প্রতিযোগিতাঃ১০-শীতকালীন সবজি দিয়ে পেয়াজ কলির ভাজির রেসিপি ||[১০% লাজুক খ্যাকের জন্য ]
আসসালামুআলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগ এর সকল সদস্যবৃন্দ, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালোই আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত শীতকালীন সবজি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই এডমিন ও মডারেটরদের যারা এমন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। তো আজকে আমি খুব সাধারন একটি রেসিপি শেয়ার করবো। শীতকাল আসলেই শুধু এ সবজিটা পাওয়া যায়। সেটা হচ্ছে পেয়াজ কলি বা পেয়াজ পাতা। পেয়াজ কলি বা পেয়াজ পাতা দিয়ে মূলত ভাজি করে খাওয়া হয়। আর কাছে পেয়াজ কলির ভাজি এতো ভালো লাগে বলে বুঝানো যাবেনা। আর শীতকালে প্রায় অনেক সবজি বাজারে পাওয়া যায়। দামেও সস্তা হয় সবজিগুলো। তবে আমার পছন্দের সবজি হলো পেয়াজ কলি আলু দিয়ে ভাজির রেসিপি। আপনারা হয়তো খেয়ে থাকবেন পেয়াজ কলির ভাজির রেসিপি। আর এই ভাজির রেসিপি খুব সহজেই রান্না করা যায়। তো যায়হোক চলুন দেখা নেয়া যাক
 |
|---|
 |
|---|
| উপাদান | পরিমাণ |
|---|---|
| পেয়াজ কলি বা পাতা | ১ কেজি |
| আলু | ৫০০ গ্রাম |
| ডিম | ২ টি |
| কাচা মরিচ | ১০০ গ্রাম |
| রসুন কুচি | ৫০ গ্রাম |
| পেয়াজ কুচি | ১০০ গ্রাম |
| হলুদের গুড়ো | ১চা চামচ |
| মরিচের গুড়ো | ১/২ চা চামচ |
| ধনিয়া গুড়ো | ১ চা চামচ |
| তেল | ২৫০ মিলি |
| পানি | পরিমানমতো |
| লবণ | পরিমানমতো |
🥗 ধাপঃ০১ 🥗
 |  |
|---|
প্রথমেই পেয়াজ কুলি বা পেয়াজ পাতা ছোট ছোট করে কেটে নিলাম। সেই সাথে অল্প আলু কুচি করে কেটে নিলাম। তারপর আলু ও পেয়াজ কলি বা পাতা ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিলাম। তারপর চুলাটা অন করে কড়াই বসিয়ে দিলাম। বসানোর পর পরিমানমতো তেল দিয়ে দিলাম। তেল হালকা গরম হয়ে সেখানে পেয়াজ আর কাচা মরিচ দিয়ে দিলাম। দেওয়ার পর চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়া-চাড়া করে মিশিয়ে নিলাম।
🥗 ধাপঃ০২ 🥗
 |
|---|
 |
|---|
 |
|---|
 |
|---|
তারপর পেয়াজ কুচি গরম হয়ে গেলে সেখানে হলুদের গুড়ো,মরিচের গুড়ো, ধনিয়ার গুড়ো দিয়ে দিলাম। তারপর চামচ দিয়ে নাড়া-চাড়া করে ভালো করে মিশিয়ে নিলাম।
🥗 ধাপঃ০ ৩ 🥗
 |
|---|
 |
|---|
 |
|---|
 |
|---|
তারপর পেয়াজ কলি বা পাতা ও আলুগুলো সেখানে দিয়ে দিলাম। দেওয়ার পর। মশলার সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিলাম। তারপর ঢাকনা দিয়ে ৫-১০ মিনিটের মতো ঢেকে দিলাম। খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হওয়ার জন্য চুলার ভলিউমটা কমিয়ে দিয়েছি।
🥗 ধাপঃ০৪ 🥗
তারপর সিদ্ধ হয়ে গেলে সেখানে ২টা ডিম ভেঙে দিয়ে দিলাম। দেওয়ার পর চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়া-চাড়া করে মিশিয়ে নিলাম। ডিম দিলে খেতে ভালো লাগে বেশি। তারপর ৫-৭ মিনিটের মতো চুলার উপরে চামচ দিয়ে নাড়া-চাড়া করতে থাকলাম।
🥗 ধাপঃ০৫ 🥗
তারপর হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম। তারপর খাওয়ার জন্য একটি বাটিতে পরিবেশন করে নিলাম।
🥗 চূড়ান্তধাপ 🥗
| বিষয় | পেয়াজ কলির ভাজির রেসিপি |
|---|---|
| ডিভাইস | oppo A12 |
| ফটোগ্রাফার | @haideremtiaz |
| লোকেশন | Feni,Bangladesh |
আশা করি আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। বাসায় কখনো এভাবে রান্না করে খেয়ে থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন। সকলের সু্স্থ্যতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
ধন্যবাদ
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কোকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যৎ এ প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চায়।
আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর মতামত দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
শীতকালীন সবজি দিয়ে পিঁয়াজ কালির রেসিপি আপনি দারুন ভাবে রান্না করেছেন ভাইয়া আর পেঁয়াজ কালি খেতে এমনি অনেক ভালো লাগে। আপনারটাও ভিন্ন লাগলো। আপনার রান্নার ধরন খুবই ভালো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি আমাদের মাঝে শীতকালীন সবজির রেসিপি পেঁয়াজের কলি ভাজি রেসিপি নিয়ে এসেছেন খুবই ভালো লেগেছে। সত্যিই পেঁয়াজের পাতা গুলো বাজি করে খেতে খুবই ভালো লাগে। এবং আপনি অনেক সুন্দর করে আপনার রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
পিয়াজের কলি শীতের সময় এর একটি অন্যতম ।এটি সবজির স্বাদ দ্বিগুন করে ।আপনি নতুন আঙ্গিকে রেসিপিটি বানিয়েছেন ।মনে হয় সেই মজা হয়েছে ।ধন্যবাদ এতো সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে ধন্যবাদ।