🍁আসসালামুআলাইকুম🍁

---

আমার বাংলা ব্লগ

এর সকল সদস্যবৃন্দ, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালোই আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

---

আ ^{জকে আমি আবার আরেকটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেস্টুরেন্টে কাটানো কিছু মুহূর্ত এবং খাবার সম্পর্কে বলার চেষ্টা করবো। আশা করি আপনাদের কাছে পোস্টটি ভালো লাগবে। চলুন শুরু করা যাক।}

---

---

আজকে কলেজ শেষে বেরহয়েছিলাম বাজারের উদ্দেশ্য। বাজারে যাওয়ার কারণ ছিল কিছু পেপার কিনার জন্য আর কিছু ডকুমেন্ট ফটোস্ট্যাট করার জন্য। আমাদের কলেজটি থেকে বাজার খুব কাছেই। এজন্য যেতে বেশি সময়ও লাগেনা। এক বন্ধুকে নিয়ে বাজারের উদ্দেশ্য হেটেঁই রওয়ানা দিলাম। যাওয়ার পথে আমরা কথা বলতে বলতে বাজারের চলে আসলাম। বাজারে এসে প্রথমে আমার কিছু প্রয়োজনীয় কাজ ছিল তা শেষ করে নিলাম। আর আমি এর আগে এই বাজারে আসেনি। বলতে গেলে ফেনী শহরটা আমার কাছে নতুনই বলা যায়। এখানে এসে একটা বিষয় দেখলাম, সেটা হচ্ছে বাস ভাড়া বা অটো ভাড়া কম নেয়। বলতে গেলে প্রাপ্যটাই নেয়। তিনটাকার বাস ভাড়াও এখানে দেয়া যায়। অথচ আমাদের এখানে একটাকা চলেই না। তারউপর আবার ভাড়াও বেশি নেই।

ছবিঃ ^{বার্গার শপ।}

তো শুনেছিলাম এখানে বার্গার নাকি কম দামে পাওয়া যায়। তাই আমি আর আমার বন্ধু মিলে একটি বার্গার শপ একটি দোকানে গেলাম। দোকানটি দেখে ছোটই মনে হয়েছে। তবে দোকানটিতে শুধু বার্গারই পাওয়া যায়।

দোকানে প্রবেশ করে আমরা যেহেতু দুইজন গিয়েছিলাম। তাই দুইটা বার্গার অর্ডার করেছিলাম। ভিতরে এসে দেখলাম আমাদের মতো আরও কিছু ছাত্র এখানে বার্গার খেতে এসেছিল।

^{বন্ধুর সাথে}

তারপর আমরা বার্গার অর্ডার দিয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকলাম। বার্গার বানাতে একটু দেরী হয়। আর দোকানে মানুষ খেতেও আসে বেশি। দোকানটি মূলত ফেনী শহরের মেইন ফটকের কাছে। আমার জায়গার নামটি তেমন স্মরণ নেই। তবে বন্ধুকে জিজ্ঞেস করে জানতে পেরেছিলাম জায়গাটি ট্যাংক রোড দোয়েল চত্বরের পাশেই। আপনারা কখনো এখানে বার্গার খেতে আসলে ফেনী রেল লাইন থেকে পায়ে হেটেঁই আসতে পারবেন। আর যদি অটো দিয়ে আসেন তাহলে ভাড়া পাচঁ টাকা নিবে। বার্গার শপ বলেই চিনে বেশি মানুষ।

তো যায়হোক অবশেষে আমাদের বার্গার পরিবেশনের পালা। আমাদেরকে দুটি বার্গার সাথে এক পিস গ্রিলের টুকরো দিয়ে পরিবেশন করেছিল। আর বার্গারটা যা মজা লেগেছে!! বলতে এখনও আমার মুখে লেগে আছে। যদিও আমি আরও বার্গার খাওয়ার ইচ্ছে হয়েছিল। কিন্তু মানিব্যাগ সাথে নিয়ে আসিনাই তাই একটা করেই খেতে হয়েছিল।

^{বার্গার}

বার্গার খেয়ে মোটামুটি আমার পেট ভরে গিয়েছিল। আর ১০ টাকা দিয়ে এমন বার্গার আমি আগে কখনো খাইনি। সেই কিশোরগঞ্জ থাকা অবস্থায় ৪৫ টাকা দিয়ে বার্গার খেয়েছিলাম। এখানে এসে এতো মজার বার্গার খাবো ভাবতেও পারিনি। আর বার্গারটা মজাও হয়েছিল অনেক। কিন্তু দোকানের ডেকুরেশনটা আমার তেমন স্বাস্থ্যসম্মত মনে হয়নি। একটু অগোছালো বলা যায়। তবে খাবার ভালো লেগেছে। আমি বার্গারের রেটিং হিসেবে ১০/১০ দিতে চাই।

বিষয়	দশ টকার বার্গার।
ডিভাইস	oppo A12
ফটোগ্রাফার	@haideremtiaz
লোকেশন	w3w

তবে যায়হোক, আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আশা করি আজকে আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর যদি ফেনী আসেন কখনো অবশ্যই বার্গারের শপের বার্গার খেয়ে যাবেন।

ধন্যবাদ

---

---

আমি কে?

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কোকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যৎ এ প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চায়।