি আপনাদের কাছেও নাটকটি ভালো লাগবে।
আমি এখনো নাটকটি দেখি নি, তবে আপনার এই রিভিউ দেখে দেখতে ইচ্ছা করছে। তাহসান স্যার আমার একজন প্রিয় অভিনেতা ও গায়ক।
হম তাহসান স্যার বরাবরই ভালো অভিনয় এবং গান উপহার দেয়।ধন্যবাদ ভাই।
বাংলা নাটক আগের মত আর দেখা হয়না কিন্তু আপনার উপস্থাপনা টি অসাধারন ছিল খুব শীঘ্রই আমি চেষ্টা করব এই নাটকটি দেখার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।আশা করি নাটকটি দেখবেন ভাই
অবস্বই দেখবো
আচ্ছা ভাই❤️
খুবই সুন্দর লিখছেন।ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই
আমি বাংলাদেশি নাটক দেখতে খুব ভালোবাসি।আমি অবশ্যই এই নাটকটি দেখার চেষ্টা করবো।
সুন্দরভাবে রিভিউ দিয়েছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ দিদি আপনার মতামত বলার জন্য।আশা করি আপনি নাটকটি দেখবেন।
নাটক আমি বেশি পছন্দ করি আমার নাটক দেখতে অনেক ভালো লাগে। আপনার নাটক রিভিউ অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই আপনার জন্য শুভকামনা রইলো 🥀
আপনি নাটক দেখেন শুনে খুশি হলাম ভাই।আশা করি এই নাটকটি আপনি দেখবেন ভাই❤️
খুব সুন্দর করে লিখেছেন ভাইয়া
ধন্যবাদ ভাই আপনার মতামত দেয়ার জন্য।