"রংবাজ" নাটক রিভিউ
12-10-2022
২৭ আশ্বিন ,১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? নিশ্চয় অনেক ভালো আছেন 🌼। আমি আপনাদের দোয়ায় সুস্থ্য আছি। কয়েকদিন হলো নতুন জায়গা, নতুন পরিবেশে আসলাম। কিছুতেই যেন মন এখানে ঠিকছে না। তিন মাস ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং করতে হবে। তিনদিন হলো বাড়ি থেকে এখানে আসলাম, কিন্তু মনে হচ্ছে তিনমাস ধরে বাড়িতে যাওয়া হয়না। যায়হোক, মনটাকে একটু ফ্রেশ রাখার জন্য একটি নাটক দেখেছিলাম। আর সেটি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো না, তা কি হয়! আজকে যে নাটকটি শেয়ার করবো সেটার নাম হচ্ছে রংবাজ। কিছুদিন হলো নাটকটি রিলিজ হয়েছে। নাটকটি দেখে মনে হলো আপনারা দেখলেও উপভোগ করতে পারবেন।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | রংবাজ । |
---|---|
প্রযোজনা ও পরিচালনা | বি ইউ শুভ । |
রচনা | রাজীব আহমেদ। |
অভিনয়ে | অপূর্ব, তানজিন তিশা, মিলি বাশার, অবাক, শাখাওয়াত মানিক সহ আরও অনেকে। |
দৈর্ঘ্য | ৪২ মিনিট ৪ সেকেন্ড। |
মুক্তির তারিখ | ৯ই ফেব্রুয়ারি , ২০২২ইং |
ধরন | রোমান্টিক , সামাজিক। |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
ফরহাদঃ
জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ।সেজুতিঃ
তানজিন তিশা।কাহিনী সারসংক্ষেপ
নাটকের শুরুতে দেখা যায়, কতিপয় কিছু লোক দুজন লোককে বেয়াদবির জন্য ধরে নিয়ে আসছে। তাদের ভুল হয়েছিল কেন তারা ভাইকে সালাম দেয় নি ! তাদের শাস্তি হিসেবে কান ধরে দাড়াঁ করিয়ে রাখে। ঠিক তখন দুটি মেয়ে রাস্তার পাশ দিয়ে হেটেঁ যাচ্ছিল। তারা দেখতে পায় দুজন লোককে কান ধরে দাড়ঁ করিয়ে রেখেছে। কি ভুল করেছে লোক দুটি। তখন পটলা নামের একজন বলে উঠে তাদের ভাইকে সালাম দেয় নি। তাই তাদেরকে কান ধরে দাড়ঁ করিয়ে রেখেছে। সেজুতি নামের একটি মেয়ে তখন বলে আপনাদের ভাইকে যদি আমি সালাম না দেয় তাহলে কি আমাকেও কান ধরে দাড়ঁ করিয়ে রাখবে। তাদের ভাই আবার মেয়েদেরকে যথেষ্ট সম্মান করে। সেজুতি ভাইয়ের কাছে গিয়ে সালাম দেয়। ঠিক তখন তাদের ভাই সেঁজুতিকে দেখে অবাক হয়ে যায়। সেজুতিকে ভালো লেগে যায়। সেঁজুতি বলে দুজন লোককে ছেড়ে দিতে। তখন লোক দুটিকে ছেড়ে দেয়।
নাটকে ভাই হিসেবে যাকে দেখানো হয়েছে তার নাম ফরহাদ। ভালো পরিবারের ছেলে। কিন্তু সমাজের ব্যবস্থা তার মোটেও পছন্দ না। ছেলে মাকে দেখতে পারে না এই নিয়ে সবসময় সোচ্চার। মোটকথা, অন্যায় যেখানে আছে ফরহাদ সেখানে। এটার জন্য সমাজ তাকে নাম দিয়েছে রংবাজ। সারাদিন শুধু রংবাজি করে বেড়ায়। অন্যদিকে সেজুতি মধ্যবিত্ত ঘরের একটি মেয়ে। বাবা মারা গেছে ছোটবেলায়। ছোটবেলা থেকে অনেক কষ্টে পড়াশোনা করে বড় হয়েছে। সেজুতি বড় হয়েছে। সেজুতির মা তার জন্য ছেলে দেখেছে বিয়ে দেয়ার জন্য। মায়ের কথার অবাধ্য হয়নি সে কখনো। মা যেভাবে বলেছে সে ছোটবেলা থেকে সেভাবেই বেড়ে উঠেছে। এদিকে ফরহাদ সেজুতির বাসার সামনে দাড়িয়ে থাকে। সেজুতির বাসায় ফুল পাঠায়। সেজুতি ভেবে নেয় ফরহাদ পাড়ার ছেলেদের সাথে থেকে খারাপ হয়ে গেছে।
কিছুদিন পর ফরহাদ জানতে পারে সেজুতির এঙ্গেজমেন্ট হয়ে গেছে । খুব শীঘ্রই সেজুতির বিয়ে হয়ে যাবে। এটা নিয়ে ফরহাদের অনেক মন খারাপ। কিন্তু কি আর করার। যার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে তাকে আর পাওয়া হলো না। কিন্তু হঠাৎ একদিন ফরহাদ দেখতে পায়, সেজুতি খুব দ্রুত হেটেঁ যাচ্ছে। তারপর ফরহাদের সাথে সেজুতির দেখা । সেজুতি তার মায়ের জন্য ঔষধ আনতে যাচ্ছিল। তার মায়ের হঠাৎ করে হাই প্রেসার হয়ে যায়। ফরহাদ তখন সেজুতিকে বাসায় চলে যেতে বলে। সে ঔষধ নিয়ে বাসায় দিয়ে যাবে। ফরহাদ ঔষধ নিয়ে বাসায় গেলে সেজুতির মায়ের সাথে কথা হয়। সেজুতির মায়ের সাথে কথা বলে জানতে পারে, সেজুতির বিয়েটা ভেঙে গেছে। বর পক্ষ থেকে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেছিল। না দিতে পারলে বিয়ে হবে না। এই নিয়ে সেজুতির মা খুব টেনশনে আছে। তার মেয়ে কখনো অবাধ্য হয়নি। কিন্তু হঠাৎ করেই বিয়েটা ভেঙে গেল।
ফরহাদ সেজুতির মায়ের কাছ থেকে ঠিকানা নেয়। তারপর ফরহাদ ছেলেটিকে হুমকি দেয়, কখনো সেজুতির পরিবারের কাছ থেকে টাকা দাবি করলে খবর আছে। ছেলেটি ভয়ে আর রাজি হয়নি টাকা চাইতে । তারপর ছেলেটি সেজুতিকে বিয়ে করতে রাজি হয়। কিন্তু সেজুতি জানতে পারে, ছেলেটি ফরহাদের জন্য তার বিয়েতে রাজি হয়েছে। নইলে বিয়ে করতো না। সেজুতি বুঝতে পারে রংবাজ ছেলেটাই তার আপনজন। সেজুতি ফরহাদের কাছে ছুটে যায়। সেজুতি ফরহাদকে ধন্যবাদ দেয় এবং তার মায়ের সাথে দেখা করতে বলে। ফরহাদ তখন বুঝতে পারে, সেজুতি তাকে ভালোবাসার টানে ছুটে এসেছে। আর সেখানেই নাটকের সমাপ্তি ঘটে।
ব্যক্তিগত মতামত
নাটকটি আমার কাছে ভালো লেগেছে। নাটকের গল্পটি ভালোই ছিল। আমাদের সমাজ ব্যবস্থার কিছু চিত্র নাটকটিতে উঠে এসেছে। উঠে এসেছে সত্যিকারের ভালোবাসার দৃষ্টান্ত। যেখানো কোনো স্বার্থ ছিল না। পরিচালক খুব সুন্দর করে নাটকটি পরিচালনা করেছেন। সেই সাথে অপূর্ব ও তানজিন তিশা বরাবরই সেরা অভিনয় করে। রংবাজ ছেলে হিসেবে অপূর্বের অভিনয় দেখার মতো ছিল।
ব্যক্তিগত রেটিং
নাটকটির লিংক
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
জি ভাইয়া নাটকটি দেখে আশা করি উপভোগ করতে পেরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
Link
আপনার রিভিউ করা নাটকটি কখনো দেখিনি।
তবে আপনার রিভিউ করে নাটকটির সম্পূর্ণ প্রসেস বুঝতে পারলাম । কিছু জিনিস পেতে হলে রংবাজি করতে হয় এটাই হয়তো নিয়ম।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া
জি আপনি একদম মূল জিনিসটাই ধরতে পেরেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।