নাটক রিভিউঃ 'সালিশ'
17-11-2023
০৩ অগ্রহায়ণ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ? আশা করছি সবাই আপনারা খুবই ভালো আছেন । আজকে সকাল থেকেই রোদের দেখা পেলাম না ।সকালে আবার গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে । আর বিকালবেলা এখন অনেক বাতাস বইছে । নিউজে দেখতে পেলাম কয়েক জায়গায় ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে । আসলে শীতের সময় এরকম বৃষ্টি অনাকাঙ্ক্ষিত । তবে সব মিলিয়েই তো আমাদের চলতে হবে । যাইহোক ,আজকে চলে এলাম আপনাদের মাঝে একটি নাটক নিয়ে । আসলে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আমি চেষ্টা করি আপনাদের সাথে একটি নাটক শেয়ার করার । তো আজকের যে নাটকটি শেয়ার করব সেটির নাম হচ্ছে সালিশ । আশা করছি নাটকটি আপনাদের ভালই লাগবে ।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | সালিশ । |
---|---|
চিত্রনাট্য ও পরিচালনা | রুবেল আনুশ। |
প্রযোজক | সাইফুল ইসলাম । |
অভিনয়ে | ফজলুর রহমান বাবু, পার্থ শেখ, নওবা হোসাইন, স্বপ্না শামীম সহ আরও অনেকে। |
দৈর্ঘ্য | ৩৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। |
আবহ সংগীত | প্রত্যয় খান । |
মুক্তির তারিখ | ১১ই নভেম্বর, ২০২৩ইং |
ধরন | সামাজিক, রোমান্টিক, ড্রামা । |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
মোহনঃ
পার্থ শেখ ।আয়েশাঃ
নওবা হোসাইন ।কাহিনী সারসংক্ষেপ
নাটকের শুরুতে দেখা যায়, মোহন গ্রামের সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে রতন চাচার বাড়িতে টিভি দেখার জন্য। প্রতি শুক্রবার হলেই গ্রামে সবাই চলে যায় রতন চাচার বাড়িতে টিভি দেখার জন্য। সেখানে টিভি দেখতে আসে আয়েশা, মোহন তাকে ভালোবাসে। টিভি দেখতে আসলে আগেই তার সিট রেখে দেয় বসার জন্য। আয়েশা টিভিতে ছবি দেখে কেদেঁ দেয়, একটু বেশি ইমোশনাল সে। ঠিক মোহনও তার কান্নাভেজা চোখ দেখে কেঁদে দেয়! আয়েশা মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে! অনেক আগেই তার বাবাকে হারিয়েছে। মায়ের আদরেই সে বড় হয়েছে। অন্যদিকে মোহন গ্রামের মাধবরের ছেলে। গ্রামের যত বিচার হয় সব তার বাবা করে থাকে। কিছুদিন পর এলাকার কয়েকজন মানুষ নালিশ নিয়ে মোহনের বাবার কাছে। রতন চাচার টিভির কারণে ছেলে মেয়েদের মাঝে নাকি প্রেম পিরিতি বেড়ে চলেছে। মাধবর সাহেবও বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি।
রতনকে ডেকে আনা হয় মাধবর সাহেবের বাড়িতে! গ্রামে কারো বাড়িতে টিভি নাই কিন্তু রতন চাচার বাড়িতে টিভি কেন? রতন চাচা বলে, পরিবারের সবাই একসাথে টিভি দেখতে পছন্দ করে। এখন তার বাড়িতে যদি গ্রামের মানুষও টিভি দেখতে আসে তাহলে কি গাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে পারবে! মাধবর সাহেব বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি! রতন চাচা এই কথা বলে চলে আসে। এদিকে আয়েশা ও মোহনের ভালোবাসার সম্পর্কটা আরও গভীর হতে থাকে। তাদের ভালোবাসার সম্পর্কটা বুঝতে পারে আজগর! আজগর সোজা গিয়ে মাধবরের কাছে বিচার দেয়! দিনদুপুরে গ্রামে তারা প্রেম পিরিতি করে বেড়াচ্ছে। মাধবর রেগে যায় শুনে। এদিকে আজগর আয়েশার মাকেও গিয়ে বলে গ্রামে তার মেয়ে দিনদুপুরে অকাজ করছে। আয়েশার মা মোটোও তা সহ্য করতে পারেনি। আয়েশার মা আয়েশাকে বুঝায়! মাধবররা বড়লোক, তাদের স্বার্থ হাসিল হয়ে গেলে ভুলে যাবে।
তারপর থেকে মোহন আয়েশার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলেও আয়েশা করে না। শুক্রবারের টিভির আসরেও আয়েশা আসে না। আয়েশার বাড়িতে চলে যায় মোহন। কিন্তু আয়েশা কথা বলে না। এদিকে মাধবর সাহেব আবার শুনতে পারে রতন চাচা টিভির আসর বসিয়েছে। মাধবর সাহেব রতন চাচার বাড়িতে গিয়ে টিভিটা ভেঙে ফেলে। আয়েশা মোহনের সাথে দেখা না করাতে মোহন অনেক অস্থিরতা অনুভব করে। তার সাথে কথা না বলে থাকতে অনেক কষ্ট হয় মোহনের। একদিন রাতে আয়েশার সাথে দেখা করে মোহন। মোহন তার মনের সব কথা খুলে বলে। ঠিক তখনই আজগর সেটা দেখে ফেলে। তারপরে গ্রামে এটা নিয়ে বিচার বসে। আর তারপর কি হয়েছিল দেখতে নাটকটি দেখতে হবে আপনাকে!
ব্যক্তিগত মতামত
ব্যক্তিগতভাবে নাটকের গল্পটি আসলে আমার কাছে ভালো লেগেছে। সমাজের কিছু বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। উচ্চবিত্তরা সমাজে কিভাবে ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে চলছে সেটি স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে নাটকটিতে। আসলে ভালোবাসায় উচ্চবিত্ত অথবা গরিব এসব দেখে হয় না। ভালোবাসা ব্যপারটাই অন্যরকম। ফজলুর রহমান বাবু স্যারের অভিনয় নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তাছাড়া নবাগত দুজন শিল্পী ভালো অভিনয় করেছে।
ব্যক্তিগত রেটিং
নাটকটির লিংক
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
মাঝেমধ্যে নাটক দেখতে ভালই লাগে আমার কাছে। তবে সময়ের অভাবে অনেক সময় নাটক দেখা হয় না। সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ দিয়েছেন আপনি। পুরো নাটকের রিভিউ পড়ে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। সময় করে নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সুযোগ পেলেই আমি নাটক দেখি।আমাদের দেশের নাটকগুলো এতো ভালো হয় বলার মতো নয়।আর ফজলুর রহমান বাবুর নাটক নিয়ে বলার কিছুই নেই।নাটকটি বাস্তবধর্মী বললেন।আসলে এ ধরনের নাটকগুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি ঠিক বলেছেন ভালোবাসা উচ্চবিত্ত নিম্নবিত্ত কিছু মানে না।সুন্দর আর বাস্তবতা সমৃদ্ধ নাটকটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
নাটক রিভিউ পড়ে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া। নাটক টি দেখতে মনে হয় ভীষণ ভালো লাগবে। সময় পেলে অবশ্যই নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বাংলা নাটক গুলো দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার শালিস নাটকের রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো।এই নাটকটি এখনো আমি দেখি নাই। তবে চেষ্টা করবো সময় পেলে নাটকটি দেখার।আপনার দারুণ ভাবে নাটকটির রিভিউ উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আপনি আমাদের মাঝে নাটক রিভিউ শেয়ার করার চেষ্টা করেন, এই বিষয়টা খুব পছন্দের আমার। আপনি অনেক সুন্দর করে সালিশ নাটকটার রিভিউ করেছেন। আসলে ভালোবাসা কোন কিছুই মানে না। আর তা উচ্চবিত্ত হোক বা গরিব হোক। ভালোবাসা এসব কিছু দিয়ে বিবেচনা করা হয় না। ভালোবাসা মন থেকে হয়। আপনি এত সুন্দর করে নাটকটার সম্পূর্ণ কাহিনী রিভিউর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু চমৎকার একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ☘️
আপনি চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া।নাটকটির কাহিনী অনেকটা ভালো লেগেছে আমার।সময় করে দেখে নিব নাটকটি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু চমৎকার একটি মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য ☘️