মি. লবিং নাটক রিভিউ
28-08-2022
১৩ ভাদ্র ,১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালোই আছেন। আমি কয়েকদিন খুব প্রেশারে আছি বলা যায়। পরীক্ষা শুরু হয়েছে। যায়হোক, একটু রিফ্রেশমেন্ট এর জন্য বিকেলে একটি নাটক দেখেছিলাম। আর তখন আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য লিখে রেখেছিলাম। নাটকটির নাম হচ্ছে মি. লবিং। আশা করি নাটকটি আপনাদের কাছে ভালোই লাগবে।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | মি. লবিং । |
---|---|
রচনা | অনামিকা মন্ডল |
পরিচালনা | মেহেদী হাসান জনি। |
প্রযোজক | হাবিব মনসুর। |
অভিনয়ে | জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তাসনিয়া ফারিন, রকি খান, মাসুম বাশার, ইসরাত সিন্থা সহ আরও অনেকে। |
দৈর্ঘ্য | ৪০ মিনিট ১২ সেকেন্ড। |
আবহ সংগীত | অনিরুদ্ধ শুভ । |
মুক্তির তারিখ | ৫ ই আগস্ট, ২০২২ইং |
ধরন | কাল্পনিক, ড্রামা |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
আসিফঃ
জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ।নিশিঃ
তাসনিয়া ফারিন ।কাহিনী সারসংক্ষেপ
নাটকের শুরুতে দেখা যায় আসিফ আর নিশি একটি প্রাইভেট কর্পোরেট কোম্পানিতে ভাইবা দিতে এসেছে। পাশাপাশি আরও কিছু লোক এখানে ভাইবা দিতে এসেছে। একজন বলে যে বর্তমানে মামা খালুর জোরে চাকরি হয়ে যায়। যারা মামা খালু আছে তারই চাকরি হয়। এরই মাঝে আসিফের ফোনে ফোন দেয় তার বন্ধু। আসিফ বলে যে তার চাচাকে বলে রেখেছে যে ইন্টার্ভিউ এ কোনো সমস্যা হবে না। আর নিশি ভাবে যে নিশ্চয় আসিফ লবিং করে এসেছে। আসিফের নাম যখন ডাকে তখন ভাইবা বোর্ডে যায়। ভাইবা বোর্ডে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে থাকে ঠিক তখন নিশিও বোর্ডে প্রবেশ করে। প্রবেশ করেই বলে যে লবিং যখন ঠিক করাই ছিল তাহলে ইন্টার্ভিউ নেয়ার কি দরকার ছিল! আগে থেকে যারা মামা খালু ঠিক করা থাকলে আমাদের মতো মেধাবীদের কি করে চাকরি হবে। অথচ আসিফের কোনো মামা খালু ছিল না। এক পর্যায়ে আসিফের সাথে নিশির তর্ক বেধেঁ যায়। তারপর ভাইবা বোর্ড থেকে দুজনকেই বের করে দেয়া হয়।
কিছুদিন পর নিশি একটি দোকানে যায় অর্কিড কেনার জন্য। তার বন্ধুকে বার্থডে গিফট দেয়ার জন্য। কিন্তু গিয়ে দেখে সেখানে কোনো অর্কিড নেই। তারপর নিশি সেখান থেকে চলে আসে। তারপর আসিফ আসে সেই দোকানে অর্কিড কেনার জন্য। দোকানদার খুঁজে দেখে একটিমাত্র অর্কিড রয়েছে। তারপর আসিফ সেটা কিনে নেয়। ঠিক তখন নিশিও দোকানে চলে আর ঘটে যায় আরেক ঘটনা। নিশি তখন ভাবে আসিফ এখানেও লবিং করতে এসে পরেছে । আসিফকে কিছু বলার আগেই অর্কিড এর অর্ধেক অংশ কেচি দিয়ে কেটে দেয়। আসিফ তার ছোট ভাইকে বার্থডে গিফট এর জন্য অর্কিড দিয়েছিল। সেই ছোট ভাই আবার নিশির ফ্রেন্ড। লবিং মাস্টারের ছোট ভাই তার ফ্রেন্ড এজন্য নিশি সেখান থেকেও চলে আসে। কিছুদিন পর নিশির ছোটবোন তুলির পরীক্ষা। নিশি পরীক্ষায় আসার মতো কিছু সাজেশন দাগিয়ে দেয়ার জন্য। নিশি তখন কিছু সাজেশন দাগিয়ে দেয়। ঠিক কিছুদিন পর তুলির পরীক্ষা হলো। পরীক্ষা হল থেকে বের হওয়ার সময় নিশি তার বোনকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসে। নিশির সাজেশন থেকে কোনো প্রশ্নই কমন পরেনাই। তুলি তমার ভাইয়ের সাজেশন পড়ে গিয়েছিল এজন্য পরীক্ষা ভালো হয়েছে। তমার ভাই আবার আসিফ।
নিশি তখন আসিফ দেখে বলে এখানেও লবিং করেছে ভেবে নেয়। কলেজের এখানে মামা চাচা এটা ভাবতে থাকে নিশি। এক পর্যায়ে নিশি আবার তর্কে জরিয়ে যায়। ঠিক কিছুদিন পর এফ এস কোম্পানি থেকে ফোন আসে যে নিশির জব হয়েছে সেখানে। নিশি গিয়ে আবার সেখানে আসিফের সাথে দেখা হয়। আসিফেরও এখানে জব হয়েছে। নিশি ভাবে তার চাকরিটা নিজ যোগ্যতায় হয়েছে। আর আসিফের চাকরিটা লবিং এর জন্য হয়েছে। আসিফ তখন ব্যাপারটা মনে না রাখার জন্য বলে। আসিফ নিশিকে পছন্দ করে ফেলে। কিন্তু একদিন নিশি অফিসের সবার সামনে বলে ফেলে দেয় আসিফের চাকরিটা লবিং এর জন্য হয়েছে। এটা শুনে আসিফের রীতিমত রেগে যায়। তারপর অফিসের বস নিশিকে বলে যে নিশির জব আসিফের জন্য হয়েছে। তার মানে লবিং এর জন্যই হয়েছে। আর আসিফের চাকরিটা নিজ যোগ্যতায় হয়েছে। তারপর নিশি তার ভুল বুঝতে পারে। নিশি গিয়ে আসিফকে সরি বলে এসব কথা বলার জন্য। আসিফ অবশ্য জানতো যে রাগী মেয়েদের মন ভালো হয়। অবশেষে তাদের মাঝে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। সেখানেই নাটকের সমাপ্তি ঘটে।
শিক্ষণীয় দিক
নাটকটি আমাদের জন্য শিক্ষণীয় বলায় যায়। আমাদের সমাজের অনেক মেধাবী মানুষজন তাদের জব পায়না শুধুমাত্র লবিং এর অভাবে। আসলে লবিং থাকাটাও একটি যোগ্যতা। আরেকটি জিনিস হলো কারো ব্যাপারে কোনো কিছু না জেনে কখনো মন্তব্য করা উচিত নয়।
ব্যক্তিগত মতামত
নাটকটি আমার কাছে ভালোই লেগেছে। পরিচালক মেহেদী হাসান খুব সুন্দর করে নাটকের গল্পটি ফুটিয়ে তুলেছেন । অপূর্ব ও তাসনিয়া ফারিন যার যার চরিত্রের জায়গা থেকে পারফেক্ট অভিনয় করেছে। সবমিলিয়ে ভালোই ছিল, উপভোগ করার মতো।
ব্যক্তিগত রেটিং
নাটকটির লিংক
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
Link
আপনি খুব চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ করেছেন। আপনার নাটকে রিভিউ দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে নাটকটি আমি দেখেছি নাটকের চরিত্র, সংলাপ এবং দৃশ্য গুলো বেশ অসাধারণ। এত দুর্দান্ত নাটক শেয়ার করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য।
মি. লবিং নাটকটি আমার দেখা হয়নি।কিন্তু পড়ে মনে হচ্ছে বেশ ভালো ছিল। অপূর্বর নাটক গুলি সব সময় খুব সুন্দর হয়। কারণ তার অভিনয় পারফেক্ট। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া এই নাটকটির রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু নাটকটি দেখলে আপনারাও উপভোগ করতে পারবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
তারপর পরীক্ষার প্রস্তুতি কেমন চলছে😀। আর মাত্র কয়েকটা দিন তারপর ওই ডিপ্লোমা লাইফের ইতি। যাইহোক নাটকের রিভিউটি খুব সুন্দর লিখেছেন, চেষ্টা করব কখনো সময় পেলে নাটকটা দেখার।
অপূর্বের নাটক আমার কাছে সব সময় অপূর্ব লাগে সেই খুবই আকর্ষণীয় নাটকগুলো করে। সব সময় আজ আপনি খুব সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করেছে এই নাটকটি এর আগে আমার এক কখনোই দেখা হয়নি। তবে কাহিনী পরিবেশ ভালো লাগলো দেখে নিতে হবে।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে নাটক রিভিউ শেয়ার করে থাকেন আপনার নাটক রিভিউ গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমি এখন আপনার এই নাটক রিভিউ দেখে দেখে মাঝে মাঝে নাটক দেখার চেষ্টা করি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জি ভাই আপনাদের সাথে সবসময় চেষ্টা করি নাটক রিভিউ। আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার একটি মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য।