চন্দ্রনাথ পাহাড়, সীতাকুণ্ড | ভ্রমণ পর্ব-১
14-06-2022
৩১ জৈষ্ঠ ,১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আসসালামু আলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমি ভালো আছি। কয়েকদিন ধরে এদিকে গরম আর বৃষ্টির মধ্যে ভালো সময় যাচ্ছে। বাড়ি থেকে আসার পর মনটাও ভালো নেই। ফোনো যোগাযোগ করে জানতে পারলাম মায়ের শরীরটাও অসুস্থ। প্রেসার লো হয়ে গেছে। আমি ফোন দিয়ে অবশ্য বলেছিলাম ঠিকঠাক মতো ঔষধ খাওয়ার জন্য। এদিকে কলেজে নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে। আর কয়েকদিন পর ডিপ্লোমা লাইফটাও শেষ হয়ে যাবে। ফেনীতে থাকি কিন্তু একটাই কষ্ট এখনও কক্সবাজারে যেতে পারলাম না। যাবোই বা কি করে হাতে টাকাও থাকেনা আর বন্ধুরাও মত দেয় না। একলা গিয়ে তো আর আনন্দ করা যায় না। এতো কাছে এসে যদি কক্সবাজারে না যেতে পারু তাহলে আর কখনো যেতে পারবো বলে মনে হয় না। আমার রুমমেটদের বললাম যেতে। ওরা খাম খেয়েলী করে, কথায় কোনো পাত্তায় দেয় না। তো আমি সিদ্ধান্ত নিলাম পাহাড় দেখতে হলেও সীতাকুণ্ড এ যাবো।
আমার বন্ধু নিশাদ। ও ভ্রমণপিপাসু একজন মানুষ। আমাদের এলাকার লোক বলা চলে। আমাকে বলতেছিল কোথাও ঘুরতে গেলে ভালো হতো। এই সময়টাই সীতাকুণ্ড কিছু পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। অনেক জায়গা থেকে আসে এখানে মানুষজন। বর্ষার সময়টাতে ঝর্ণার সৌন্দর্য উপভেগ করা যায়। নিশাদের কাছ থেকে শুনেছিলাম সীতাকুণ্ড এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা। আমি অবশ্য জীবনে প্রথমবারের মতো চন্দ্রনাথ পাহাড়ে গিয়েছিলাম। প্রায় ১২০০ ফুটের মতো উচুঁ। এই পাহাড়ে আমি একবার আগেও গিয়েছি। কিন্তু তখন এতোটা উপভোগ করতে পারিনি। কারণ প্রথমবার পাহাড়ে উঠে হাত পায়ের অবস্থা দূর্বল হয়ে গেছিল। পরে অবশ্য ভাবছিলাম উপরের সুন্দর দৃশ্য দেখার জন্য এতো কষ্ট করলাম। যায়হোক, নিশাদকে বললাম চলো যায় সীতাকুণ্ড এ ঘুরে আসি। কিছুদিন আগে সীতাকুণ্ড এর এদিকে ভয়াবহ আগুন লেগে সব পুড়ে গিয়েছিল। তো আমি প্রথমে রাজি হয়নি । পরে অবশ্য নিশাদ বলে এসব এখন নাই, অনেক মানুষ আসতেছে সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য।
নিশাদ বললো ওদের বাড়ি থেকেও নাকি তিনজন বন্ধু আসবে ঘুরতে। তাদেরকে নিয়ে সীতাকুণ্ড এর কয়েকটি জায়গা দেখাবে।
আমিও রাজি হলাম যেতে। ফেনী থেকে সকাল সকাল লোকাল ট্রেন পাওয়া যায়। নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস নামে একটি লোকাল ট্রেন আছে। এর আগেও এই ট্রেন দিয়ে সীতাকুণ্ড এ গিয়েছিলাম। নিশাদের তিন বন্ধ রাতে রওনা দিয়ে দেয় আর সকালে ফেনী এসে পৌছাঁয়। আমরা তাদের সকাল সকাল রিসিভ করি স্টেশন থেকে। তখন সকাল পাচঁটা বাজে ঘড়িতে। কিন্তু নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেন আসবে সাড়ে ছয়টার দিকে। এজন্য আমরা সবাই স্টেশনে অপেক্ষা করতে থাকলাম। ছয়টা পাচেঁ আমাদের কাঙ্খিত ট্রেন চলে আসে। আমরা সবাই গাড়িতে উঠে পড়ি। আমাদের উদ্দেশ্য বেশ কিছু জায়গায় ঘুরা। এজন্য সকাল সকলা বেরিয়ে পরা। নিশাদের বন্ধুরা আগে চন্দ্রনাথ পাহাড় দেখেনি, সেজন্য আগে আমরা যাবো চন্দ্রনাথ পাহাড়ে।
ফেনী থেকে ট্রেনে গেলে বেশিক্ষণ লাগেনা সীতাকুণ্ড। আগেরবার যখন গিয়েছিলাম তখন বেশি সময় লেগেছিল। লোকাল ট্রেন বলে কথা কখন ছাড়ে কোনো ঠিক নাই। ট্রেনে দাড়িয়ে আমরা বাহিরের অনেক পাহার লক্ষ্য করতে পারতেছিলাম। আর এদিকে আমার চোখ যেন ঘুমে নিভু নিভু। কারণ রাতে তেমন ফ্রেশ একটা ঘুম হয়নি। আবার ভোরে উঠে পরতে হলো। এজন্য ট্রেনে অনেক ঘুম পাচ্ছিল। কিন্তু দাড়িঁয়ে কি আর ঘুমানো যায়! অনেক কষ্টে ঘুম চলে গেল চোখ থেকে। আর কিছুক্ষণ পরেই আমরা চলে আসি সীতাকুণ্ড রেলস্টেশনে। স্টেশনে নামতেই লক্ষ্য করলাম টিকেট চেক করতেছে। আমরা তো আর টিকেট কাটিনি। এখন তাহলে কি করা। গিয়ে আমরা কথা বললাম এবং আমরা পরিচয় দিলাম যে এখানে ঘুরতে এসেছি। পরে অবশ্য তেমন কিছু একটা বলেনি।
স্টেশন থেকে নেমে আমরা চলে যায় সিএনজি স্টেশনে।। স্টেশনের পাশেই ছিল সিএনজি স্টেশন। সকাল সকাল সিএনজি কম ছিল রাস্তায়। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর একটি সিএনজি আসলো। পরে অবশ্য বললাম পাহাড়ে যাবে কিনা। ভাড়া হিসেবে চেয়ে বসলো ১৮০ টাকা। নরমালি ভাড়া বিশ টাকা করে যায়। এখন দাম বেড়ে গেল। তারপর সকাল সকাল এতো দামাদামি না করে রিজার্ভ নিয়ে নিলাম ১৫০ টাকা দিয়ে। স্টেশন থেকে সিনএনজি দিয়ে গেলে বেশিক্ষণ লাগেনা। ১৫ মিনিটের মতো লাগে পাহাড়ে যেতে। তারপর আমরা পাহাড়ে এখানে চলে আসলাম। আসার পর সকালের নাস্তা খেয়ে নিলাম। কারণ খালি পেটে এতো উপরে উঠলে শরীর একদম দূর্বল হয়ে পড়বে। তারপর কলা আর বিস্কুট কিনে নেওয়া হলো। পাহাড়ের মাঝে গিয়ে খাওয়া যাবে। আর পানির বোতল ও নিয়ে নেয়া হলো। তারপর পাহাড়ে উপরে উঠার জন্য চাই বাশের তৈরি লাঠি। দুটি দোকানই সেখানে বাশের লাঠির। বাশির লাঠি মূলত একটু হলেও শক্তি জোগায়। আর সেফটির জন্য। পাহাড়ে তেমন সিড়ি নেই। মাঠি কেটে তৈরি করা হয়েছে রাস্তা। পাহাড় অনেক উচুঁ। প্রথমে মনে হবে এইগো কাছেই। তারপর আমরা দোকান থেকে পাচঁটি লাঠি নিয়ে নিলাম এই শর্তে যে, পাচঁটি লাঠির জন্য ১৫০ টাকা দিতে হবে, আসার সময় যদি লাঠি ফেরত দেয় তাহলে ৫০ টাকা রেখে আমাদের ১০০ টাকা দিয়ে দিবে।
আমরা লাঠি নিয়ে নিলাম সবাই। লাঠি নিয়েই রওনা হয়ে গেলাম পাহাড়ের চূড়ায় উঠার জন্য। এদিকে আকাশটাও মেঘলা ছিল। মনে হচ্ছিল এই বুঝি বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি হলে আরেক বিপদের মধ্যে পরে যেতাম। কারণ পাহাড়ে উপরে উঠার রাস্তা এমনিতেই সরু ও খাড়া তারপর বৃষ্টি হলে উঠাই কঠিন হয়ে পরবে। আমরা একটি দ্রুত হাটঁতে লাগলাম। কারণ পাহাড়ে উঠে আবার নামতে হবে এবং আরও কিছু জায়গায় যেতে হবে আপনাদের সাথে পরবর্তীতে অবশ্য শেয়ার করবো আর কোথায় গিয়েছিলাম। সকাল সকাল ওয়েদার ঠান্ডা ছিল। ভালোই লাগছিল তখন। কিছুদূর যেতে শরীর ঘেমে একাকার হয়ে গেলো। আমরা কিছুক্ষণ এর জন্য রেস্ট নিয়ে নিলাম। পাহাড়ে একটা সুবিধা কি বিশ্রামের জন্য মাছার মতো বানিয়ে রেখেছে। একটানা তো হেটেঁ উপরে উঠা কোনোভাবেই সম্ভব না। বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে আগাতে হয়।
অর্ধেক উঠার পর দেখলাম আরও কিছু বড় ভাইয়েরা এসেছে এখানে ঘুরার জন্য। তারাও দেখি অবস্থা খারাপ। মনে হচ্ছিল না পেরে উঠতেছে। আমরাও তাদের সাথে তাল মিলিয়ে উপরে উঠতে লাগলাম। পাহাড়ে উঠার পথে বেশ কিছু পুরনো মন্দির লক্ষ্য করলাম। দেখলাম কয়েকজন মন্দিরে পূজো করছে। মেইন যে মন্দির সেটা একদম পাহাড়ের চূড়ায়। শুনেছি অনেকের মনের বাসনা পূরনের জন্য এই মন্দিরে আসে পূজো দিতে। আমরা মন্দিরের কাছে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে আবার আগাতে শুরু করলাম। পাহাড়ে উঠার সময়ে কিছু ভিডিও করেছি পরবর্তীতে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিবো। আমরা পাহাড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলা সাতটা বিশের দিকে। তারপর প্রায় দেড় ঘন্টার জার্নির পর আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌছাঁতে পেরেছি। আহ! উপরে এতো বাতাস ছিল মনটাই যেন ভরে গিয়েছিল। আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। পাহাড়ের উপর থেকে সব ছোট ছোট দেখাচ্ছিল আর চারিপাশে সবুজময়। যতদূর চোখ যায় শুধু পাহাড় আর পাহাড়। এরকম দৃশ্য দেখার জন্য হলেও আপনাকে এখানে আসতে হবে। এরকম দৃশ্য দেখার পর মনে হয়েছিল আমাদের কষ্ট স্বার্থক হয়েছে। কিছুক্ষণ এর জন্য অন্য মুহূর্তে চলে গিয়েছিলাম।
একঘন্টার মতো আমরা উপভোগ করলাম আর কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। বেশিক্ষণ থাকাও যাবেনা কারণ আরও কয়েকটি স্পটে যেতে হবে। কিন্তু আমার কোনোভাবেই যেতে মন চায়ছিল না এরকম সুূন্দর পরিবেশ দেখে। এদিকে পায়ের অবস্থাও দূর্বল হয়ে গিয়েছিল। পরে অবশ্য আমরা নামার জন্য বের হয়ে পড়ি। পাহাড় থেকে নামতে আমাদের বেশিক্ষণ সময় লাগেনি। ৪০ মিনিটের মতো লেগেছিল। কিন্তু নামতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল। পায়ের হাটুঁ কাপাকাপি শুরু করে দিয়েছিল। খাড়া সিড়ি একেকটা এক ফুটের মতো উচুঁ। আসতে আসতে আমরা নেমে পড়ি সবাই।
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | w3w |
Date | 14 June , 2022 |
যায়হোক, আজ এই পর্যন্তই। পরের পোস্টে হাজির হবো আপনাদের সাথে নতুন জায়গা নিয়ে। আশা করি সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকে মতো এখানেই বিদায় নিলাম। আল্লাহ হাফেজ।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
সীতাকুন্ড চন্দ্রনাথ পাহাড়ে আমি কখনো যাইনি। তবে বেশ কিছু ছবি দেখেছিলাম আর ভিডিও দেখেছিলাম জায়গাটি খুব সুন্দর। তবে হিমছড়ি পাহাড় এগিয়েছিলাম পাহাড়ের ওপরে ওঠার পরে সব কষ্ট ভুলে গিয়েছিলাম।
চন্দ্রনাথ পাহাড়ে কিভাবে যেতে হয় আপনি খুব সুন্দর ভাবে তা বর্ণনা করেছেন। আপনার পরবর্তী পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম।
জি আপু অনেক সুন্দর একটি জায়গা । হিমছড়িতে যাওয়া হয়নি এখনো আশা করি যাবো । আপনাকে ধন্যবাদ
চন্দ্রনাথ পাহাড়, সীতাকুণ্ড আসলেই দারুন একটি জায়গা। ভ্রমন পিপাসুদের জন্য এই জায়গায় সুন্দর একটি স্থান। আসলে পাহাড়ের সৌন্দর্য সবসময় আমাকে টানে। আমি কক্সবাজার গিয়ে হিমছড়ি পাহাড় উঠে অবাক হয়ে গেছি যেন আমি বিশালত্বের মাঝে হারিয়ে গেছি। আজ আপনার পাহাড়ের চূড়ায় উঠে ছবিগুলো দেখে এমনটাই মনে হল ধন্যবাদ।
জায়গাটা আসলেই খুবই সুন্দর দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আর বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি বলে কথা বন্ধুর সাথে থাকলে আসলে খুবই মজা হয়। আপনি খুব আনন্দের সময় কাটিয়েছেন বোঝাই যাচ্ছে ধন্যবাদ আপনাকে মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরির মজাই অন্যরকম।
এক বছর আগে চট্টগ্রামে গিয়েছিলাম কনফারেন্সে কোভিড পরিস্থিতির কারণে হেড অফিসে মিটিং না হয়ে সীতাকুণ্ডে ফ্যাক্টরিতে হয়েছিল। আর সে কারণেই সীতাকুণ্ডে চার দিন ছিলাম। প্রথম দিনেই গিয়েছিলাম চন্দ্রনাথ পাহাড়ে চন্দ্রনাথ মন্দির দেখার উদ্দেশ্যে। পাহাড়ের চূড়ায় সেই মন্দির উঠতে বেশ কষ্টকর ব্যাপার। তবে উঠার পর বেশ ভালো লেগেছিল। আপনার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেও খুব ভালো লাগলো।
ভালোলাগা টুকু শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
হুমম ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন পাহাড়চূড়ায় উঠা আসলেই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনার মতো আমারও কষ্ট আছে ভাই। বন্ধুরা মিলে ঢাকাতে এক সাথে থাকি কিন্তু কোথাও এখন পর্যন্ত ট্যুর দিতে পারলাম না। কক্সবাজার ও এখন পর্যন্ত যাওয়ার টাইম হয়নি। আপনাদের পাহাড় ভ্রমন করা দেখে ইচ্ছে করছে আমিও যদি ঘুরে আসতে পারতাম এখন । ভাল লাগত। অনেক ভাল লাগল আপনার লেখা পড়ে
হুৃমম ভাইয়া জায়গাটা অনেক সুন্দর, উপভোগ করার মতো ছিল।
অনেকক্ষণ সময় নিয়ে আপনার পোস্টটি পড়লাম ভাই। আসলে ভ্রমণ করতে আমারও খুব ভালো লাগে তাই ভ্রমনের কাহিনী গুলো পড়তে খুবই ভালো লাগে। আমি যখন চট্টগ্রামের ছিলাম তখন সীতাকুণ্ড ইকো পার্কে দু-একবার যাওয়া হয়েছিল তবে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। আপনার পোস্ট পড়তেছি যখন তখন মনে হচ্ছিল যেন আপনার সাথে আমিও ভ্রমণে রয়েছি, বেশ ভালোভাবে উপভোগ করলাম ভাই। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পরের পোস্টে ভাইয়া ইকোপার্ক এর ভিতরে সুপ্ত ঝর্ণা নিয়ে লিখবো। আপনাকে ধন্যবাদ
ভাই একা একা ঘুরে আসলেন সীতাকুন্ড চন্দ্রনাথ পাহাড় থেকে। আমরা অনেক আগে গিয়েছিলাম, আমার সম্ভবত তিন থেকে চারবার যাওয়া হয়েছে।সেখানে আপনার আজকের ভ্রমণ দেখে মনে পড়ে গেল সেই পুরনো স্মৃতিগুলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
একা একা না ভাইয়া বন্ধুদের সাথে গিয়েছিলাম 🤭। অনেক উপভোগ করেছিলাম সময়টা।
একা বলতে নিজে নিজের বন্ধুদের কে নিয়ে চলে গেছেন, আমাদেরকে বলেন নাই। আমাদের পাশেই তো, চাইলে আমরাও যেতে পারতাম। যাইহোক অনেক ধন্যবাদ ঘুরাঘুরি করে অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
চন্দ্রনাথ পাহাড় সীতাকুণ্ড আসলেই অনেক সুন্দর একটি জায়গা আপনি ভ্রমণ করে খুবই সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে তুমি ভালো লাগলো শুভ হোক আপনার ভ্রমণ
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
চন্দ্রনাথ পাহাড়, সীতাকুণ্ড আসলেই ভ্রমণের জন্য খুবই সুন্দর একটি জায়গা। সেখানকার প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ভ্রমণ পিপাসুদের সত্যিই অনেক আকর্ষণ করে। এখানে ঘুরতে গিয়ে আপনি খুবই আনন্দ করেছেন এবং আপনার আনন্দঘন মুহূর্ত আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জি ভাইয়া সময়টা উপভোগ করেছিলাম। আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া
খুবই সুন্দর একটা জায়গা একবার যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল । তবে আরও যাওয়ার ইচ্ছা আছে আমার । আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন । ফটোগ্রাফি গুলো দেখে যে কারো মন ভরে যাবে । আসলে বাংলাদেশে এমন অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে । শুধু আমাদের ভ্রমণ করতে হবে তাহলেই বোঝা যায় বাংলাদেশের সৌন্দর্য । ধন্যবাদ আপনাকে ।
হুমম ভাইয়া জায়গাটা আসলেই সুন্দর। আপনাকেও ধন্যবাদ
আমি ঐ চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়ায় উঠেছি আজ থেকে দশ বছর আগে। আমি তখন লাকসাম আবুল খায়েরে চাকরি করতাম। ভীষণ রিস্ক নিয়ে উঠেছিলাম। বিশেষ করে রাস্তাগুলো একদমই সরু কিছু কিছু জায়গায় আর মাটি কেটে তৈরি ছিল। একটু ভুল পা দিলে গড়িয়ে কয়েকশো ফুট নিচে একদমই। যাক ভীষণ কষ্টে মন্দিরে পৌছেছিলাম। মনে হচ্ছিল যেন এভারেস্ট জয় করেছিলাম। যাক আপনার পোস্ট পড়ে স্মৃতি মনে পড়ে গেল।
হাহাহা ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন। আমারও মনে হচ্ছিল এভারেস্ট জয় করে ফেললাম। তবে উপরে উঠে সব কষ্ট যেন চলে যায়।