মি. কুল নাটক রিভিউ
03-09-2022
১৯ ভাদ্র ,১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমি আছি আলহামদুলিল্লাহ তবে পরীক্ষা চলছে এজন্য প্রেসারটাও যাচ্ছে মাথার উপর দিয়ে। তবে চেষ্টা করে যাচ্ছি পোস্ট লিখে যাওয়ার। যায়হোক, আজকে বিকালে একটি নাটক দেখেছিলাম আর সেটি তখনই লিখে ফেলেছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। নাটকটির নাম হচ্ছে মি. কুল। সম্প্রতি নাটকটি মুক্তি পেয়েছে। দেখে ভালোই লেগেছিল। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | মি. কুল । |
---|---|
রচনা | অনামিকা মন্ডল |
পরিচালনা | মেহেদী হাসান জনি। |
অভিনয়ে | জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তাসনিয়া ফারিন, শামীমা নাজনীন, ফামির আহমেদ, আফরোজা মিমি, ইমা আক্তার সানজিদা তামান্না সহ আরও অনেকে। |
দৈর্ঘ্য | ৪০ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। |
মুক্তির তারিখ | ২৫ ই আগস্ট, ২০২২ইং |
ধরন | কাল্পনিক, রোমান্টিক |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
রাজীবঃ
জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ।সিফাঃ
তাসনিয়া ফারিন ।কাহিনী সারসংক্ষেপ
নাটকের শুরুতে দেখা যায়, রেস্টুরেন্ট এ একজন অচেনা ছেলের সাথে পরিচয় হয় সিফার। সিফার দিকে খারাপ অঙ্গভঙ্গিমা দেখাচ্ছিল। এজন্য সিফা গিয়ে ছেলেকে বলে তার দিকে তাকিয়ে এমন দেখাচ্ছে কেন? ছেলেটি তখন বলে তাকে উদ্দেশ্য করে তেমন কিছু করেনি। তার দাতেঁর ব্যাথার জন্য এমন হয়েছিল। দাতেঁর প্রেসক্রিপশন দেখিয়েছিল সিফাকে কিন্তু সিফা তবুও বিশ্বাস করেনি। ভেবেছিল ছেলেটি হয়তো তাকে টিজ করতেছে। যায়হোক, রেস্টুরেন্ট এ আর কথা বাড়ালো না।
ছেলেটির নাম রাজীব। ঢাকা শহরে বড় আর ভাবীর সাথে একটি নতুন বাসায় উঠেছে। এজন্য আজ বাসার মালপত্র নিতেছিল। ঠিক তখন ঘটে আরেক ঘটনা। সেই সময় একটি উড়না এসে পড়ে রাজীবের মুখে। আর তখন রাজীবের শরীরে কাক পটি করে দেয়। আর রাজীব সেটা দিয়েই মুছে ফেলে। ঠিক তখন সিফা উপর থেকে নিচে আসছিল তার উড়না নেয়ার জন্য। এসে যখন দেখে তার উড়না দিয়ে কাকের পটি মুছে ফেলেছে রাগে তখন আগুন সিফা। ঠিক তখন কাক আবার সিফার শরীরে পটি করে দেয়। সিফা তার উড়না দিয়েই মুঋে ফেলে।
সিফা এ বাসার বাড়িওয়ালার মেয়ে। সিফা গিয়ে তার মাকে বলে যে বাসায় ব্যাচেলর তুলেছে কেন? সিফার মা তখন বলে ব্যাচেলর তুলেনি তবে নতুন এক দম্পতি উঠেছে। বলেছিল তিনজন থাকবে। তার মধ্যে রাজীব ব্যাচেলর। এটা শুনে সিফার মা আরও টেনশনে পরে যায়। সিফার মা কোনোভাবেই ব্যাচেলর ছেলেদের বিশ্বাস করতে চায়না। সিফার মা রাজীবের রুমে যায়। গিয়ে রাজীব সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানতে চায়। রাজীব সিফার মাকে আশ্বাস দেয়, সে এমন কোনো কাজ করবে না যেটা তাদের জন্য অমঙ্গলকর। তবে সিফার মা কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারেনা।
ঠিক কিছুদিন পর সিফার মা বশীর সাহেবের বাসায় যাওয়ার সময় মাথা ঘুরিয়ে পরে যায়। রাজীব তখন তাকে বাসায় নিয়ে আসে। তাদের বাড়ির কেয়ারটেকার আনিস তখন সবকিছু খুলে বলে। আনিস বুঝেছিল সে কেন এত টেনশন করছে। তারপর রাজীব আনিসকে বলেছিল যে সে আর এ বাসায় থাকবে না, সামনে মাসে চলে যাবে। এটা শুনে সিফার মা কিছুটা নিশ্চিত হয়। এদিকে রাজীব যে বাসায় টিউশনি করাতো সে বাসার মেয়ের বড় আপু রাজীবকে ভালোবেসে ফেলে। কিন্তু রাজীব সেটা কোনোভাবেই একসেপ্ট করতে পারবেনা। রাজীব মেয়েটি বুঝাচ্ছিল ঠিক তখন সিফা আর তার বান্ধবী একসাথে হেটেঁ যাচ্ছিল। তারপর রাজীব সিফাকে এনে বলে যে সিফা হলো তার গার্লফ্রেন্ড। তার সাথে এনগেজ অনেক আগে থেকে। মেয়েটি চলে যাবার পর রাজীব সিফার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেই এই বিষয়টার জন্য। কিন্তু সিফা কমা করবে যদি থাকে রেস্টুরেন্ট এ নিয়ে ট্রিট দেয়। ঠিক সে সিফার মা নিচে চলে আসে। রাজীব কোনেরকম কোনোরকম পাশ কাটিয়ে সেখান থেকে চলে আসে। সিফা তার মাকে নিয়ে বাসায় চলে আসে। কিন্তু সিফার মায়ের টেনশন যেন আরও বেড়ে গেল। এখন মাসের ১৪ তারিখ। আরও ১৫ দিন পর বাসা ছাড়বে রাজীব।
সিফা রাজীবকে ভালোবেসে ফেলে । কিন্তু রাজীব সেটা চায়না কারণ যে কয়টা দিণ এ বাসায় থাকবে সিফার মায়ের চোখে যেন খারাপ হতে নয় হয় সেটাই করবে। এদিকে সিফার মা এর বড় ভাই তাদের বাসায় এসে। বাসায় এসে রাজীবের সাথে দেখা। রাজীব সিফার মা এর বড় ভাইয়ের বাসায় আগে থাকতো। সেখানে তার মেয়ে তমাকে টিউশনি করাতো। কিন্তু তমা রাজীবকে পছন্দ করে ফেলে। তারপর রাজীব বাধ্য হয়েই ঐ বাসা ছেড়েছে সিফাদের বাসায় উঠেছে। সিফার মা বেশ খুশি হয় তা শুনে। সিফার জন্য রাজীবকে পারফেক্ট মানাবে যেমনটা তার ভাই বলেছিল। রাজীব তখন পানির বিলটা দিয়ে বাসায় চলে যায়। এদিকে সিফা সব কথা বলে দেয় রাজীবকে। রাজীবও সিফাকে পছন্দ করে। তাদের বিয়ে দিবে এমনটাই বলে সিফার মা। এজন্য তার ভাইয়া আর ভাবীকে আসতে বলে। সিফা আর রাজীব পরস্পরকে ভালোবেসে এবং ফাইনালি বিয়ে করবে। আর তখন নাটকের সমাপ্তি ঘটে।
ব্যক্তিগত মতামত
নাটকটি আমার কাছে ভালোই লেগেছে। প্রথমদিকে মনে হচ্ছিল ঢাকা শহরে বাড়িওয়ালাদের এমন আচরণ যেকোন ব্যাচেলরদের জন্য কষ্টের। কুল বয় রাজীব ফাইনালি বাড়িওয়ালার মন জয় করতে পেরেছে তার আচরণের মাধ্যমে। পরিচালক খুব সুন্দর করে বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন। অপূর্ব ও ফারিন ভালো অভিনয় করেছে। সবমিলিয়ে নাটকটি ভালোই লেগেছে।
ব্যক্তিগত রেটিং
নাটকটির লিংক
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Link
ফারিন ও জিয়াউল ফারুক অপূর্বের অভিনয়ের দক্ষতা নিয়ে কিছু বলার নেই। যাইহোক এই নাটকটি বেশি ইন্টারেস্টিং লেগেছে দেখে নেবো সময় করে।
জি নাটকটি ভালোই ছিল, দেখতে পারেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
পরীক্ষার প্যারায় তো আমিও আছি ভাই কবে যে শেষ হবে এই প্যারা। বাংলা নাটক খুব একটা দেখি না এখন সেই ঘুরে ফিরে ঐ প্রেমকাহিনীতে গিয়ে থামে। তবে এই নাটকটা একটু আলাদা লাগল। সত্যি ঢাকা শহরের বাড়িওয়ালা রা ব্যাচেলরদের সঙ্গে যে ব্যবহার করে মেজাজ ঠিক রাখাই কঠিন।। ভালো ছিল রিভিউ টা।।
পরীক্ষার চাপে জীবন শেষ 😐
আপনার জন্য শুভকামনা রইল, ভালো করে পরীক্ষা দিন
কুল নাটকে আমি কিছুদিন আগে দেখেছিলাম আমার কাছে এই নাটকটি দেখার পরে মনে হয়েছিল অনেক রোমান্টিক একটি নাটক। বিশেষ করে নাটকে নায়ক এবং নায়কার অভিনয় আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে ছিল।
হুমম ভালোই ছিল নাটকটি । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হুমম শেষের হ্যাপি মোমেন্টটা ভালো ছিল, দেখলে আপনিও উপভোগ করতে পারবেন। ধন্যবাদ চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনার দেওয়া মি. কুল নাটক রিভিউ দেখে আমার এখন নাটকটি দেখতে ইচ্ছে করছে। কমেন্ট করা শেষ হলে আমি নাটকটি দেখবো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া এতো সুন্দর একটা নাটক আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
জি নাটকটি উপভোগ করার মতো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।