বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ার || বাংলাদেশ বনাম মালদ্বীপ
19-10-2023
০৪ কার্তিক, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো আপনারা যারা খেলা প্রেমী মানুষ আছেন তারা নিশ্চয় জানেন ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলছে। তবে অনেকেই জানে না যে, বাংলাদেশের ফুটবল টিমেরও যে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব হচ্ছে। আসলে বাংলাদেশ ক্রিকেটে যতটা উন্নত ফুটবলে এখনও ততটা হয়নি। কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের ফুটবলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এখনও হয়নি ভালো করে। অন্যান্য দেশগুলো যেখানে সবদিক দিয়ে পারফেক্ট! বাংলাদেশকে মূলত পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলো ক্রিকেট দিয়েই চিনে থাকে। ক্রিকেটে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে বলতেই হয়। তবে শুধু যে ক্রিকেটে এগিয়ে যাবে এমনটা নয়, আমরা চাই একজন বাংলাদেশী হিসেবে ফুটবলেও এগিয়ে যাক।
তো গত ১৭ ই অক্টোবর, বাংলাদেশ বনাম মালদ্বীপের মধ্যকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ ছিল। বাংলাদেশ বসুন্ধরা কিংস এরিনা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয় বিকালে। মাঠে গ্যালারিভর্তি মানুষ ছিল। আসলে বাংলাদেশে ফুটবল টিমের সব প্লেয়ারের নামও জানা নেই। তবে জামাল ভইঞা আর গোলকিপার জিকোর নাম শুনেছি। এটা আসলে নিজের কাছেই লজ্জার বিষয়। যেখানে একটি ফুটবল টিম আমাদের দেশকে লিড দিচ্ছে। ত যায়হোক, বাংলাদেশ টিম শুরুতেই এটাকিং মোডে খেলতে শুরু করে। ছোট ছোট পাসে মাধ্যমে কয়েকবার বিপক্ষ দলের ডিবক্সের ভিতরে প্রবেশ করে গোল দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ম্যাচের ১১ মিনিটে রাকিব হোসেনের শটে প্রথম গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। ১-০ তে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
তবে ৩৬ মিনিটের মাথায় এসে গোলের দেখা পায় মালদ্বীপ। আইসামের শটে গোল হয়ে ১-১ সমতায় ফিরে মালদ্বীপ। প্রথমার্ধ শেষ ১-১ গোল দিয়ে। তারপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। ৪৬ মিনিটের মাথায় মিডফিল্ডার ফাহিম গোল করে বসে। ২-১ এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। তারপর থেকে বাংলাদেশ দেখেশুনে খেলতে থাকে। তবে জামাল ভূঁইয়া একটি সহজ সুযোগ মিস করে। পায়ে টাচ করে লাগিয়ে দিলেই গোলটি হয়ে যেত। তবে মালদ্বীপ কাউন্টার এটাকে খেলতে থাকে। তখন মালদ্বীপের এক প্লেয়ারকে ফাউল করে বসে। রেফারি সোজা লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে তুলে দেয় মোঃ রানাকে। তখন একটু কঠিন মোমেন্টে ছিল বাংলাদেশ। ১০ প্লেয়ার নিয়ে খেলতে থাকে বাংলাদেশ।
ম্যাচের ৬০ মিনিটের মাথায় ইয়ালো কার্ড পায় রাকিব হোসেন। বাংলাদেশ মোটামোটি তখন কয়েকটা ফাউল করে বসে। কিন্তু মালদ্বীপ কিছু সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। খেলার ৯০ মিনিট শেষে স্কোরবোর্ডে তখন ২-১ এ বাংলাদেশ এগিয়ে। তারপর ৯৪ মিনিটের মাথায় বাংলাদেশের এক প্লেয়ারকে ফাউল করে ডিফেন্ডার রাশেদ। তারপর দুটিমই ১০ প্লেয়ার নিয়ে খেলে। অবশেষে বাংলাদেশ ২-১ এ জয় তুলে নেয়। আসলে বাংলাদেশের খেলাটা দেখে ভালোই লাগছিল। এভাবে খেলতে থাকলে আশাকরি ফুটবল বিশ্বকাপে আমাদের দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবে বাংলাদেশ ফুটবল টিম।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share link