"স্নেক গেম" নাটক রিভিউ

নাটকের শুরুতে দেখা যায়, ফারহান তার চাচার সাথে মিটিং করছে! ফারহানের বাবা হঠাৎ করে মারা গিয়েছে! বাবার প্রপারটির সব দায়িত্ব এসে পড়ে ফারহানের কাছে! ফারহান আমেরিকা থেকে পড়াশোনা শেষ করে দেশে এসেছে বাবার প্রপারটি দেখাশোনা করার জন্য! বাবা মারা যাওয়ার পর ফারহানের চাচা এতোদিন তাদের কোম্পানি দেখাশোনা করেছে! এখন ফারহান দেখাশোনা করবে! ফারহান তার বাবার চেয়ারে বসবে! ফারহানের বাবা মারা যাওয়ার পর অনেক কোম্পানি ফারহানদের কোম্পানির সাথে বিজনেস করতে রাজি নই! এ নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিল ফারহানের চাচা! বন্ড কোম্পানি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ফারহানদের সাথে বিজনেস করছে! এতোদিনের বিজনেসের সম্পর্কটা তো নষ্ট হওয়া দেয়া যায় না!

বন্ড কোম্পানির এমডির সাথে মিটিং করে ফারহান! মিটিং এর পর ফারহানের আত্নবিশ্বাস দেখে বন্ড কোম্পানি বিজনেস করতে রাজি হয়! ফারহানের চাচাও এতে খুশি হয়! ইতোমধ্যে ফারহানের একজন সহকারী পিএস দরকার ছিল! ফারহানের চাচা আগেই একজনকে বলে রেখেছিল! নাম তার লিভেরো! ফারহান লিভেরোর ইন্টার্ভিউ নেই! ফাইনালি লিভেরোকে সিলেক্ট করে পিএস হিসেবে! ফারহানের বাবা মারা যাওয়ার পর ফারহান একা হয়ে যায়! বিশাল সম্পত্তির উত্তরাধিকার এখন ফারহান! কিন্তু ফারহানের চাচা চাই সব সম্পত্তির মালিক হতে!! ফারহানের বাবার চেয়ারটাই বসতে! চাচা লিভেরোকে নিয়ে প্লেন করে, ফারহানকে মেরে ফেলার জন্য! কিছুদিন পর ফারহান বাহিরে ঘুরতে যাবে সিদ্ধান্ত নেয়! আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাই ফারহানের চাচা!

ফারহানের গাড়িতে বোম সেট করে দেয়! গাড়ি ব্লাস্ট হয়ে ফারহান মারা যায়! সবাই ভেবেও নিয়েছিল ফারহান মারা গেছে! ফারহানের চাচা এখন সব সম্পত্তির মালিক! চাচা বেশ খুশি হয় ফারহান মারা গেছে তাই! কিন্তু কিছুদিন পর, নীলা নামে এক মেয়ে ফারহানের চাচার কাছে আসে। এসে পরিচয় দেয়, সে মেয়েটি ফারহানের স্ত্রী! আমেরিকা থাকতে তারা দুজন বিয়ে করেছে। তাদের বিয়ের কথা কেউ জানেনি! চাচার মাথায় হাত! এখন সম্পত্তির মধ্যে ভাগ বসাতে চলে আসে ফারহানের স্ত্রী! চাচা সিদ্ধান্ত নেয় মেয়েটাকে মেরে ফেলবে! অবশেষে মেয়েটিকেও ফারহানের চাচা মেরে ফেলে! চাচার পথের কাটাঁ আর কেউ রইল না। এখন সব সম্পত্তির মালিক ফারহানের চাচা! চাচার স্বপ্ন ছিল সিইও চেয়ারটাতে বসার। যেখানে তার বড় ভাই অর্থাৎ ফারহানের বাবা বসতো!

লিভেরোর কাজ শেষ! তার চাচা নিয়োগ দিয়েছিল ফারহানের সব খবর রাখতে! চাচা যখন সিইও চেয়ারে বসবে তখন লিভেরোকে বলেছিল কোম্পানির ৫% শেয়ার তাকে দিবে! কিন্তু ফারহানের চাচা কিছুই দিবে না। সব একা ভোগ করবে! তারপরের দিন ফারহানের চাচা সিইও চেয়ারটাতে বসতে যায়! ঠিক তখন অবাক হয় চাচা! ফারহান চেয়ারে বসে আছে! ফারহান তাহলে মারা যায় নি! তারপরই উঠে আসে আসল ঘটনা!! ফারহান জানতো তার পাশে অনেক বিষধর সাপ আছে। আর সে সাপগুলো সবসময় থাকিয়ে ছিল কখন ফারহান মারা যাবে! আর সেই প্লেনটাই করে লিভেরোকে দিয়ে! লিভেরো ফারহানের ভালোবাসার একজন মানুষ। তারা দুজন একসাথে আমেরিকাতে পড়াশোনা করেছে! অবশেষে ফারহানের চাচাকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়া হয়! আর ফারহান লিভেরোর মাঝে ভালোবাসার সম্পর্কটা মজবুত হয় বিয়ের মাধ্যমে। সেখানেই নাটকের সমাপ্তি ঘটে!

আমার কাছে নাটকটি দেখে মনে হয়েছিল কোনো মুভি দেখছি! নাটকের প্লট দেখেই বুঝে যাবে কি হতে চলেছে! এটা বলবো আমি নাটকের উইক জোন! এছাড়াও কোরিওগ্রাফি এতোটাও ভালো ছিল না! তবে তাসনিয়া ফারিনের অভিনয়ের প্রশংসা করতেই হয়! লিভেরো চরিত্রটি একদম ফুটিয়ে তুলেছে তাসনিয়া ফারিন। বরাবরের মতো অপূর্ব চমৎকার অভিনয় করেছে! আর পরিচালক সাহেব দর্শকদের কথা বিবেচনা করেই নাটকটি নির্মিত করেছে। তবে নাটকের স্টরিটা আরও স্ট্রং হওয়া দরকার ছিল!