অন্ধ ভালোবাসা || শেষ পর্ব
07-07-2022
২৩ আষাঢ় ,১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় এখন সুস্থ্য আছি। গতকাল রাতে ট্রেনে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাড়ি পর্যন্ত আসতে অবস্থা একদম মারাত্মক বলতে গেলে। যায়হোক, বাড়িতে আসতে পারলাম। আপনারা হয়তো জানেন ইতোপূর্বে আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করেছিলাম। আজকে গল্পটির শেষ পর্ব শেয়ার করবো। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
চায়ের কাপে চুমু দিতে দিতে রোহান ভাবতে থাকে রূপার সাথে সময়টা কিভাবে চলে গেল। চায়ের একটি টঙের দোকান বাস স্ট্যান্ডের পাশেই ছিল আর সেখানে বসে রোহান ভাবতে থাকে । বাস ছাড়তে আর দশ মিনিটের মতো বাকি। এদিকে রূপা মীরাকে নিয়ে বাসায় চলে যায়। রূপার বাসা কাছেই ছিল এজন্য আসতে তেমন দেড়ি হয়নি। রূপা বাসায় এসেই রোহানকে মেসেজ দেয় যে বাসে উঠেছে কিনা? রোহানের বাস তখন এসে পরে। জানালার পাশে রোহান গিয়ে বসে। ফোনের ডাটা অন করতেই দেখে রূপার মেসেজ। রোহান বলে, বাসে উঠেছি। এই বলে রোহান ফোনটা পকেটে রেখে দেয়। বাস চলতে শুরু করে। বাসে বসে রূপার সাথে কাটানো মুহূর্তের কথা মনে করতে থাকে। ফোনের গ্যালারি ওপেন করতেই দেখে রূপার কিছু ছবি। রূপার ছবি দেখতে থাকে রোহান। প্রথম প্রেমে পড়লে যায় হয়।
টাঙ্গাইল থেকে চাদঁপুর অনেকটা পথ। যেতে যেত রাত বারোটা বেজে যেতে পারে। এদিকে রোহানের ফোনের চার্জও শেষের দিকে। ইয়ারফোন লাগিয়ে রোহান গান শুনতে থাকে । রোহানের খেয়াল নেই ফোনের চার্জ শেষের দিকে। এক পর্যায়ে ফোন অফ হয়ে যায়। রোহানও ঘুমিয়ে পড়ে। এদিকে রূপা রোহানকে কল দিতে থাকে। বার বার ফোন বন্ধ দেখায়। রূপা রীতিমত চিন্তায় পড়ে যায়। ফোনটা অফ কেন? রোহান দশটার দিকে ঘুম থেকে উঠে দেখে তার ফোন অফ হয়ে আছে। বাস চলমান আছে। রোহান চিন্তায় পড়ে যায়। ফোন অফ হয়ে গেল। এখন কি করা! বাসায় গিয়ে রূপাকে কনফার্ম করবে যে সে এসে পৌঁছেছে। রূপা টেনশন করতেই থাকে ।
মীরাকে ফোন দিয়ে বলে রোহানের ফোন অফ পাচ্ছি। একটা ফোন দিয়ে দেখার জন্য। মীরা তখন ফোন দিয়ে দেখে রোহানের ফোনটা অফ। মীরা তখন রূপাকে বলে চিন্তা না করার জন্য। ফোনে চার্জ নেই হয়তো। রূপা এটা শুনে কিছুটা স্থির হয়। রূপার চোখে ঘুম নেই। রোহানের মেসেজ না দেখে সে ঘুমাবে না। রূপা রাতের খাবার খেয়ে বিছানার একপাশে শুয়ে থাকে। কিছুতেই যেন তার ঘুম আসছেনা। রোহান রাত একটায় চাদপুর গিয়ে পৌঁছায় । বাসস্ট্যান্ড থেকে রোহানের বাসা কাছেই। রিকশা করে বাসায় এসে পড়ে রোহান। বাসায় এসেই ফোনটা চার্জে লাগিয়ে দেয় রোহান। গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নেয়। ফোনটা অন করতেই দেখে রূপার অনেকগুলা মেসেজ। রূপাকে তখন রোহান ফোন দেয়। ফোন দিয়ে বলে যে, ঠিকভাবে বাসায় এসেছে। রোহান তখন রূপাকে বলে রাতের খাবার খেয়েছে কিনা? রূপা তখনও রাতের খাবার খায়নি। রোহান বলে রূপাকে যেন তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেয়ে নেয়। রোহান তারপর ফোনটা রেখে দেয়। রোহান রাতের খাবার খেয়ে বিছানায় এসে শুয়ে থাকে। রূপাকে মেসেজ দিয়ে বলে যেন তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে। আমি এখন ঘুমিয়ে গেলাম বলে রোহান ফোনটি বিছানার পাশে রেখে ঘুমিয়ে পড়ে। অবশেষে অবশ্য রোহান ও রূপার সম্পর্ক আরও গভীর হতে থাকে।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
link