অবশেষে হাতে পেলাম
23-05-2023
০৯ জ্যৈষ্ঠ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
আমার মনে হয় প্রত্যেক মানুষই কোনো না কোনো খারাপ অভিজ্ঞতার সাক্ষী! সেই খারাপ অভিজ্ঞতাগুলো যেন আমাদের জীবনের একটা পার্ট। এখন কথা হলো আপনি যদি সেই খারাপ অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা না নেন, তাহলে অদূর ভবিষ্যৎ এ যে এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হবেন না তার কোনো সন্দেহ নেই। তাই খারাপ অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত। কেন বলছি এই কথা! আসলে এমন একটি অভিজ্ঞতা যে আমার সাথেই ঘটেছে।
যারা ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনা করেন তারা নিশ্চয় জানেন আমাদের বেশিরভাগ সময়ই ম্যাথ করতে হয়। ম্যাথ করতে হলে অবশ্যই তার সহায়ক হিসেবে আমরা ক্যালকুলেটর ইউজ করে থাকি। আমাদের ব্রেইন আসলে ছোটখাটো হিসাব ছাড়া তেমন জটিল হিসাব করতে পারে না। তাই আমাদের ক্যালকুলেটরের প্রয়োজনটা বেশি। তবে ইদানিং কালে দেখা যাচ্ছে, ক্লাস ফোর-ফাইভের বাচ্চাদের হাতে ক্যালকুলেটর! খুব সহজেই ম্যাথ সলিউশন করে ফেলছে। এতো তাড়াতাড়ি ক্যালকুলেটর ইউজ করাটা আমার মনে হয় না যে এটা ভালো হবে বাচ্চাদের জন্য। ব্রেইন তাহলে কঠিন চিন্তা করবে কিভাবে? ব্রেইনের সক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়ায় আমরা যখন জটিল কোনো ম্যাথ করি, সেটা গবেষণায়ও প্রমাণিত হয়েছে।
বর্তমানে যেহেতু তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তাই বাচ্চারা খুব তাড়াতাড়িই প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হতে পারছে। আমাদের সময় এতোকিছুও বুঝিনি যতটুকু এখানকার বাচ্চারা বুঝে থাকে। প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হওয়াটা স্বাভাবিক এবং সেটাকে পজিটিভলি নেয়ায় ভালো। তবে প্রযুক্তির ফলে আমরা যদি সেটাকে অপব্যবহার করি তাহলে সেটার প্রভাব আমাদের উপরই পড়বে। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
আমাদের যেহেতু জটিল ম্যাথ করতে হয় তাই সমাধান করতে হয় ক্যালকুলেটর দিয়ে। কিন্তু আমি বড় ভাইদের কাছ থেকে শুনেছিলাম ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাথ সলিউশন করার জন্য Fx-991EX মডেলের ক্যালকুলেটরটি ভালো। কিন্তু গাজীপুরে এমন ক্যালকুলেটর তখন স্টকে! কোনো দোকানেই ক্যালকুলেটর পেলাম না। কিছুদিন ফোনে ক্যালকুলেটরেী এপসটা নামিয়ে চালিয়েছি। কিন্তু যে কিরকম ম্যাথ সলিউশন হবে সেটা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন। বাধ্য হয়ে কিছুদিন পর কিনলাম Fx-991EX মডেলের কপি ভার্সন! আর সেটা কিনেই একদম বোকা হয়ে গেলাম।
আমাকে অবশ্য এক বড় ভাই বলেছিল যে কপি হলেও ক্যালকুলেটরটা ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। বড় ভাই যেহেতু আমাদের পূর্ব পরিচিত। তাই আর দেরি না করে ক্যালকুলেটরটা কিনে ফেলেছিলাম। আর তখনই আমি বোকা হয়ে গেলাম। ক্যালকুলেটরটি ছিল নন প্রোগ্রামেবল! সলভ ফাংশনের ম্যাথ সমাধান হয় না। গ্যারান্টি দিয়েছিল এক বছর। কিন্তু আমি যখন দোকানে যায় ক্যালকুলেটরটি পরিবর্তন করার জন্য তখন দোকানদারের আচরণ দেখে সত্যি বলতে খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম। ক্যালকুলেটরটি পরিবর্তন করে নতুন আরেকটি নিতে চেয়েছিলাম বেশি টাকা দিয়ে। কিন্তু না, দোকানদার দিবে না। কোনো উপায় না পেয়ে চলে এসেছিলাম।
কিছুদিন আগে আমার ফুফু বেড়াতে গিয়েছিল দুবাই! দীর্ঘ এক মাসের সফর! এখন যেহেতু সোস্যাল মিডিয়ার যুগ। যোগাযোগ ব্যবস্থাটাও সহজ। ফুফুর সাথে কথা হয়েছিল। আমি বলে দিয়েছিলাম আসার সময় যেন আমার জন্য FX-999EX মডেলের একটি ক্যালকুলেটর নিয়ে আসে। একটা মাসই ধৈর্য ধরে থাকতে হবে। ফুফুকে ক্যালকুলেটরের ছবি আগেই পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। শপিং করতে গেলে দেখেই যেন চিনতে পারে। গত ১২ তারিখে ফুফু ক্যালকুলেটরটি কিনে। দাম নিয়েছিল ৮৯ দিরহাম। যেটা বাংলাদেশি টাকায় ২৬০০.৩০ টাকার মতো! আর বাংলাদেশে এখন সেটার মূল্য ৫০০০ টাকা। সেই সাথে অরিজিনালটা পাওয়াটাও কঠিন।
তো আজকে ফুফু বাংলাদেশে আসলো। বিমানবন্দর থেকে আমার রিসিভ করার কথা ছিল। কিন্তু অসুস্থতার জন্য আর যাওয়া হয়নি। ফুফুর ছেলে ও মেয়ে এসেছিল এয়ারপোর্ট এ। যাওয়ার পথে ক্যালকুলেটরটি আমাকে এদিক দিয়ে গাজীপুরে এসে দিয়ে যায়। ক্যালকুলেটরটি পেয়ে ভালোই হলো। অবশেষে হাতে পেলাম!
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | w3w |
যাক, আজ এই পর্যন্তই। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ 🌼
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share link
অবশেষে তাহলে ক্যালকুলেটর টি আপনি হাতে পেলেন। প্রথমবারে তো বোকা হয়ে গিয়েছিলেন ক্যালকুলেটর কিনে। এক বছরের গ্যারেন্টি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু দোকানদারের ব্যবহার আপনাকে অনেক কষ্ট দিয়েছিল দেখে বুঝতে পারছি। পরে আপনার ফুফুকে বলেছিলেন বিদেশ থেকে আসার সময় নিয়ে আসতে। এক মাস অপেক্ষা করেছিলেন ক্যালকুলেটরের জন্য। অবশেষে আপনার হাতে ক্যালকুলেটরটি এসে পৌঁছেছে এটা দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। সম্পূর্ণটা খুবই সুন্দরভাবেই লিখেছেন দেখে এবং পড়ে ভালো লাগলো।
জি আপু! আসলেই বোকা হয়ে গিয়েছিলাম ক্যালকুলেটরটি কিনে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
আমিও ইউজ করি তবে কপিটাই। আমারো অরিজিনাল একটা লাগবে। তবে বাংলাদেশে ভরসা পাচ্ছিনা। দেখা যাবে আমার কাছ থেকে অরিজিনাল এর টাকা নিয়ে কপি পন্য ধরিয়ে দিয়েছে। যাক আশা করি এবার থেকে মন মত ম্যাথ সল্ভ করতে পারবেন। আর হ্যা বাচ্চাদের হাতে অনেক দ্রুতোই ক্যালকুলেটর তুলে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য অনেক ভুগতে হবে দেখিয়েন।
কপিটা কিনে একটা ধরা খেলাম, ব্যবহার করেও মজা পেলাম না ভাই। অরিজিনালটাতে সবকিছু সহজেই করা যায়।
আসলেই তথ্যপ্রযুক্তির যুগ হওয়াতে বাচ্চারা এখন খুব তারাতারি ই প্রযুক্তির সাথে যুক্ত হচ্ছে এবং এগুলো ব্যবহার করছে ৷ সহজ বিষয় গুলোতে ও এখন প্রযুক্তির ব্যবহার ৷ এটা আসলেই একটা খারাপ দিক ৷ যাই হোক অবশেষ অরিজিনাল ক্যালকুলেট হাতে পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ৷
জি ভাই। এখনকার বাচ্চারা এখন অনেক আপডেটেড। তবে বেশি প্রযুক্তির দিকে ঝুকে পরলেও সমস্যা।
আপনার ফুফু বিদেশ থেকে ক্যালকুলেটর এনেছে এবং এক মাস অপেক্ষা করার পর অবশেষে ক্যালকুলেটর হাতে পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আমরা যখন কোন কিছু কিনতে যাই তাদের ব্যবহার খুবই ভালো থাকে কিন্তু যখনই কোন সমস্যা হয় বা এটা পাল্টিয়ে নিতে যাবে তখন তাদের আসল রূপ চেনা যায়। যাইহোক পরে আপনার মনের মত একটি ক্যালকুলেটর পেয়েছেন সেটাই অনেক। আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ইলেকট্রনিজ ডিভাইস এজন্য যাচাই-বাছাই করে কেনায় ভালো। আমি তো একদম ধরা খেয়ে গেছিলাম। সাবধানে কিইনেন কিছু 😁
অবশেষে আপনি আপনার ক্যালকুলেটরটি হাতে পেয়েছেন এটা দেখেই ভীষণ ভালো লাগলো। প্রথমে তো কিনে ঠকে গিয়েছিলেন দোকানদার ও ফেরত নিতে চায়নি সেই ক্যালকুলেটর। যার কারনে আপনার কাছে অনেক খারাপ লেগেছিল। পরে আপনি আপনার ফুফুকে বলেছিলেন বিদেশ থেকে নিয়ে আসার সময় যেন আপনার জন্য এই ক্যালকুলেটরটি নিয়ে আসে। একমাস পরে তিনি আসার সময় আপনার জন্য নিয়ে এসেছিলেন অবশেষে হাতে পেয়েছিলেন ক্যালকুলেটর টি।
জি ভাইয়া। ক্যালকুলেটরটা খুব দরকার ছিল।