টান টান উত্তেজনাকর ম্যাচে ভারতের জয়
25-10-2023
১০ কার্তিক , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো যায়হোক, যারা নিয়মিত খেলাধুলা দেখেন তারা নিশ্চয় জানেন ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলছে। আজকে চলে এলাম বিশ্বকাপের ২১ তম ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করার জন্য। ২১ তম ম্যাচটি ছিল ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড এর মধ্যকার। এবারের বিশ্বকাপে দুটিমই এখন পর্যন্ত কোনো খেলাই হারেনি। সে হিসেবে ধরেই নিয়েছিলাম দুদলের ম্যাচটি উত্তেজনাকর হবে। গত ২২শে অক্টোবর ম্যাচটি শুরু হয়। ভারতের একাদশে সেদিন কয়েকজন প্লেয়ারকে ইন করা হয়। পেস বোলার মোহাম্মদ সামি ও সুরিয়াকুমার যাদবকে দলে নেয়া হয়। টসে জিতে রুহিত শর্মা বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। ভারতের রান চেস করে জেতার ক্যাপাবিলিটিটা বেশি। সে হিসেবে টস একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্ট ছিল।
ম্যাচের শুরুতে ব্যাটিং এ নামে কনওয়ে ও ইয়াং। শুরুতে দেখেশুনে খেলতে থাকে দুজন। কিন্তু কনওয়ে গোল্ডেন ডাক মেরে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। মোহাম্মদ সিরাজ ইনিংসের প্রথম উইকেট তুলে নেয়। তারপর মাঠে আসে রাচিন রবিন্দ্রা। রাচিন রবিন্দ্রার খেলা এর আগেও দেখেছি। ভালো সময় নিয়ে ধরে ধরে খেলতে পারে। তো ইয়াং ১৯ রানের মাথায় আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে সামির বলে। তারপর কিছুটা চাপে পরে যায় নিউজিল্যান্ড। এরপর মাঠে আসে মিচেল। ভালোই ফর্মে রয়েছে মিচেল। কঠিন সময়গুলো ভালোভাবে হ্যান্ডেল করার ক্ষমতা রাখে। মিচেল ও রবিন্দ্রা মিলে ১৫৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুলে। দুজনই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়। খেলার এমন অবস্থায় ভারতের বোলাররা কিছুটা চিন্তিত ছিল কারণ তাদের পার্টনারশিপ নিয়ে। এরপর সামির বলে ৭৫ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে রবীন্দ্রা। এরপর আর তেমন বড় কোনো পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু মিচেল তখনও মাঠে ছিল। নিজের ব্যক্তিগত সেঞ্চুরির দেখা পায় মিচেল। শেষ অবধি সব উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ দাড়াঁয় ২৭৩ রানের।
তারপর ২৭৩ রানের টার্গেটকে সামনে রেখে ব্যাটিং এ নামে রুহিত শর্মা ও শুভমান গিল। শুরুতেই হিটম্যান খ্যাত রুহিত শর্মা ব্যাটের তান্ডব চালাতে থাকে। পাওয়ারপ্লেতে কোনো উইকেট হারায়নি ভারত। তারপর ৭১ রানে শুভমান গিল আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। ইনিংসের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে ভারতের। তারপর মাঠে নামে কিং কোহলি! বিরাট কোহলি নামার কিছুক্ষণ পরেই রুহিত শর্মা আউট হয়ে যায়। রুহিত শর্মা হাফ সেঞ্চুরির দেখা আর পায়নি। লকি ফার্গুইছেন দুটি উইকেট পায়। তারপর মাঠে আসে শ্রেয়াস আয়ার। শ্রেয়াস আয়ারকে নিয়ে কোহলি দেখেশুনে খেলতে থাকে। ৫২ রানের একটা পার্টনারশিপ গড়ে তুলে দুজন। তারপর শ্রেয়াস আয়ারের ইনিংস থামে ৩৩ রানে। দলীয় সংগ্রহ যখন ১২৮ তখন শ্রেয়াস আয়ার বোল্টের বলে ক্যচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে রাহুল। রাহুলকে নিয়েও একটা পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করে কোহলি। কিন্তু মিচেল সান্তনারের বলে এএলবিডব্লিউ হয়ে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে রাহুল।
তারপর খেলার দায়িত্বটা কোহলির কাধেঁ এসেই পরে। নিজের ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়। এদিকে জাদেজাও দেখেশুনে খেলতে থাকে। জয়ের কাছাকাছি যখন ভারত তখন ভিরাট কোহলি আউট হয়ে যায়। অল্পের জন্য কোহলি সেঞ্চুরি মিস করে ফেলে। ৯৫ রানে ম্যট হেনরির বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে কোহলি। শেষ অবধি জাদেজা আর সামি মিলে জয়ের বন্দরে চলে যায় ভারত। সেদিন প্লেয়ার অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হয় মোহাম্মদ সামি। সামি পাচঁটি উইকেট তুলে নিয়েছিল। আসলে খেলাটি উপভোগ করার মতোই ছিল। দুদলই ভালো ক্রিকেট খেলেছে। বিশ্বকাপে এই একটাই টান টান উত্তেজনার ম্যাচ ছিল।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share link
ভারত কিন্তু দুর্দান্ত খেলা উপহার দিয়েছে জাতিকে। যে খেলা দেখে হাজারো মানুষ আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছিল। এই ম্যাচটা আমারও বেশ ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর ভাবে আপনি আজকে আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন রিভিউ আকারে। অনেক ভালো লাগলো সুন্দর রিভিউ দেখে