স্বস্তির ট্রেন ভ্রমণ|| ২৮-১০-২০২১ইং ||[ ১০% লাজুক খ্যাকের জন্য🦊]||

তো ট্রেনের টিকেট পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে আগভাগে টিকেট সংগ্রহ করে ফেলতে হবে। যেহেতু আগেরবার অনেক হয়রানি হয়েছিল। কথায় আছে না "ভুল থেকেই মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করে।" আমার বেলায় ও একই কাজ হয়েছে। এইবার আমার যেহেতু বাড়িতে বিশেষ কিছু কাজ এজন্য আসা। এজন্য অবশ্য সিঙ্গেল টিকেট সংগ্রহ করতে হলো। এখান থেকে চট্রগ্রাম টু কিশোরগঞ্জ এর টিকেট সংগ্রহ করি। টিকেট কাটতে ২৮০ টাকা লেগেছিল। চার্জসহ ২৯০ টাকার মতো লেগেছিল। টিকেট কাটার সময় দেখলাম সিট করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সিট দেয়া থাকে। আমি শোভন চেয়ার সিলেক্ট করেছিলাম। আমি ২৮ তারিখের মানে গতকালকের টিকেট কেটে বাড়িতে আসা। তো আমার ট্রেন ছিল ৯ টার সময়। আমি যেহেতো অনলাইনে টিকেট সংগ্রহ করি এজন্য টিকেট কাটার সময় আমাকে একটা পিডিএফ ফাইল দিয়েছিল। সেটা পরে ফোনে সেইভ করে রেখে দেয়।

ফেনী স্টেশনে আসলাম ৮:৩০ এর দিকে। আর এখানে ট্রেন আসতে ৯ টার মতো বেজে যায়। তো আসার পর এখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে থাকি। আমি যেহেতু মেসে থাকি এজন্য এতো সকালে নাস্তা করাও হয়নি। এজন্য দেখলাম দোকান আছে। সেখান থেকে সকালের নাস্তা হিসেবে অল্প কিছু খেয়ে নিলাম। আর একটি পানির বোতল কিনে নিলাম। আমি যেহেতু একলা যাবো এজন্য সবকিছু আগে থেকেই নিয়ে নিলাম। তো দেখতে দেখতে ট্রেন চলে এলো। ট্রেন আসতেই সবাই উঠতে থাকে। তো আমার সিট ছিল ঞ বগীতে। ট্রেনের একেবারের শেষের দিকে বলা যায়। বগী পাওয়ার পর আমার সিটটা ছিল জানালার পাশেই এজন্য খুশিও হয়েছিলাম খুব। ট্রেন প্রায় ১০ মিনিট থাকার পর ছেড়ে দেয়।

তারপর ট্রেন চলতে থাকে তার আপন গতিতে। আর আমি শুধু বাহিরে দেখেই যাচ্ছি। অবশ্য বাহিরের আবহাওয়াটাও অনেক সুন্দর ছিল। মাঠের পর মাঠ যেন একেক একেক করে পেরিয়েই যাচ্ছে। আর মনে মনে ভাবতে থাকি এটাই হয়তো জীবন। কিছুক্ষণ আগেও ফেনীতে ছিলাম। আর এখন অনেকটা পথ এসে গেছি। আমি এবার একা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিলাম। সামনে যেহেতু পরীক্ষা এজন্য বাকি বন্ধুরা কেউ বাড়িতে যাবেনা। আমার একটি ইন্টার্ভিউ আছে এজন্য মূলত বাড়িতে আসা। ট্রেনের পাশে জানালার পাশের হাওয়া খেতে খেতে অনেক ঘুম পেয়ে গেছিল। আবার টেনশন ও হচ্ছিল কারণ ট্রেইনে আবার চুরি হয় বেশি। এসব ভাবতে ভাবতে চোখ প্রায় লেগেই যাচ্ছিল অনেক কষ্টে একটু একটু ঘুম দিলাম। কিছুক্ষণ পর দেখলাম চা বিক্রি করছে কিছু লোক। পোশাক দেখে মনে হয়েছিল ট্রেন অথরিটির লোক। তো আমি এককাপ নিলাম। বিনিময়ে তাকে ১০ টাকা দিয়েছিলাম। তারপর হাতে চা নিয়ে আস্তে আস্তে পান করতে থাকলাম। চা পান করেতে করতে দেখি আখাউড়া চলে এসেছে ট্রেন। তো ট্রেন সেখানে মনে হয় ২-৩ মিনিটের জন্য দাড়িয়েছিল।