৩য় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ || সিরিজ জয় নিশ্চিত বাংলার
18-05-2024
০৪ জৈষ্ঠ , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে আবারো চলে এলাম আপনাদের সাথে খেলা নিয়ে আলোচনা করার জন্য! আপনারা যারা আমার পোস্ট ফলো করেন তারা নিশ্চয় জানেন যে, আমি প্রায়ই খেলা নিয়ে আলোচনা করে থাকি। তো তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আবারো চলে এলাম খেলা নিয়ে আলোচনা করার জন্য। ইতোপূর্বে আপনাদের সাথে বাংলা বনাম জিম্বাবুয়ের মধ্যকার দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করেছি। তো আজকে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করবো। পাচঁ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দুটিতে জিতেই বাংলাদেশ বলতে গেলে সিরিজ নিশ্চিত হওয়ার পথে! আর একটি মাত্র ম্যাচ জিততে পারলে সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের। তৃতীয় ম্যাচটা বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে দুদলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ জিম্বাবুয়ে হেরে গেলে সিরিজ হারার সম্ভাবনা অন্যদিকে ওয়াইটওয়াশ হওয়ারও সম্ভাবনা থেকে যাবে। আর বাংলাদেশ জিততে পারলে সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যাবে।
তো সেদিন শুরুতেই টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে! আগের দুইটা ম্যাচে যেহেতু আগে ব্যাটিং করে হেরেছে তাই জিম্বাবুয়ে পরে বোলিং করার সিদ্ধান্তটাই নেয়। তো প্রথমেই ব্যাটিং করতে নামে লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। লিটন দাসের পারফর্মেন্স ভালো যাচ্ছে না। ক্লাসিকাল ব্যাটিং এখন অবধি দেখতে পারেনি। তবে বিশ্বকাপের আগে আশা করি লিটন দাসের ফর্ম ফিরে আসবে। যাইহোক, সেদিনও লিটন দাস ব্যর্থ হয়! মাত্র বারো রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয় লিটন দাসকে। তারপরে মাঠে আসে ক্যাপ্টেন শান্ত! শান্তর পারফর্মেন্স ও ভালো যাচ্ছে না! স্ট্রাইক রোটেইট করে এখন পর্যন্ত কোনো ইনিংস দেখেনি। বেশি বল খেলে কম স্ট্রাইক রেইটে রান করছে! যাইহোক, ক্যাপ্টেন শান্তও ব্যর্থ হয়! মাত্র ৬ রান করেই আউট হয়ে যায়। বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ যখন ২৯ তখনই দুই উইকেএ হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। তারপর তৌহিদ হৃদয় জাকের আলী মিলে খেলাটাকে চালিয়ে যায়। তৌহিদ হৃদয় সেদিন ব্যাট হাতে দারুণভাবে জ্বলে উঠে!
তৌহিদ হৃদয় ও জাকের আলী মিলে ৮৭ রানের এক দূর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। তাদের পার্টনারশিপ ভাঙে বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ যখন ১৪৭ রানের! তার আগে অবশ্য হৃদয় হাফ সেঞ্চুরি করে যায়। ৩৮ বলে ৫৭ রানের এক দূর্দান্ত ইনিংস খেলে হৃদয়। হৃদয় আউট হওয়ার পরে জাকের আলীও আউট হয়ে যায়। তারপর শেষ অবধি বাংলাদেশ বিশ ওভার শেষে পাচঁ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়।
তো জিম্বাবুয়ের জন্য ১৬৫ রান চেইস করাও কঠিন! কারণ নিজ দেশের মাটিতে বাংলাদেশ দারুণ বোলিং করে। তারপরে দেখার বিষয় ছিল জিম্বাবুয়ে কিভাবে খেলে। শুরুতেই ব্যাটিং এ নামে গাম্বি ও মারুমানি। গাম্বির পারফর্মেন্স ও তেমন ভালো যাচ্ছে না। আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছে। তো সেদিনও ব্যর্থ হয়!
জিম্বাবুয়ের দলীয় সংগ্রহ যখন ১৬ রানের তখন গাম্বি আউট হয়ে যায়। তারপরে মাঠে নামে বেনেট! বেনেট নেমেও বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেনি। তানজিম সাকিবের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়। তবে খেলাটাকে সচল রাখে মারুমানি। তারপর থেকে যেন জিম্বাবুয়ের একটার পর একটা উইকেট পরতেই থাকে। ক্যাপ্টেন সিকান্দার রাজাও সেদিন ব্যর্থ হয়। জিম্বাবুয়ের দলীয় সংগ্রহ যখন ৬৫ রানের তখন ৩১ রান করা মারুমানিকে আউট করে সাজঘরে ফেরায় মাহমুদুল্লাহ! তারপর আর তেমনভাবে কেউ দাঁড়াতে পারেনি জিম্বাবুয়ের প্লেয়াররা। তবে ফারাজ আকরাম শেষের দিকে খেলাটাকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাওয়ার। শেষের দিকে এসে ৩৪ রানের অসাধারন এক ইনিংস খেলে সে। তারপরেও জয়ের বন্দরে যেতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। শেষ অবধি সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয় জিম্বাবুয়ে! এরই মাধ্যমে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ম ম্যান অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হয় তৌহিদ হৃদয়।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
বাংলার ছেলেরা ইতিমধ্যে সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছে এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি গত কয়েক মাস তৌহিদ এবং জাকের আলী খুবই ভালো ক্রিকেট খেলা উপহার দিচ্ছে। এভাবেই যদি তারা খেলতে থাকে তাহলে ভবিষ্যতে এদের দ্বারা ভালো কিছু পাওয়া সম্ভব।